Tag Archives: Tourism
North Bengal Homestay: গরমে পাহাড়ে বেড়াতে যাচ্ছেন? উত্তরবঙ্গের সব হোমস্টে-এর হদিশ হাতের মুঠোয়! জানুন বিশদে
অনির্বাণ রায়, শিলিগুড়ি: ভ্রমণপ্রিয় মানুষের জন্য দারুণ খবর। বাঙালি ঘুরতে ভীষণ ভালবাসে। তবে ঘুরতে গেলে এখন মানুষ হোটেলের তুলনায় ঘরোয়া পরিবেশে হোমস্টেতে থাকতে বেশি পছন্দ করেন। কিন্তু মনের মতো হোমস্টে খুঁজে পেতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয় পর্যটকদের। তাই পর্যটকদের সুবিধার্থে শিলিগুড়ির এই যুবক এমন জিনিস তৈরি করলেন যেখানে এক ছাতার তলায় সব হোমস্টের খবর পেয়ে যাবে পর্যটকরা। হোমস্টে পর্যটনের ইতিহাসে সম্ভবত প্রথমবারের মতো, শিলিগুড়ির প্রভাকর থাপা একটি অনলাইন ওয়েবসাইট চালু করেছেন যেখানে সকল পর্যটক হোমস্টের সমস্ত তথ্য পেয়ে যাবে।
শিলিগুড়ির চম্পসারি মোড়ের বাসিন্দা প্রভাকর থাপা “Homestaying.in” একটি অনলাইন ওয়েব পোর্টাল বিশেষভাবে ডিজাইন করেছেন যাতে ভ্রমণকারীরা তাঁদের আদর্শ হোমস্টে খুব সহজেই খুঁজে পান এবং উত্তরবঙ্গের সমৃদ্ধ স্থানীয় সংস্কৃতি, খাদ্য, ঐতিহ্য এবং হোমস্টে ব্যবসার প্রচার করতে পারেন। এই প্ল্যাটফর্মটির বিশেষত্ব হল এখানে ভ্রমণমূলক ভিডিও সিরিজ বানানো হয়েছে, যেখানে সাউন্ড হিলার ভিত্তিক যোগব্যায়াম, হোমস্টের ঐতিহ্য এবং খাবারের ক্ষেত্রে তিনজন বিখ্যাত ট্রাভেল ব্লগার বা হোস্টদের যুক্ত করা হয়েছে। পর্যটকরা কীভাবে হোমস্টে-তে পৌঁছবেন সবকিছু সম্পর্কে বিস্তারে বলেছেন।
প্রভাকর জানান, ৩০০ টিরও বেশি হোমস্টের মালিক পোর্টালে তাঁদের নাম তালিকাভুক্ত করেছেন এবং ভ্রমণকারীদের জন্য সুবিধাগুলি বর্ণনা করেছেন। প্রভাকরের কথায়, আইআইটিটিএম ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ট্যুরিজম অ্যান্ড ট্রাভেল ম্যানেজমেন্ট সদর দফতর থেকে ম্যানেজমেন্টে স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা করার পর তাঁর একটি ছোট ভ্রমণ সংক্রান্ত ব্যবসা ছিল । কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে তা পর্যটন শিল্প বিশেষ করে হোমস্টের মালিকরা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন। তাঁর মতে, কেউ ঁদের হোমস্টে দেখতে প্রস্তুত ছিলেন না। তাঁরা তাঁদের জীবিকা নির্বাহের জন্য প্রায় সবকিছু হারিয়ে ফেলেছিলে।সংকটের পরে এবং তাদের আর্থিকভাবে স্থিতিশীল করার জন্য আগে, তিনি “Homestaying.in” প্ল্যাটফর্ম চালু করেছিলেন যেখান থেকে ভ্রমণকারীরা বিনামূল্যে তাঁদের পছন্দের গন্তব্যগুলি পেতে পারেন।
আরও পড়ুন : শেষ জীবনে পথের সঙ্গী, বোলপুরে শান্তিনিকেতনে সযত্নে রাখা আছে কবিগুরুর গাড়ি
তিনি বলেন, ” এটি শুধুমাত্র পর্যটন শিল্পকে উৎসাহিত করবে না বরং হোমস্টের মালিকদের অর্থনৈতিক অবস্থাকেও শক্তিশালী করবে।তাছাড়া, পর্যটকরাও তাদের বাজেটে জায়গা খোঁজার সুযোগ পাবেন”। দার্জিলিঙের মংপুতে অবস্থিত হোমস্টের মালিক লাপচেন লেপচা বলেন , ‘‘ আমি পোর্টালে আমার হোমস্টে স্থাপনা তালিকাভুক্ত করেছি।’’ তিনি বলেন, “মারাত্মক করোনাভাইরাস আমাদের ব্যবসা শেষ করে দিয়েছে৷ তবে আমরা আবারও ভ্রমণকারীদের আমাদের সেরা পরিষেবা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত৷ তারাও আশাবাদী যে সোনালি দিন শীঘ্রই ফিরে আসবে।”
Sikkim traffic control by AI: সিকিমে ঘুরতে যান? বদলে যাচ্ছে পরিবহণ ব্যবস্থা, ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণ করবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা
