Tag Archives: East Burdwan
East Bardhaman News: বাউল গান, সঙ্গে আদিবাসী নৃত্য…নাম মাত্র টাকায় বসন্ত উৎসব যাপনের দুর্দান্ত সুযোগ! ঘরের কাছেই..
পূর্ব বর্ধমান: কথায় আছে বাঙালির বার মাসে তের পার্বণ। সেরকমই শীতের মরসুম শেষ হতে না হতেই আবারও চলে এল নতুন একটা উৎসব। আর মাত্র কয়েকটা দিনের অপেক্ষা৷ তার পরই বসন্ত উৎসব। এই বসন্ত উৎসবে মেতে ওঠেন আপামর বাঙালি। প্রত্যেকেই নিজেরা নিজেদের মতো করে উদযাপন করেন বসন্ত উৎসব।
তবে অনেকেরই বসন্ত উৎসবের নাম শুনলেই মনে পড়ে শান্তিনিকেতনের কথা। বহু জনই আছেন যাঁদের ইচ্ছা হয় শান্তিনিকেতনে গিয়ে বসন্ত উৎসব উদযাপন করার। তবে কাজের চাপে, হাজারও ব্যস্ততার মাঝে সেটা হয়ে ওঠেনা অনেকেরই। তবে এবার আর চিন্তার কোনও কারণ নেই। শান্তিনিকেতন না হলেও ওখানকার আদলে বসন্ত উৎসবের আয়োজন করা হয় পূর্ব বর্ধমান জেলার একটি জায়গায়। জানেন সেই জায়গার নাম?
পূর্ব বর্ধমান জেলাতেই রয়েছে অরণ্য রিসর্ট। আর এই রিসর্টে প্রত্যেক বছর শান্তিনিকেতনের আদলে বসন্ত উৎসব উদযাপনের ব্যাবস্থা করা হয়। এই প্রসঙ্গে রিসর্টের তরফ থেকে শেখ রহমান বলেন, ‘‘শান্তিনিকেতনের আদলে এখানে বসন্ত উৎসব উদযাপনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাঁরা এখানে আসবেন তাঁদের জন্য সবরকম ব্যবস্থা থাকবে। এই মনোরম পরিবেশে এলে সকলেরই খুবই ভাল লাগবে। কেউ এখান থেকে নিরাশ হিয়ে ফিরে যাবেন না। শহর থেকে দূরে একদম নির্জন পরিবেশে এই রিসর্ট রয়েছে। রিসর্টে প্রবেশ করলেই শান্ত মনোরম পরিবেশ দেখে মুগ্ধ হবেন অনেকেই। বসন্ত উৎসবের দিনে আদবাসি নৃত্য, নাচ, গান সঙ্গে বাউল গান সহ জমজমাট হয়ে উঠবে অরণ্য রিসর্ট। রিসর্টের কথায় সেদিন বহু মানুষই ভিড় জমান এই সুন্দর মনোরম পরিবেশে বসন্ত উৎসব উদযাপন করার জন্য।’’
রিসর্টের মধ্যেই রয়েছে বাউল গান শোনার ব্যবস্থা। তবে বসন্ত উৎসবের দিনে আরও অনেক বাউল শিল্পী আছেন যাঁরা এই রিসর্টে এসে উপস্থিত হবেন। এই প্রসঙ্গে রিসর্টে উপস্থিত অসীম দাস বাউল জানান, তিনি এই রিসর্টে প্রথম থেকেই আছেন। তিনি বলেন, এখানে দুবছর ধরে বসন্ত উৎসব হয়ে আসছে। এবছর সকলকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে আরও নতুন কিছু উপহার দেওয়ার চেষ্টা করছেন তাঁরা। বসন্ত উৎসবের দিন থাকবে স্পেশাল বাউল গান, নাচ, আরও অনেক কিছু।
শুধুমাত্র বসন্ত উৎসবের কথা মাথায় রেখে সেইদিন এই রিসর্টে একটা বিশেষ প্যাকেজের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মাত্র ৩৯০ টাকাতেই পাওয়া যাবে ফ্রায়েড রাইস, চিলি চিকেন সহ আরও ৭ রকমের আইটেম। চলতি ইংরেজি মাসের ২৫ তারিখ রিসর্টে বসন্ত উৎসব উদযাপন করা হবে। অনুষ্ঠান শুরু হবে সকাল ৯ টা থেকে। রিসর্টের কথায় শান্তিনিকেতনের অনুভূতি পাওয়া যাবে এই রিসর্টে। পূর্ব বর্ধমান জেলার বর্ধমান শহরের একদম কাছেই রয়েছে এই রিসর্ট। চাইলে আপনারাও ধামসা মাদলের শব্দে, বাউল গানের তালে একটা দিন কাটাতে পারেন এই রিসর্টে। রিসর্টে আয়োজিত বসন্ত উৎসবে অংশগ্রহণ করার জন্য যোগাযোগ করতে হবে 9083359658 এই নম্বরে।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী
Purba Bardhaman News: এ এক আজব জীবিকা! একটা গোটা গ্রামজুড়ে তৈরি হয় বড়ি, কারণটা কী?
