পাঁশকুড়া: বন্যায় ভেসে যাওয়া মানুষের মুখে হাসি ফোটালেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়া কংসাবতী নদীর বাঁধভাঙা জলে প্লাবিত। সেই এলাকার মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প আয়োজনে জুনিয়র চিকিৎসদেক। বানভাসি এলাকার মানুষ বিনা পয়সায় চিকিৎসা পেয়ে খুশি। আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে রাজ্য জুড়ে জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতি জারি ছিল। ফের কাজের জায়গায় ফিরেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। পাশাপাশি আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ স্বরূপ বন্যা কবলিত এলাকায় এবার অবাক ক্লিনিক নামে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প শুরু করেছেন।
জল ঢুকে বন্যা কবলিত পাঁশকুড়া পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ড এবং পাঁশকুড়া পঞ্চায়েত সমিতির বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা। বিপন্ন হয় সাধারণ মানুষের জনজীবন। পাঁশকুড়ার বিস্তীর্ণ এলাকায় বন্যায় জলবন্দি হয়ে পড়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। তাঁদের চিকিৎসা পরিষেবা দিতে এবার এগিয়ে এলেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। পাঁশকুড়া নাগরিক সমাজের ব্যবস্থাপনায়, WBJDF-এর পরিচালনায় দু’টি ‘অভয়া ক্লিনিক’ খোলা হয়।
আরজি কর ঘটনায় জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনের প্রথম সারির মুখ মেদিনীপুরের দুই যুবক কিঞ্জল নন্দ এবং অনিকেত মাহাতো। তাঁদের উদ্যোগেই পাশকুড়ায় খোলা হল ‘অভয়া ক্লিনিক’। কিঞ্জল কনকপুর মক্তব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এবং গড় পুরুষোত্তমপুর ইউথ কর্নার ক্লাবে চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান করেন অনিকেত। এলাকার মানুষজন সকাল থেকেইa ক্যাম্পে হাজির হয়ে চিকিৎসা পরিষেবা গ্রহণ করেন। এমন সময় চিকিৎসা পরিষেবা পেয়ে খুশি এলাকার মানুষজন।
আর জিকর হাসপাতালের ৪০ জন চিকিৎসক দু’টি ভাগে ভাগ হয়ে বন্যাকবলিত পাঁশকুড়ায় চিকিৎসা পরিষেবা দিতে উপস্থিত হয়। বন্যা কবলিত এলাকায় যে সমস্ত মানুষ চিকিৎসার কারণে চিকিৎসকের কাছে পৌঁছতে পারছেন না, তাঁদের জন্য অভয়া ক্যাম্পের মাধ্যমে চিকিৎসা পরিষেবা তুলে দিলেন আর জি কর হাসপাতালে চিকিৎসক এবং নার্সরা। বন্যা কবলিত মানুষের শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রেসক্রিপশন লিখে ওষুধ পর্যন্ত তুলে দেওয়া হয় বন্যা পীড়িত মানুষ জনের হাতে।