Tag Archives: Barasat

টোটোয় থাকতে হবে ‘এই’ জিনিস, না হলেই ধরবে পুলিশ! বড় পদক্ষেপ প্রশাসনের

উত্তর ২৪ পরগনা: রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে জাতীয় সড়কের উপর হওয়া যানজট প্রসঙ্গে প্রশাসনকে সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

তার পরও উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সদর শহর বারাসাতে টোটো অটোর অনিয়ন্ত্রিত চলাচলে ৩৪ নম্বর ও ৩৫ নম্বর জাতীয় সড়কসহ গুরুত্বপূর্ণ টাকি রোড-সহ একাধিক রাস্তায় বহু সময় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

বেশ কয়েকদিন আগে বেআইনি টোটো ধরতে অভিযানে নেমেছিল জেলা মোটর ভেহিকেল দফতরে, স্থানীয় প্রশাসনের পাশাপাশি পৌরসভা। সেই সময়ই প্রশাসনের তরফ থেকে দেওয়া বারকোডবিহীন টোটো চিহ্নিত করে তাদের সতর্ক করে দেওয়া হয় বারাসাতে চলাচলের ক্ষেত্রে।

আরও পড়ুন- ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা! রক্তে ভাসল চারিদিক, মর্মান্তিক মৃত্যু ২ জনের, গুরুতর জখম ৩

তাতেও হুঁশ ফেরেনি বারকোড বিহীন টোটো চালকদের। বিষয়টি নিয়ে বারাসাত পৌরসভার উপ পৌরপ্রধান ও আইএনটিটিইউসির দায়িত্বে থাকা তাপস দাশগুপ্ত সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এখানে চলাচলের অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে টোটো।

প্রত্যন্ত এলাকা থেকে রাতে জরুরী রোগী পরিষেবা হোক বা বাচ্চাদের স্কুলে যাতায়াতের ক্ষেত্রে মাধ্যম এই টোটো। বারাসাত এলাকায় প্রায় আট হাজার টোটো চলাচল করে বলে দাবি করেন তিনি। তবে সেক্ষেত্রে ইতিমধ্যেই প্রায় ৪ হাজার টোটোকে বারকোড দিয়ে নির্দিষ্ট রুটে চলাচলের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন- কম সময়েই কাজ শেষ,তাও বাতিলের তালিকায় বহু লোকাল এবং দূরপাল্লার ট্রেন,রইল লিস্ট

এখনওপ্রায় ৪ হাজারের কাছাকাছি টোটো বারকোড বিহীন অবস্থাতেই চলছে রাস্তায়। টোটোর গায়ে লাগানো রয়েছে ইউনিয়নের লোগো, তার ওপর ভিত্তি করেই রাস্তায় চালানো হচ্ছে ওই সকল টোটো।

তাপস বাবু জানান, প্রতিদিনই বাড়ছে টোটোর চাপ, অটোর জন্য বারাসাতে আটটি রুট থাকলেও টটোর জন্য রয়েছে ৪২ টি রুট। তবে সে ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের উপর দায় চাপিয়ে তাপস বাবু বলেন গত ১০ বছর ধরে কেন্দ্রীয় সরকার চাকরি না দিতে পারার কারণেই পেট চালাতে টোটো কিনে রাস্তায় নেমেছেন বেকার যুবকেরা।

প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করে এই অনিয়ন্ত্রিত টোটো অটোর সমস্যার সমাধানে বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। তবে সেক্ষেত্রে এই বিষয়টি সময় সাপেক্ষ।

পথ চলতি সাধারণ মানুষজন বলছেন, টোটোর দাপাদাপিতে বারাসতে পথ চলাই দায় হয়ে পড়েছে। ছোটখাটো দুর্ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটলেও যে কোনো মুহূর্তে ঘটে যেতে পারে বড় দুর্ঘটনা।

বারকোড বিহীন টোটো চালকরা বলছেন দীর্ঘদিন ধরে তারা এভাবেই চালিয়ে আসছেন টোটো তবে প্রশাসনের তরফ থেকে তাদের এখনো মেলেনি বারকোড এই পরিস্থিতিতে পুলিশের এমন কড়া নজরদারিতে তারাও পড়েছেন সমস্যায়। এখন কী করবেন তা বুঝে উঠতে পারছেন না অসহায় এই টোটো চালকরাও।

প্রশাসনের তরফ থেকে তাদের সতর্ক করা হলেও বারকোড বিহীন টোটো চালকরা এখনো বুঝতে পারছেন না, কবে মিলবে তাদের নির্দিষ্ট রুটের বারকোড!