তাঁতের শাড়িতে স্বয়ং প্রধামন্ত্রীর ছবি, নজির গড়ে তুললেন কাটোয়ার জগবন্ধু
Purba Bardhaman News: ওপার বাংলার তাঁতের শাড়ি আজও বুনন হয় বর্ধমানের এই গ্রামে
পূর্ব বর্ধমান, আমডাঙ্গা : বিভিন্ন শিল্পের মধ্যে টাঙ্গাইল তাঁতশিল্প বাংলাদেশের অন্যতম পুরানো একটি শিল্প। টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়ির কদর রয়েছে বিশ্বজুড়ে । বহু পুরানো এই শাড়ি বাংলাদেশের টাঙ্গাইল জেলায় তৈরি হয় এবং তার নামেই এর নামকরণ করা হয়েছে টাঙ্গাইল। তবে টাঙ্গাইল বাংলাদেশে তৈরি হলেও, আমাদের দেশও কিন্তু কম যায়না।আমাদের দেশেও এখনও অনেকেই রয়েছেন যাঁরা টাঙ্গাইল বোনেন। সেরকমই একটি জায়গা হল পূর্ব বর্ধমান জেলার আমডাঙ্গা গ্রাম। এই গ্রামের মধ্যেই রয়েছে ‘আমডাঙ্গা রুপশ্রী তন্তুবায় সমবায় সমিতি ‘। এই সমিতিতে প্রায় ৬০ বছরেরও বেশি সময় ধরে তৈরি হয়ে আসছে শুধুমাত্র টাঙ্গাইল।
সমিতির প্রোডাকশন সুপারভাইজার রবীন্দ্রনাথ দে জানিয়েছেন, ১৯৬২ সাল থেকেএই সমিতির পথ চলা শুরু হয়েছে । ওনারা শুধুমাত্র হাতে বোনা টাঙ্গাইল শাড়ি তৈরি করেন । পূর্ব পুরুষদের কাছেই এই শাড়ি তৈরি শিখেছেন।জানা গিয়েছে সর্বপ্রথম যখন এই সমিতি চালু হয় তখন সমিতিতে শিল্পী ছিল শুধুমাত্র ৩০ জন । তারপর ধীরে ধীরে শুরু হয় শাড়ি তৈরির কাজ । পরবর্তীতে এখানকার টাঙ্গাইলের কদর বাড়তে থাকে । সমিতিতে শিল্পীর সংখ্যা ৩০থেকে হয় ৩০০। পূর্ব বর্ধমান জেলার আমডাঙ্গা গ্রামের এই সমিতি থেকে তৈরি শাড়ি পাড়ি দিতে শুরু করে অন্যান্য রাজ্য সহ বিদেশে। বেশ ভাল ভাবেই চলতে থাকে টাঙ্গাইল তৈরির কাজ । তবে বর্তমানে এই সমিতিতে শিল্পী রয়েছেন ৪০ থেকে ৫০ জন ।
আরও পড়ুন : ঘরে ঘরে ব্যস্ততা! বাংলাতেই রয়েছে বড়ি গ্রাম, জানেন কী ভাবে তৈরি হয়
টাঙ্গাইলের বাজারও এখন খারাপ যাচ্ছে বলে জানান সমিতির প্রোডাকশন সুপারভাইজার রবীন্দ্রনাথ দে। তবে হঠাৎ কেন টাঙ্গাইলের বাজার খারাপ হল? এই প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথ দে বলেন , পাওয়ারলুম এবং সুরাটের কারণে টাঙ্গাইলের বাজার খারাপ হয়েছে । পাওয়ারলুমে তৈরি শাড়ির মজুরি কম তাই শাড়ির দামও কম । এবং সুরাটের কম দামের শাড়ির সঙ্গে পেরে ওঠা যায়না । হাতে বোনা টাঙ্গাইল এর মজুরি বেশি তাই দামও বেশি । ক্রেতারা কম দামের শাড়ির দিকেই বেশি ঝুঁকছে তাই টাঙ্গাইলের বাজার খারাপ।
আরও পড়ুন : মাত্র ১৫০০ টাকায় ঘুরে আসুন এই জায়গায়, মনও ভরবে সঙ্গে একান্তে কাটবে কিছু সময়!
তবে বাজার খারাপ হলেও এখনও কিন্তু এই সমিতিতে শুধুমাত্র টাঙ্গাইলই তৈরি হয় । দামে কম এবং আধুনিক ডিজাইনের জন্য অন্যান্য শাড়ির কদর বেড়েছে। তবে টাঙ্গাইল শাড়ি পড়ে যে আরাম সেটা অন্য কোনোও শাড়িতে নেই । বর্তমানে আগের মত বাজার না থাকলেও।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
এখনও পূর্ব বর্ধমানের আমডাঙ্গা গ্রামের এই সমিতি থেকে তৈরি টাঙ্গাইল পাড়ি দেয় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী