দক্ষিণবঙ্গ Anubrata Mondal: হাতে কয়েকঘণ্টা, ফিরছেন কেষ্ট! আলোচনায় আবার সেই ‘চেয়ার’! কে বসতেন এই দু’বছর? বীরভূম থেকে বড় খবর Gallery September 23, 2024 Bangla Digital Desk *হাতে আর মাত্র কয়েকঘণ্টা। বীরভূমের মাটিতে পা রাখবেন বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ও তার কন্যা সুকন্যা মণ্ডল।মঙ্গলবার বোলপুর আসবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনের পাশাপাশি তিনি করবেন প্রশাসনিক বৈঠক।আর তার প্রস্তুতি তুঙ্গে। প্রতিবেদনঃ সৌভিক রায়। *২০২২ সালের ১১ অগাস্ট গরু পাচার মামলায় বোলপুরের নিচুপট্টির বাড়ি থেকে গ্রেফতার হন অনুব্রত মণ্ডল। তারপরে তাকে প্রথমে আসানসোল সংশোধনাগার আর তারপর সেখান থেকে দিল্লি তিহার জেলে বন্দি করা হয়। তবে থেকেই প্রায় দীর্ঘ দু-বছরের বেশি সময় ধরে তিনি তিহারে বন্দি ছিলেন। *জামিন পেয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। বীরভূমের বেতাজ বাদশা অনুব্রত মণ্ডল ইডির মামলায় জামিন পেয়েছেন দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট থেকে। এর আগে সুপ্রিম কোর্টে সিবিআইয়ের মামলায় জামিন পেয়েছিলেন। এবার ইডির মামলায় জামিন পেলেন। ১০ লক্ষ টাকার বন্ডে জামিন পেয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। *অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলকেও গ্রেফতার করে তিহার জেলে রাখা হয়েছিল। কয়েকদিন আগে সুকন্যা মণ্ডলও জামিন পেয়ে তিহার জেল থেকে বেরিয়েছেন। এবার অনুব্রত মণ্ডলও জামিন পেলেন। বেশ কয়েকটি শর্তে তাঁকে জামিন দেওয়া হয়েছে। *একসময় বীরভূমের বেতাজ বাদশা ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। বীরভূম জেলার তৃণমূল দলে অনুব্রত ছিল শেষ কথা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুব্রত মণ্ডলের ওপরে বীরভূমের সমস্ত দায়ভার দিয়েছিলেন। এক সময় অনুব্রত মণ্ডলের নাম শুনলে নাকি ‘বাঘে গরুতে এক ঘাটে জল খেত’ বলে দাবি করতেন তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। *নির্বাচন চলাকালীন তিনি তার নিচুপট্টির বাড়ির কিছু দূরেই তৃণমূলের কার্যালয়ে এসে কর্মীদের কাজের পরামর্শ দিতেন। শুধু নির্বাচন নয়, অন্যান্য দিনও নিয়ম করে তিনি পার্টি অফিসে এসে মিটিং এবং আলোচনা করতেন। পার্টি অফিসে তার জন্য বরাদ্দ ছিল একটি সাদা তোয়ালে মোরা নরম চেয়ার। *তবে জানেন অনুব্রত মণ্ডলের দু বছরের অনুপস্থিতিতে তার চেয়ারে কে বসতেন? তৃণমূল সূত্রে খবর, অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারের পর তার চেয়ারটি সযত্নে কাপড় মুড়ে রাখা হয়েছিল। দীর্ঘ দু বছরে সেই চেয়ারে কেউ বসা তো দূরের কথা হাত পর্যন্ত দিতেন না। *তৃণমূল কর্মীদের কথায় তাদের বিশ্বাস ছিল দাদা একদিন ঠিক ফেরত আসবে। আর দাদার ফেরত আসার সেই খবর শুনতেই আবার সযত্নে কাপড়ে মোড়া সেই চেয়ার ঝেড়ে পরিষ্কার করা হয়েছে। বীরভূম ফিরে অনুব্রত মণ্ডল সেই চেয়ারে বসেই আবার নতুন রূপে নতুন আঙ্গিকে কর্মীদের পরামর্শ দেবেন।