Rudra Narayan Roy

North 24 Parganas News: গ্রেফতার বাচ্চা চুরির গুজবের মাস্টারমাইন্ড, কেন করলেন এমন কাজ? জানুন বিস্তারিত

উত্তর ২৪ পরগনা: অবশেষে পুলিশের জালে জেলা জুড়ে চলা বাচ্চা চুরির গুজবের মূল মাস্টারমাইন্ড। কীভাবে শুরু হয়েছিল এই বাচ্চা চুরির গুজব ছড়ানো! কি কারণে এই গুজব ছড়ালো তার পিছনে থাকা বড় কারণ উদঘাটন করল বারাসাত জেলা পুলিশ। এদিন বারাসাত থানায় রীতিমত সাংবাদিক সম্মেলন করে এই ঘটনার রহস্য প্রকাশ্যে আনেন বারাসাত পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার প্রতীক্ষা ঝাড়খরিয়ার।

জানা যায়, বারাসাত কাজীপাড়ায় নিখোঁজ থাকা শিশুর দেহ উদ্ধার হওয়ার ঘটনার তদন্তে নেমে, শিশুটির সম্পর্কে জ্যাঠা আঞ্জীব নবিকে গ্রেফতার করে বারাসাত থানার পুলিশ। তাকে পুলিশি জিজ্ঞাসায় উঠে আসে এই বাচ্চা চুরির গুজবের একেবারে গোড়ার কথা। পুলিশের তরফ থেকে জানা যায়ব, কাজীপাড়ার ওই শিশুটিকে প্রতিহিংসার বশে খুন করেন এই অভিযুক্ত আঞ্জীব নবি। তবে পুলিশি তদন্তের মোড় ঘোরাতে গুজব ছড়ান বাচ্চা চুরি করে শরীর থেকে অঙ্গ বের করে নেওয়ার বীভৎস কাহিনী শুনিয়ে।

কখনও ছেলেধরা, কখনও কিডনি পাচার এ ধরনের নানা রকম গুজব ছড়ান খুনের ঘটনা আড়াল করতে। যেহেতু তিনি স্থানীয় মসজিদে আজানের কাজ করতেন, তাই এলাকার মানুষজনও তার কথা সহজেই বিশ্বাস করে নেন। যা একান্তই আঞ্জীব নবির মস্তিষ্ক প্রসূত বলে দাবি বারাসাত পুলিশ সুপার প্রতীক্ষা ঝাড়খরিয়ার। সেই প্রত্যেককে জানিয়েছে বাইরের লোক দেখলেই মারধর করতে হবে। তাতেই মানুষজন বাইরের লোককে দেখলে আতঙ্কে উত্তপ্ত হয়ে মারধর করতে শুরু করেন।

এরপর থেকেই জেলার নানা প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে এই আতঙ্ক। মহিলা সহ বেশ কয়েকজন কে এই সন্দেহের বশে গণপিটুনির শিকার হতে হয়। পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে সচেতনতা মূলক প্রচারের পাশাপাশি গ্রেফতার করতে হয় প্রায় ৪৫ জনকে। তবে অবশেষে কাজীপাড়ায় শিশু খুনের কিনারার মধ্যে দিয়েই জেলা জুড়ে চলা এই গুজবের আসল মাস্টারমাইন্ডকে ধরে প্রশাসন।

আরও পড়ুনঃ T20 World Cup 2024 Semifinal: সেমিফাইনালে কোন দেশের বিরুদ্ধে খেলবে ভারত? কবে-কখন হবে ম্যাচ? জেনে নিন বিস্তারিত

প্রসঙ্গত, এদিন দেগঙ্গা এলাকায় এক মহিলাকে ছেলে ধরা সন্দেহে গ্রামবাসীরা আটক করলেও কোনরকম আইন হাতে তুলে নেয়নি। অবশেষে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এই বিষয়টিকে পুলিশি সচেতনতার প্রভাব বলেই মনে করছে জেলা পুলিশের কর্তারা। তবে আরও বেশ কয়েকদিন জেলার বিভিন্ন স্কুল সহ অন্যান্য থানা গুলিতেও এই গুজব আটকাতে সচেতনতা প্রচার চালানো হবে বলেই জেলা পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে।

Rudra Narayan Roy

North 24 Parganas News: বাচ্চা চুরির গুজবে তোলপাড় বারাসত… লিফলেট বিলি শুরু করল পুলিশ

উত্তর ২৪ পরগনা: শিশুপাচার সন্দেহে বারবার উত্তপ্ত হয়ে উঠছে জেলা সদর শহর বারাসত। বাচ্চা পাচারকারী সন্দেহে ইতিমধ্যেই কয়েকজনকে বেধড়ক মারধর করা হয়। যার মধ্যে আছেন মহিলারাও। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁরা সকলেই এখন বারাসত জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

বেশ কিছুদিন ধরেই জেলা পুলিশের তরফ থেকে প্রচার চালানো হচ্ছে বাচ্চা চুরির এই গুজবে কান না দেওয়ার জন্য। ওই দিনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই ১৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের আদালতেও পেশ করা হয়। তবে তাতেও ক্ষান্ত হয়নি জেলা পুলিশ প্রশাসন। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

এদিন বারাসত জেলা সদর-সহ বারাসাত জেলা পুলিশের বিভিন্ন জায়গায় রাস্তায় নেমে লিফলেট বিলি করতে দেখা গেল পুলিশ আধিকারিকদের। বিভিন্ন স্কুলের সামনে অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে এই গুজবে কান না দেওয়ার কথাও জানানো হয় পুলিশের তরফ থেকে। গোবরডাঙ্গা, অশোকনগর, হাবড়া সহ বিভিন্ন থানা এলাকায় মাইকিং প্রচার করতে দেখা যায় স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে।  বিষয়টি নিয়ে এখনও চাপা আতঙ্ক রয়েছে অভিভাবকদের মধ্যে। সেই আতঙ্ক কাটিয়ে পুনরায় স্বাভাবিক ছন্দে ফেরানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে। যাতে এমন কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্যই বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতেই রাস্তায় নামেন জেলা পুলিশের কর্তারা।

টোটো নিয়ে বড় খবর, রাস্তায় দাপাদাপির দিন শেষ, প্রশাসনের বড়সড় সিদ্ধান্ত

উত্তর ২৪ পরগনা: বারাসত মোটর ভেহিকেলস দফতর ও পুলিশ প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে এদিন বারাসাতের প্রাণকেন্দ্র চাপাডালি মোড়ে অনিয়ন্ত্রিত টোটোর ক্ষেত্রে লাগাম টানতে বিশেষ কর্মসূচির গ্রহণ করল।

জানা যায়, আরটিও দফতর ও বারাসাত থানার পুলিশ এদিন রাস্তায় নেমে পথ চলতি টোটো চালকদের দাঁড় করিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের তরফ থেকে দেওয়া কিউআর কোড পরীক্ষা করে দেখা হয়। সেখানেই যে সমস্ত টোটোর কিউআর কোড নেই, তাদের রীতিমতো সিজ করা হয় গাড়ি।

প্রশাসনের উচ্চতর কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে বারাসাতে ক্রমে বেড়ে চলা অনিয়ন্ত্রিত টোটো চালকদের লাগাম টানতে কিউআর কোড চালু করা হয়েছিল।

আরও পড়ুন- গ্রীষ্মকালের অপেক্ষা করতে হবে না… এই আম পাওয়া যায় সারা বছর

বারাসাত এলাকায় বিভিন্ন রুটে চলাচল করা টোটোর গায়ে নির্দিষ্ট কিউআর কোড লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও দেখা যায় ক্রমেই জেলা সদর শহরে কিউআর কোড বিহীন টোটোর রমরমা বাড়তে থাকে।

বিভিন্ন মাধ্যম থেকেই সেই অভিযোগ জমা পড়ছিল প্রশাসনের কাছে। এদিন তাই বিশেষ কর্মসূচি হিসেবে প্রশাসনের তরফে এই নজরদারি চালানো হল বারাসাত শহরে। তবে এদিন হঠাৎই এমন নজরদারির ফলে সমস্যায় পড়লেন টোটো চালকরাও।

অনেকেই জানালেন, টোটোর কিউআর কোড পাওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই টাকা-সহ আবেদন জমা করেছেন, তবে মেলেনি কিউআর কোড। অনেক টোটোতেই আবার ইউনিয়নের লোগো লাগিয়ে চলছে যাত্রী পরিষেবা।

বারাসত টোটো ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকা তাপস দাশগুপ্ত জানান, ইউনিয়নের তরফ থেকে কোনওরকম অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হয় না। কিউ আর কোড-এর জন্য আবেদন জমা পড়েছে। সেক্ষেত্রে ইউনিয়নের লোগো দেওয়া হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যেই কিউআর কোড পাবেন নতুন টোটো চালকরা।

বিজেপির উপর দোষ চাপিয়ে তিনি জানিয়েছেন তৃণমূলকে কালিমালিপ্ত করতেই এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে কিছু বিজেপি কর্মী। এমন ঘটনা যদি হয়ে থাকে, প্রমাণ করে দিক।

আরও পড়ুন- তুলি ধরা মুখে! রঙের আঁচড়ে ৫ মিনিটে ফুটে উঠল কবিগুরুর প্রতিকৃতি, বাহবা শিল্পীকে

ইউনিয়নের তরফে এমন ঘটনা ঘটলে সাসপেন্ড করা হবে বলেও জানান তিনি। তবে হঠাৎ প্রশাসনের এমন কড়াকড়িতে কিছুটা হলেও সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ টোটো যাত্রীরা। মাঝ পথেই নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে তাঁদের।

আগামী দিনেও এমন নজরদারি চালানো হবে বলে জানা গিয়েছে। প্রশাসনের তরফ থেকে সতর্ক করে জানানো হয়েছে, কিউআর কোড ছাড়া কোন টোটোই চালানো যাবে না রাস্তায়।

Rudra Narayan Roy

Child Theft Rumor: বাচ্চা চুরির গুজবে রণক্ষেত্র বারাসত, মারধর-পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর

উত্তর ২৪ পরগনা: ছেলেধরা এসে এলাকা থেকে বাচ্চাদের চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে, এই আতঙ্ককে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল বারাসত। স্রেফ সন্দেহের জেরে বাচ্চা চোর ভেবে বেধড়ক মারধর করল এক মহিলাকে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছলে এলাকাবাসীদের ক্ষোভের আগুন গিয়ে পড়ে পুলিশের উপর। পুলিশের গাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়।

বারাসতের কাজীপাড়ায় শিশু মৃত্যুর ঘটনার পর সমাজ মাধ্যমে একটি পোস্ট ভাইরাল হয়। সেখানে এক মহিলার ছবি দিয়ে দাবি করা হয়, বারাসতে নিত্যদিন তিনি বাচ্চা চুরি করে বেড়াচ্ছেন। তারপর থেকেই এলাকাবাসীদের মনে আতঙ্ক ছড়িয়েছিল। এদিন বারাসত সেন্ট্রাল মডেল স্কুল এবং বারাসত তেঁতুলতলায় দুটি বাচ্চার নিখোঁজ হওয়ার খবর আসে। তারপর থেকেই ভেতরে ভেতরে উত্তেজনা বাড়ছিল। সেই সময় এক মহিলাকে বাচ্চা নিয়ে উঠতে দেখে তাঁকে ছেলে ধরা ভেবে বসে এলাকার মানুষ।

আর‌ও পড়ুন: দেশের বৃহত্তম হিজল বন বাংলায়, সার্ভের পরই হবে সংরক্ষণ

এলাকায় উত্তেজনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পুলিশ। সেখানে ব্যাপক ধস্তাধস্তি শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে স্থানীয়দের। সামাজিক মাধ্যমে ভুয়ো পোস্টের বিষয়টি নজরে আসার পর থেকেই পুলিশের পক্ষ থেকে সতর্ক করে দিয়ে প্রচার চালানো হচ্ছিল। কিন্তু তাতে যে কাজের কাজ কিছু হয়নি এদিনের ঘটনাই তার প্রমাণ। এদিনের ঘটনাকে গুজবের বহিঃপ্রকাশ বলে মনে করছেন এলাকার শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষজন।

এই ঘটনাকে ঘিরে স্থানীয়দের একাংশের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়। তাতে কিছু পুলিশকর্মী আহত‌ও হন। বারাসাত থানার দুটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এক সময় পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে আসতে হয় বারাসত জেলা পুলিশের এসডিপিও সহ বারাসাত থানার বিশাল পুলিশ বাহিনীকে। জনরোষ ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করা হয়। এদিকে গুজব ছড়ানোর অপরাধে কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ। এলাকাবাসীকে কোন‌ওরকম গুজবে কান না দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।

রুদ্রনারায়ণ রায়

North 24 Parganas News: ফিরল না বছর ১১ নবি! এমন কাণ্ড কে ঘটাল জানতে চায় গোটা কাজীপাড়া

উত্তর ২৪ পরগনা: বাবার থেকে দু টাকা নিয়ে দোকানে খাবার কিনতে বেরিয়েছিল বছর ১১ ছেলেটি। কিন্তু আর ফেরা হল না তার। দিন কয়েক আগে ঘটা এই ঘটনায়, নিখোঁজের অভিযোগ করা হয়েছিল থানায়। খোঁজখবর নেওয়া হয়েছিল এলাকার চারপাশেও। অবশেষে, বারাসত থানার উত্তর কাজিপাড়া এলাকায় প্রতিবেশী বাড়ির শৌচালয় থেকে ঝুলন্ত পচাগলা অবস্থায় উদ্ধার হল ওই ছেলেটির দেহ। মৃত বালকের নাম ফারদিন নবি। পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, পাশের বাড়ির শৌচালয় থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে পুলিশকে খবর দেওয়া হলে, পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে।

আরও পড়ুন: জৈষ্ঠের বিকেলে ঘোড়ার পায়ের ধূলোয় ঢাকল মিনাখাঁর আকাশ! দেখুন ভিডিও

এরপরই পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে বাসিন্দারা যশোর রোড অবরোধ করেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাতে উত্তেজনা ছড়ায় বারাসাত পৌরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ড চৌচালা পাড়া নর্থ কাজিপাড়া এলাকায়। মৃতের পরিবারের দাবি, খুন করেই ওই শৌচালয়ে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে ছেলেটিকে। তবে কেন কী কারণে খুন করা হল পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র ফারদিন নবিকে তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে পরিবারের তরফ থেকে জানান হয়, কারো সঙ্গেই কোনরকম শত্রুতা ছিল না তাদের। বাড়ির ছোট্ট ছেলের এমন মৃত্যুতে রীতিমতো কান্নায় ভেঙে পড়েছে গোটা পরিবার। গোটা ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

Rudra Narayan Roy

Lok Sabha Election 2024: পোলাও, মাংস, লুচিতেই শেষ নয়! বিয়ের মেনুকেও হার মানাবে গণনা কেন্দ্রের খাবার

উত্তর ২৪ পরগনা: বিয়েবাড়ির আয়োজনকেও হার মানালো বারাসত লোকসভা কেন্দ্রের ভোট গণনায় নির্বাচন কমিশনের তরফে আয়োজন করা ভোট কর্মীদের খাবার মেনু। কী নেই সেখানে! পোলাও মাংস থেকে শুরু করে পনির লুচি আলুর দম, কেক, ফ্রুটি এলাহি আয়োজন। ভোট গণনা শুরুর অনেক আগে থেকেই উনোনে চেপেছিল রান্না। প্রায় ভোর রাত থেকেই আয়োজন শুরু হয় বারাসত গভমেন্ট কলেজের মাঠে।

যে সংস্থাকে এই খাবার তৈরির বরাত দেওয়া হয়েছিল তারাও জোর প্রস্তুতিতে সকাল থেকে করলেন রান্নার কাজ। এলাহি আয়োজনে তখন মো মো করছে গোটা ভোট গণনা কেন্দ্র। বিরিয়ানিতে আলুর পাশাপাশি প্রায় দেড়শ গ্রামের মাংসের পিসের দেখা মিলল। একদিকে যেমন পরপর তৈরি হচ্ছে বিরিয়ানি। অন্যদিকে তখন পোলাও মাংস টিফিন বক্সে ভরতে ব্যস্ত ভোট কর্মীরা।

আরও পড়ুন: ভোটের রেজাল্ট হোক বা অন্য কারণ, রাগ কমান! না হলে মৃত্যৃও হতে পারে! জানুন টিপস

কয়েক হাজার ভোট কর্মীর সকাল-বিকেল এবং সন্ধ্যের খাবারের বন্দোবস্ত করা হচ্ছে এখানেই। ভোটের গণনায় যখন প্রার্থীদের ভাগ্য নির্ধারিত হচ্ছে, তখন এক প্রান্তে চলছে রান্না। সকালের টিফিন সেরে দুপুরে পোলাও মাংসতে ভোট কর্মীদের পেট পুজো করতে দেখা গেল গণনার ফাঁকেই। সন্ধ্যের আয়োজনে এখন তাই চলছে বিরিয়ানি রান্না। সব মিলিয়ে লোকসভা ভোটের এই শেষ মুহূর্তের আবহে খাবারের আয়োজনে রীতিমত হিট বিরিয়ানি ও মাংস পোলাও। ভোট কর্মীরাও বেজায় খুশি এই মেনু পেয়ে।

Rudra Narayan Roy

Lok Sabha Elections 2024: ইতিহাসে ঠাসা রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট! রাত পোহালেই বারাসতে ভোটযুদ্ধ! এক নজরে নির্বাচনের খুঁটিনাটি

