Dev: ২০২৬-এর ভোট প্রচারে থাকবেন না, কোন শর্ত দিলেন দেব? ঘাটালে দাঁড়িয়েই নতুন ঘোষণা

সুকান্ত চক্রবর্তী, ঘাটাল: তিনি তৃতীয় বার সাংসদ হলেও কেন ঘাটালের বন্যা সমস্যার সমাধান করতে পারলেন না? গত কয়েকদিন ধরেই বিরোধীদের এই প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে সাংসদ দেবকে৷ ঘাটালের তারকা সাংসদ অবশ্য দাবি করলেন, বন্যা সমস্যার সমাধানে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান প্রকল্প কার্যকর করা হবে, দলের শীর্ষ নেতৃত্বের থেকে এই প্রতিশ্রুতি পেয়েই রাজনীতিতে থেকে গিয়েছেন তিনি৷ রবিবার দেব একই সঙ্গে জানিয়ে দিয়েছেন, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাজ শুরু না হলে ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটের প্রচারেও থাকবেন না তিনি৷

রবিবার ফের একবার ঘাটালের বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন দেব৷ দুর্গতদের হাতে ত্রাণও তুলে দেন ঘাটালের সাংসদ৷ বিরোধীদের সমালোচনার জবাব দিয়ে দেব বলেন, তিন মাসে তো ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাজ করা সম্ভব নয়৷ পাঁচ বছর সময় লাগবে৷ ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের পুরনো যে পরিকল্পনা ছিল, তাতে ঘাটাল শহরের একটা বড় অংশের মধ্যে দিয়ে নদীকে নিয়ে যাওয়ার পথ তৈরি করতে হত৷ যা সম্ভব নয়৷ নতুন পরিকল্পনা তৈরি করে জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু হয়েছে৷

দেব আরও বলেন, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান হবে, এই শর্তেই আমি রাজনীতিতে ফিরেছি৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দু জনেই আমাকে এই কথা দিয়েছেন৷ এর পরেও যদি ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাজ না হয়, তাহলে আমি ২০২৬ সালের ভোট প্রচারেও থাকব না৷

আরও পড়ুন: আজ জেলমুক্তি অনুব্রতর, মঙ্গলবারই মমতার সঙ্গে সাক্ষাৎ? বোলপুরে প্রস্তুতি তুঙ্গে

প্রসঙ্গত, কয়েক দিন আগে ঘাটালে বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও দাবি করেছিলেন, দু বছরের মধ্যেই ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাজ শেষ করা হবে৷ পুরো প্রকল্পের খরচই বহন করবে রাজ্য সরকার৷

ঘাটালে বন্যা শুরু হওয়ার পরই দেবের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি বিধায়ক এবং লোকসভা নির্বাচনে দেবের প্রতিপক্ষ হিরণ চট্টোপাধ্যায়৷ তিনি বলেছিলেন, ‘ঘাটালের মানুষ সব জেনেই ওনাকে জিতিয়েছেন, এখন তার ফল ভুগতে হচ্ছে৷ আমি হেরে গেলেও যেটুকু করার করছি৷’ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও বলেন, ‘উনি এগারো বছরের সাংসদ, তিন মাসের নয়৷ ঘাটালে গিয়ে গ্রামে গ্রামে ঢোকার সাহস হল না কেন? মানুষের ভোটে তো জেতেননি৷ ওনাকে বলব, রাজধর্ম পালন করুন৷’