মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

Mamata Banerjee: ‘যাদের ঘর ভেঙেছে তাদের অর্থ সাহায্য করা হবে…’ বর্ধমানে যা বললেন মুখ্যমন্ত্রী…

বর্ধমান: ‘শস্য বিমা পাবেন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা। ঘর ভেঙে যাওয়ার কারণে যাঁরা গৃহহীন হয়ে পড়েছেন তাঁদের ঘর করতে আর্থিক সাহায্য করা হবে।’ বর্ধমানে বন্যা নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের কাছে এই কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে পাঁচ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, প্রদীপ মজুমদার, মলয় ঘটক, সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী এবং স্বপ্ন দেবনাথ উপস্হিত ছিলেন।  ছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহার, বিধায়ক, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও জেলাশাসক সহ জেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট আধিকারিকরা।

মুখ্যমন্ত্রী জেলার বন্যা পরিস্থিতি ও তাতে ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত রিপোর্ট নেন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রশাসনের আধিকারিকদের আরও তৎপর হতে বলেন। ত্রাণ বণ্টনের ব্যাপারেও খোঁজখবর নেন তিনি।  প্রায় পৌনে একঘণ্টা বৈঠক চলে। জেলাশাসকের কনফারেন্স হলে এই বৈঠক হয়। এরপর বৈঠক থেকে বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বন্যার জল নামতে শুরু করলেও ফের ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। তাই প্রশাসনকে তৈরি থাকতে হবে। ফের বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হলে দুর্গতদের উদ্ধার করে আনতে হবে। পুজো আসায় স্কুলগুলিতে ছুটি পড়ে যাবে। সেখানে ত্রাণ শিবির খোলা যেতে পারে। দুর্গতদের যাতে খাদ্য পানীয় জলের কোনও সমস্যা না হয় তা দেখতে হবে।’

আরও পড়ুন:  গুণের ভাণ্ডার, রোজ খাচ্ছেন দই? সাবধান, কাদের খাওয়া একেবারে বারণ? শরীরের দফারফা হওয়ার আগেই জানুন

তিনি বলেন, ‘অনেক জায়গায় আমরা শুকনো খাবার দিয়েছি। পাঁচ কেজি করে চাল বা মুড়ি, মুসুর ডাল, আলু,আধ কেজি করে তেল দেওয়া হয়েছে। যাঁদের ঘর পড়ে গিয়েছে তাদের একটা করে ত্রিপল দেওয়া হয়েছে। যাদের তালিকায় নাম রয়েছে তারা ডিসেম্বর মাসে বাংলা আবাস যোজনার টাকা পারে। তালিকায় নাম না থাকলেও বন্যায় বাড়ি ভেঙে যাওয়া বাসিন্দারাও যাতে টাকা পান তা দেখা হবে।’ তাদের তালিকা তৈরি করার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।

এদিনও তিনি বন্যার জন্য ডিভিসিকে একহাত নেন। তিনি বলেন, ‘বার বার বলেও কোনও কাজ হচ্ছে না। ড্রেজিং না হওয়ায় জলাধারগুলির জল ধারণ ক্ষমতা কমে গিয়েছে। সেখান থেকে জল ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। গঙ্গা অ্যাকশন প্ল্যান, ফ্লাড কন্ট্রোল সবই ডিভিসির এবং কেন্দ্রের হাতে। কিন্তু আজ পর্যন্ত কাজ করেনি। লক্ষ লক্ষ মানুষের ঘর, কৃষিজমি ডুবে যাচ্ছে। শস্যজমি ডুবে যাচ্ছে।’ পরিস্থিতি নজরে রাখতে ছুটি বাতিল করা হয়েছে।