গ্যাংটক: পশ্চিমবঙ্গের পর্যটকদের কাছে সিকিম সব সময়েই পছন্দের গন্তব্য। দূরত্বও কম, খরচও খুব বেশি নয়, আর সৌন্দর্যের দিক থেকে সিকিমের থেকে চোখ ফেরানো অসম্ভব। তাই বাঙালির দিঘা, পুরী, দার্জিলিংয়ের সঙ্গে বাঙালির ভ্রমণকেন্দ্রের তালিকায় নতুন সংযোজন সিকিম। সেই সিকিমেই এ বার যান চলাচলে আসতে চলেছে বিপ্লব। গাড়ির গতিবেগ নিয়ন্ত্রণ-সহ গাড়ির কাগজ পরীক্ষা এ সব এ বার থেকে হতে পারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) মাধ্যমে।
আরও পড়ুন: সিকিমে ঘুরতে গিয়ে সব শেষ! পাহাড় থেকে ছিটকে নদীতে পড়ল গাড়ি, মৃত কলকাতার পর্যটক
সিকিমের রাস্তায় যে সব গাড়ি এবং বাইক যাতায়াত করে সেই সংক্রান্ত কাগজপত্র আপডেট করার নির্দেশ দিয়েছে সিকিমের পরিবহণ দফতর। রাস্তায় গাড়ি চালানোর সময় ওভারটেক করা, সিগনাল ভাঙা, অন্য লেনে ঢুকে পড়া, খারাপ ভাবে গাড়ি চালানো, এই সব কিছুর জন্যই এ বার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপর নির্ভর করতে চলেছে পরিবহন দফতর। এ ছাড়াও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার হাতেই থাকবে গাড়ির বিমা, কর, ফিটনেস, দূষণ সংক্রান্ত কাগজ প্রভৃতির বৈধতা পরীক্ষা করা এবং স্বয়ংক্রিয় ভাবে চালান কাটা যাবে।
আগামী শনিবার অর্থাৎ ২৫ মে থেকেই শুরু হতে চলেছে এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ। তাই সিকিমের পরিবহণ দফতরের সচিব গাড়ির সমস্ত কাগজপত্র আপডেট রাখতে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন। প্রসঙ্গত, প্রথম দিকে সিকিমের চারটি কেন্দ্র থেকে এই প্রযুক্তি কাজে লাগানো হবে। এর আগে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে যান নিয়ন্ত্রণ চালু করেছিল দিল্লি, তার পরেই সিকিম।
Travel: পরতে পরতে ইতিহাসের ছোঁয়া! পোড়ামাটির দেশে ছোট্ট ট্রিপ, হাঁসফাঁস গরমে ঘোরার সেরা ঠিকানা হতে পারে এই জায়গা
Kulik Bird Sanctuary: কমছে পাখির সংখ্যা, গুরুত্ব হারাচ্ছে কুলিক পাখিরালয়
উত্তর দিনাজপুর: কমছে পাখির সংখ্যা, গুরুত্ব হারাচ্ছে কুলিক পাখিরালয়। এশিয়া মহাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম পক্ষীনিবাস হিসেবে পরিচিত উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জের কুলিক পাখিরালয়। বিশেষ পদ্ধতিতে পাখি গণনার ফলাফল থেকে জানা গিয়েছিছ, গত কয়েক বছর ধরেই এখানে পরিযায়ী পাখিদের আসার সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। কিন্তু এবার পাওয়া গেল চিন্তার খবর।
সম্প্রতি উদ্বেগজনকভাবে কুলিক পাখিরালয়ে পাখিদের আসার সংখ্যা উদ্বেগজনকভাবে কমে গিয়েছে। সাধারণত প্রতিবছর মে মাসে পরিযায়ী পাখিদের আগমন ঘটে এখানে। নাইট হেরেন, ওপেন বিল স্টর্ক, কর্মরেন্ট ও এ গ্রেড এই চার প্রজাতির পাখির কলতানে মুখরিত হয়ে ওঠে কুলিক বনভূমি। প্রায় ৬-৭মাস এখানে প্রজনন থেকে শুরু করে শাবকদের লালন পালন ক্রিয়া সম্পন্ন করে পাখিরা। তারপর তারা নভেম্বর ডিসেম্বর মাসে পাড়ি জন্মায় ভিন দেশে। বছরের পর বছর ধরে এটাই হয়ে আসছে।
আরও পড়ুন: আম কোথায়! বাগানে বাগানে শুধুই হতাশা…চাষি থেকে খাদ্য রসিক মাথায় হাত সবার