বারাসত: বারাসত জেলার সদর শহর। তবে এই শহরের ইতিহাস যেমন বেশ পুরনো, তেমনই এই লোকসভা কেন্দ্রে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ঘাঁটি থাকায়, নানা রাজনৈতিক বৈচিত্র্যেরও সাক্ষী থেকেছে। যদিও অতীতে এই লোকসভা কেন্দ্রের বিস্তৃতি ছিল সুদূর। তখন বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্র তৈরি না হওয়ায়, বেশ কিছুটা অংশ ছিল বারাসত লোকসভা কেন্দ্রের অধীনে।

২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের সপ্তম দফা ভোটগ্রহণ

২০০৪ সালে এই লোকসভা কেন্দ্রের অধীনে ছিল বাগদা, বনগাঁ, গাইঘাটা বিধানসভা কেন্দ্র। ২০০৯ সালে এই লোকসভা কেন্দ্রের চিত্র অনেকটাই পাল্টে যায়। এরপর বারাসত লোকসভা কেন্দ্রের আয়তন অনেকটা কমিয়ে, নদিয়া জেলার দুটি বিধানসভা নিয়ে আলাদাভাবে তৈরি হয় বনগাঁ লোকসভা। বাকি হাবড়া, অশোকনগর, রাজারহাট, নিউটাউন, বিধাননগর, মধ্যমগ্রাম, বারাসত এবং দেগঙ্গা বিধানসভা নিয়ে থেকে যায় বারাসত লোকসভা কেন্দ্র।

আরও পড়ুনঃ প্রবল বর্ষণে বিপর্যস্ত রেল পরিষেবা! বাতিল হল একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন, রইল তালিকা

১৯৫৭ সাল এবং ১৯৬২ সালে কংগ্রেসের অরুণ চন্দ্র গুহ এই কেন্দ্র থেকে প্রথম জয়লাভ করেছিলেন। এরপর, এই কেন্দ্রে বাম মনস্ক রাজনীতির প্রভাব বাড়তে শুরু করে। ১৯৬৭ এবং ৭১ সালের নির্বাচনে সিপিআইয়ের রণেন্দ্রনাথ সেন জয়লাভ করেন। পরবর্তীতে, বারাসত হয়ে ওঠে ফরওয়ার্ড ব্লকের শক্ত ঘাঁটি। বারাসতের রাজনীতির আনাচে কানাচে আজও যেন ঘুরে বেড়ায় প্রয়াত ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা চিত্ত বসুর কথা। বারাসত থেকে পাঁচবার সাংসদ নির্বাচিত হন তিনি। যদিও মাঝে একবার বদল হয় রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট। কংগ্রেসের তরুণকান্তি ঘোষ ফরওয়ার্ড ব্লকের চিত্ত বসুকে পরাজিত করেন। তারপর অবশ্য আবারও বেশ কয়েকবার ফরওয়ার্ড ব্লকের চিত্ত বসুই জয়লাভ করেন।

এরপর থেকেই ধীরে ধীরে এই কেন্দ্রে সিংহের গর্জন থেমে, ঘাসফুলের জোয়ার আসে। বাড়তে শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রভাব। ১৯৯৯ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী ডঃ রঞ্জিত কুমার পাঁজা এই কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করেন। কিন্তু, ২০০৪ সালে ফের এই কেন্দ্রটি নিজেদের দখলে নেয় বামফ্রন্ট। ২০০৪ সালে ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রার্থী সুব্রত বোস তৃণমূল কংগ্রেসের ডাঃ রাঞ্জিত কুমার পাঁজাকে পরাজিত করেন। ২০০৯ সালের পর থেকে এই কেন্দ্রে ফের তৃণমূল কংগ্রেস তার প্রভাব বিস্তার শুরু করে। তৎকালীন তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই কেন্দ্র থেকে লোকসভা নির্বাচনে লড়াইয়ের জন্য বেছে নেন ডঃ কাকলি ঘোষ দস্তিদারকে।

আরও পড়ুনঃ ফলে গেল প্রিয়জনের ‘কু’ডাক’, ভাগীরথীতে শেষ পড়ুয়ার জীবন! ভয়ঙ্কর এক ঘটনা

