বড়নগর গ্রামের চারবাংলা মন্দির 

Tourism: মুকুটে জুড়েছে পালক! পর্যটনের আরও বৃদ্ধির দাবি, কী রয়েছে এই বড়নগরে? জানুন

মুর্শিদাবাদ: আজিমগঞ্জ ব্লকের অন্তর্গত বড়নগর গ্রামকে কেন্দ্রীয় সরকার দিচ্ছে সেরা পর্যটন গ্রাম। বড়নগর গ্রামে আছে চারবাংলার মন্দির-সহ একাধিক মন্দির। তবে বর্তমানে এই জায়গায় যোগাযোগ ব্যবস্থা খুব উন্নত নেই। ফলে পর্যটকরা আরও আসুক চাইছেন সকলেই।

আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ব পর্যটন দিবসে বড়নগর গ্রামকে এই পুরস্কার দেবে কেন্দ্র। যদিও এই স্বীকৃতি পাওয়ার অনেক আগে থেকেই প্রতি বছর নিয়ম করে দেশ-বিদেশের পর্যটকরা এসে ভিড় করেন এই গ্রামে। একদিকে পরিচ্ছন্নতা এবং অন্যদিকে ইতিহাসের হাতছানি। এই দুইয়ে বার বার মুগ্ধ হয়েছেন পর্যটকরা।

আরও পড়ুনঃ তুমুল জনপ্রিয়তা! সাতসকালে কেষ্টর কাছে ছুটে এলেন, কে এই ব্যক্তি? জানলে চোখ কপালে উঠবে

ট্যুরিস্ট স্পষ্ট হিসেবে ইতিমধ্যেই চিহ্নিত গ্রামটি। এই গ্রামের বহু বাসিন্দাই তাঁত শিল্পের সঙ্গে যুক্ত। তাঁরা বালুচরি, জামদানি, টাঙ্গাইল ইত্যাদি সুক্ষ্ম বস্ত্র উৎপাদন করেন। এছাড়াও গ্রামের বহু মানুষ মৃৎশিল্পের সঙ্গে যুক্ত। বাঁশ ও বেতের কারুশিল্পের কাজও করেন গ্রামের মানুষ। এই শিল্পগুলিকে সামনে রেখেই গ্রামের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলা সদস্যরা ক্রমশ সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। তবে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকলেও এখানে অনেক পর্যটকরা আসতে চাননা। তবে এবার হয়তো আরও বেশি করে এআ গ্রামকে জানবে এবং পর্যটকদের আরও বৃদ্ধি হবে বলেই দাবি পর্যটক থেকে গ্রামের বাসিন্দা সকলের।

আরও পড়ুনঃ রাজা-রানির মতো পুজো কাটাতে চান? ঘুরে আসুন ‘লুটেরা’র সেই রাজবাড়িতে, খরচও মধ্যবিত্তের নাগালে

প্রসঙ্গত, পরিবেশ- শিক্ষা-পর্যটন সহ বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখে প্রতি বছরই দেশের একটি গ্রামকে সেরা পর্যটন গ্রামের স্বীকৃতি দেয় কেন্দ্র। অষ্টাদশ শতকে নাটোর রাজ্যের রানি ভবানীর বহু স্মৃতি ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে এই গ্রামের চারপাশে। ভাগীরথী নদী লাগোয়া মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশের মধ্যেই রয়েছে চার বাংলা মন্দির। মন্দিরটি ছাড়াও টেরাকোটা মন্দির কমপ্লেক্সের মধ্যে রয়েছে-ভবানীশ্বর মন্দির, পঞ্চমুখী শিব মন্দির, সিদ্ধেশ্বরী মন্দির, অযোধ্যা মন্দির, আদ্যা মন্দির, রাজ-রাজেশ্বরী মন্দির, গঙ্গেশ্বর শিব মন্দির ইত্যাদি। প্রতিটি মন্দিরের গায়ে রয়েছে হিন্দু পুরাণের নানা ঘটনাবর্ণিত ছবি। রানি ভবানী নিজে অষ্টাদশ শতকে এই মন্দিরগুলি নির্মাণ করিয়েছিলেন।

গ্রামে পর্যটকদের ভিড় বাড়তে থাকায়, সম্প্রতি গড়ে উঠেছে হোম স্টে। সেখানে পর্যটকদের রাত্রিবাসের বন্দোবস্তও রয়েছে। এবার সেরা পর্যটন গ্রামের স্বীকৃতি পাওয়ার পরে পর্যটকদের ভিড়ও আগের তুলনায় আরও বাড়বে এবং আর্থ-সামাজিকভাবে আরও এগিয়ে যাবে বড়নগর। এমনটাই মনে করছেন এলাকার মানুষ।

কৌশিক অধিকারী