কিন্তু ২০২৩ সাল থেকে এই নিয়মের ব্যতিক্রম দেখা যাচ্ছে। ক্রমশই কমছে এখানে আসা পাখির সংখ্যা। চলুন দেখে নেওয়া যাক গত পাঁচ বছরে কুলিক পাখিরালয়ে আসা পাখির পরিসংখ্যানটা কেমন ছিল। ২০১৮ সালে মোট পাখির সংখ্যা ছিল ৯৩ হাজার ৮৮ ।২০২০ সালে সেটা বেড়ে হয় ৯৯ হাজার ৬৩১। ২০২১ সালে পাখীর সংখ্যা ছিল মোট ৯৮ হাজার ৭৩৯। ২০২২ সাল ৯৯ হাজার ৩৯৩। কিন্তু হঠাৎ ২০২৩ সালে ছন্দ পতন ঘটে। জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও পরিয়ায়ী পাখিরা সেইভাবে আসেনি গতবছর।২০২২ সালের তুলনায় ২০-২২ হাজার পাখি কম এসেছিল ২০২৩ সালে। ২০২৩ সালে পাখির সংখ্যা ছিল ৭৮ হাজার ১৪১। এবছরেও একই পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে।
পরিবেশ প্রেমীদের মতে, মূলত পাখিরালয়ের পাশ দিয়ে জাতীয় সড়কে প্রতিনিয়ত অজস্র গাড়ি চলাচল করতে থাকায় এবং তার সংখ্যা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাওয়ায় এখানে পাখির আসাটা কমে যাচ্ছে। এছাড়াও সময়ে বৃষ্টি না হওয়া এবং খাদ্যের অভাবও পাখির সংখ্যা কমার অন্যতম কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।
পিয়া গুপ্তা
Offbeat Duars Destination: গরমের ছুটিতে ডুয়ার্স যাওয়ার প্ল্যান? জেনে নিন সেরা ৫ অফবিট ডেস্টিনেশন
Birbhum Tourism: বোলপুরে শর্ট ট্যুর করবেন? কয়েকটা সস্তার হোমস্টে, সঙ্গে রুট ম্যাপ রইল
বীরভূম: বীরভূমের মধ্যে অবস্থিত বোলপুর শহর। রাঙা মাটির জেলা বীরভূম আর এই রাঙ্গামাটির জেলা রাঙ্গামাটির শহর বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি জড়িত শহর বোলপুর শান্তিনিকেতন।এই বোলপুর শান্তিনিকেতনের আনাচেকানাচে লুকিয়ে রয়েছে অনেক না জানা গল্প। লুকিয়ে রয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিভিন্ন স্মৃতি। দেশ ছড়িয়ে বিদেশ থেকেও প্রত্যেকদিন হাজার হাজার পর্যটক ছুটে আসেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের টানে।এই বোলপুর শহর আসতে গেলে আপনি আসতে পারেন ট্রেনে অথবা নিজস্ব গাড়িতে বিভিন্ন স্টেশন থেকে বোলপুর আসার জন্য একাধিক ট্রেন রয়েছে।
তবে মনের মধ্যে একাধিক ইচ্ছে থাকলেও কাজের চাপে অথবা ব্যক্তিগত কারণে বোলপুর শান্তিনিকেতন আসা হয়ে ওঠেনা। আর মূলত আজকের প্রতিবেদন তাদের জন্য। এক নজরে ঘুরে দিন গোটা বোলপুর শান্তিনিকেতন। এই বোলপুর শান্তিনিকেতনের মধ্যে রয়েছে কবিগুরুর একাধিক দর্শনীয় জায়গা।যেমন বোলপুর স্টেশন থেকে কিছুটা দূরেই রয়েছে রবীন্দ্র ভবন ও রবীন্দ্রস্মৃতিধন্য উদীচী, শ্যামলী, উদয়ন ও কোনার্ক। কাছেই স্টুডিও চিত্রভানু।
আরও পড়ুন বিছানায় শুয়েছিলেন স্বামী-স্ত্রী! মাঝরাতে হঠাৎ স্ত্রী উঠে যা দেখলেন! তারপর…
অদূরে রয়েছে মহর্ষির প্রাণের আরাম, মনের আনন্দ ও আত্মার শান্তির ছাতিমতলা। ১৮৬১ সালে মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর বোলপুরের কাছে ২০ বিঘা জমি কিনে যে শান্তিনিকেতনের সূচনা করেন তা রবীন্দ্রনাথের হাতে বিশাল মহীরুহ হয়ে ওঠে। প্রসঙ্গত কয়েক মাস আগে ইউনেস্কো শান্তিনিকেতনের বেশ কিছু জায়গাতে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমা দিয়েছে। আর এই বোলপুর শান্তিনিকেতন থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার দূরত্ব অবস্থিত রয়েছে সোনাঝুড়ির হাট।
এই সোনাঝুরি হাট এখন আগত পর্যটকদের কাছে এক অন্যতম ভ্রমণের জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছে।এই সোনাঝুরি হাটে কয়েক বছর আগে স্থানীয় এলাকার বাসিন্দারা নিছক কয়েকটি জিনিসপত্র নিয়ে বসতেন। তবে কালের স্রোতে যত চাহিদা বেড়েছে সোনাঝুড়ির হাটের ততই মেলার আকারে রূপ নিয়েছে এই হাট। একসময় শনিবার বড় আকারে এই সোনাঝুরির হাটের মেলা বসততবে এখন প্রায় প্রত্যেকদিন কয়েক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এই হাট বসে থাকে।
সৌভিক রায়