২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্র থেকে প্রায় ১ লক্ষ ২২ হাজার ৯০১ ভোটের বিশাল ব্যবধানে নির্বাচিত হয়েছিলেন কাকলি। ২০১৪ সাধারণ নির্বাচনে বারাসত লোকসভা কেন্দ্র পুনরায় নির্বাচিত হন সেই কাকলি। সেবার তিনি ভোট পেয়েছিলেন মোট ৫ লক্ষ ২৫ হাজার ৩৮৭ টি, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফরওয়ার্ড ব্লকের মোর্তজা হোসেনকে পরাস্ত করে আবারও ফের সাংসদ নির্বাচিত হন কাকলি ঘোষ দস্তিদার। ২০১৯ সাধারণ নির্বাচনে এই এক‌ই লোকসভা কেন্দ্র থেকে পুনঃনির্বাচিত হন এবং কার্যত হ্যাট্রিক করেন কাকলি। এ বার তিনি মোট ৬ লক্ষ ৪৮ হাজার ৪৪৪ টি ভোট পান। সেইবার তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিজেপির মৃণাল কান্তি দেবনাথ।

রাত পোহালেই ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে ভোট দেবে বারাসাত লোকসভা কেন্দ্রের ভোটাররা। এই কেন্দ্রে মোট ভোটার ১৯ লক্ষ ৫ হাজার ৪০০ জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটার রয়েছেন ৯ লক্ষ ৫৮ হাজার ৮৯২ এবং মহিলা ভোটার ৯ লক্ষ ৪৬ হাজার ৪৪৩ জন। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার মাত্র ৬৫। এই লোকসভা কেন্দ্রে মোট ভোট গ্রহণ কেন্দ্র ১৯৯১টি, যার মধ্যে অতি স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা মাত্র ২৭০। কেন্দ্রে মোট ১২ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারিত হবে।

এ বারের নির্বাচনে রাজ্যের শাসক দল তথা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী কাকলি ঘোষ দস্তিদার দাবি করছেন অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে জয়ী হবেন তিনিই। তবে বিজেপি প্রার্থী স্বপন মজুমদার এর পাশাপাশি ফরওয়ার্ড ব্লক ও আইএসএফ প্রার্থীও যথেষ্টই ভোট টানবে বলেই মত রাজনৈতিক মহলের। ফলে যে কোনও সময়ে ঘুরে যেতে পারে পাল্লা। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে শেষ হাসি কে হাসে তার জন্য অপেক্ষা ভোট গণনা পর্যন্ত। বারাসত লোকসভা কেন্দ্রে গত তিনবারের মতো ঘাসফুল ফোটে নাকি, গেরুয়া আবিরে পদ্ম ফোটে তা অবশ্য বলবে মানুষের রায়।

Rudra Narayan Roy

Barasat News: বাবার কথায় অভিমান, চিরকুট লিখে বাড়িছাড়া ছোট্ট মেয়ে! পটনা থেকে উদ্ধার ছাত্রী, কী ঘটেছিল সেদিন… অবাক হবেন

উত্তর ২৪ পরগনা: বাবার বকুনিতে অভিমান, চিরকুট লিখে বাড়ি ছেড়েছিলেন সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। নিজে প্রতিষ্ঠিত হয়ে তবেই ফিরবেন বাড়িতে, এমনটাই জানিয়ে বাড়ি ছাড়ে সে। বারাসত পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের নোয়াপাড়া কাঠগোলার বাসিন্দা ওই ছাত্রী। অবশেষে ৪৮ ঘণ্টা পর তার খোঁজ মিলল বাড়ি থেকে প্রায় ৬০০ কিলোমিটার দূরে। বিহারের পটনার দানাপুর থেকে উদ্ধার করা হয় বারাসতের ওই নিখোঁজ ছাত্রীকে।

স্থানীয় এবং পরিবার সূত্রে জানা যায়, নিখোঁজ হয়ে যাওয়া ছাত্রী স্থানীয় সারদা শিশুবিহার স্কুলে সপ্তম শ্রেণীতে পড়ে। তার বাবা একটি বেসরকারি সংস্থার ডেলিভারি বয়ের কাজ করেন। কয়েকদিন আগে কাজ থেকে বাড়ি ফিরে তিনি ডেলিভারির টাকার হিসেব নিয়ে বসেছিলেন। ছোট মেয়ে অর্থাৎ উদ্ধার হওয়ার ছাত্রী সেই সময় বাবার সঙ্গে হিসেবে হাত লাগিয়েছিল। পরে মেয়ে চলে গেলে হিসাব মেলানোর শেষে বাবা দেখেন দেড় হাজার টাকা মতো গড়মিল।

এরপরই মেয়েকে টাকা ফেরত দিতে বলে। বকুনি দেওয়ার সময় কথাকাটাকটিতে ‘চোর’ বলে ফেলেন। বাবার থেকে একথা শুনেই নাবালিকার মনে আঘাত লাগে। কিন্তু সেই সময় বিষয়টি বাড়ির অন্যান্যদের বুঝতে না দিয়ে পরের দিনই একটি চিরকুট লিখে প্রাইভেট টিউশনের নাম করে ওই ছাত্রী বাড়ি থেকে বের হয়।

আরও পড়ুন: ঢাক বাজালেন মহিলারা, বসিরহাটের নদী ইছামতীকে বরণ করলেন ঘরের লক্ষ্মীরা, এভাবেই ভোটপ্রচার শুরু TMC প্রার্থীর

এরপর দীর্ঘক্ষণ পেরিয়ে গেলেও, বোন বাড়িতে না আসায় চিন্তিত হয়ে পড়েন দিদি। প্রাইভেট টিউটরকে ফোন করে জানতে পারেন বোন পড়তে যায়নি। এরপরই চারদিকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন পরিবারের লোকজন।

তারই মাঝে ঘরের সোফায় নিখোঁজ মেয়ের লেখা একটা চিরকুট উদ্ধার করেন পরিবারের লোকজন। চিরকুটে লেখা ছিল, ‘বাবার কথাটা আমি মন থেকে মেনে নিতে পারিনি। তাই বাড়ি থেকে চলে যাচ্ছি। নিজে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরই ফিরে আসব।”

মেয়েকে ফিরে পেতে বারাসত থানার দ্বারস্থ হয় পরিবার। খোঁজখবর শুরু করে পুলিশ। অবশেষে পটনা থেকে উদ্ধার করা হল ছাত্রীকে। যদিও উদ্ধার হওয়ার পর ওই ছাত্রী জানান, নানাভাবে বাবা ধার বাকির কারণে টাকা সরিয়ে অপবাদ দিত তার উপর, তা কোনওভাবেই মেনে নিতে না পেরেই এমন সিদ্ধান্ত। পাশাপাশি বাবা মার মধ্যেও চলত অশান্তি, তার প্রভাবও পড়ত মেয়ের উপর। তাই বাধ্য হয়েই একপ্রকার ঘর ছাড়ে ওই ছাত্রী। যদিও মেয়ের উদ্ধারের খবর পেতেই স্বস্তি নেমেছে ওই পরিবারে। পুলিশের তরফ থেকে জানা গিয়েছে সুস্থভাবেই পটনা থেকে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে বারাসতের ওই ছাত্রীকে।

Rudra Narayan Roy

North 24 Parganas News: প্রকাশ্যে বামেদের ফলাফল জানালেন মীনাক্ষী! রাজপথে উড়ল লাল ঝান্ডা

উত্তর ২৪ পরগনা: সিপিআইমের এক সময় শক্ত ঘাঁটি ছিল উত্তর ২৪ পরগনা জেলার মধ্যমগ্রাম। শেষ পর্যায়ে লোকসভা নির্বাচনে বামফ্রন্ট প্রার্থী সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের হয়ে মধ্যমগ্রামে প্রচারে আসলেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। মধ্যমগ্রাম ওভারব্রিজ পার করে আরতি সিনেমা হল এলাকা থেকে শুরু করে চৌমাথা ঘুরে বাদুর রোডে গিয়ে এই শোভাযাত্রা শেষ হয়।

ঘড়ির কাঁটায় তখন রাত দশটা বাজলেও মীনাক্ষীকে দেখতে সোদপুর রোডে উপচে পড়েছিল ভিড়। কেউ মীনাক্ষীকে দিলেন ফুলের তোড়া, কেউ আবার মোবাইলে মীনাক্ষীর ছবি তুলতে ব্যস্ত। এদিনের বাম প্রার্থীর সমর্থনে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মত। বামফ্রন্টের বারাসাত লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থীকেও এদিন দেখো দেখা গেল অনেকটাই আত্মবিশ্বাসী।

আরও পড়ুনঃ Lok Sabha Elections 2024: শেষ বেলায় প্রচারে ঝড়, দেবাংশুর সমর্থনে তমলুকে রোড শো করলেন ইউসুফ পাঠান

উই শ্যাল ওভারকাম, আমরা করবো জয় গান গেয়ে এগিয়ে চলল নির্বাচনী প্রচারে বামেদের শোভাযাত্রা। পাশাপাশি এদিন বারাসাতের শতদল মাঠ থেকে মিছিল করে ডাকবাংলো মোড় হয়ে হেলাবটতলা পর্যন্ত আরও একটি পদযাত্রায়ও শামিল হন মীনাক্ষী। শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মীনাক্ষী জানান, এবার জয় নিশ্চিত। ২৪-এ বিপ্লব, ২৬-এ সরকার বদলের হুঙ্কার দিয়েছেন বাম নেত্রী।