Tag Archives: East Burdwan

IMD Latest Weather Update: ২ ঘন্টায় আকাশ ভেঙে তুমুল ঝড়বৃষ্টি পূর্ব বর্ধমানে! কত চলবে এই আবহাওয়ার খেলা?

আগামী দু'ঘণ্টায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড়-বৃষ্টির সর্তকতা এক জেলায়। পূর্ব বর্ধমান জেলায় ঝড় বৃষ্টির সর্তকতা। বজ্রবিদ্যুৎসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সতর্কতা।
আগামী দু’ঘণ্টায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড়-বৃষ্টির সর্তকতা এক জেলায়। পূর্ব বর্ধমান জেলায় ঝড় বৃষ্টির সর্তকতা। বজ্রবিদ্যুৎসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সতর্কতা।
বৃষ্টির সঙ্গে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার দমকা ঝোড়ো হাওয়া বইবে। সতর্কতা আলিপুর আবহাওয়া দফতরের।
বৃষ্টির সঙ্গে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার দমকা ঝোড়ো হাওয়া বইবে। সতর্কতা আলিপুর আবহাওয়া দফতরের।
বাংলাদেশ ও মধ্যপ্রদেশে ঘুনাবর্ত রয়েছে। ঝাড়খন্ড থেকে মধ্যপ্রদেশ পর্যন্ত যে অক্ষরেখা ছিল সেটি সরে ওড়িশা থেকে রাজস্থান পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। যে অক্ষরেখা ছত্রিশগড় এবং মধ্যপ্রদেশের ওপর দিয়ে গেছে। এর টানেই প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকছে রাজ্যে।
বাংলাদেশ ও মধ্যপ্রদেশে ঘুনাবর্ত রয়েছে। ঝাড়খন্ড থেকে মধ্যপ্রদেশ পর্যন্ত যে অক্ষরেখা ছিল সেটি সরে ওড়িশা থেকে রাজস্থান পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। যে অক্ষরেখা ছত্রিশগড় এবং মধ্যপ্রদেশের ওপর দিয়ে গেছে। এর টানেই প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকছে রাজ্যে।
সমুদ্র উত্তাল থাকবে। সমুদ্রের ভেতরে ৫৫ কিলোমিটার পর্যন্ত দমকা ঝোড়ো হাওয়া। সমুদ্র উপকূলে জলোচ্ছ্বাস হবে। আগামী ২৪ ঘন্টা মৎস্যজীবীদের বাংলার উপকূলে সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
সমুদ্র উত্তাল থাকবে। সমুদ্রের ভেতরে ৫৫ কিলোমিটার পর্যন্ত দমকা ঝোড়ো হাওয়া। সমুদ্র উপকূলে জলোচ্ছ্বাস হবে। আগামী ২৪ ঘন্টা মৎস্যজীবীদের বাংলার উপকূলে সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
বুধবার ও বৃহস্পতিবার দক্ষিণ বঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ দমকা ঝোড়ো হাওয়া বইবে।

বুধবার ও বৃহস্পতিবার দক্ষিণ বঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ দমকা ঝোড়ো হাওয়া বইবে।
শুক্রবার বৃষ্টি বাড়বে। ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস নদীয়া উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলাতে। বৃষ্টির সঙ্গে দমকা ঝড় হওয়ার ৬০ কিলোমিটার বা তার বেশি গতিবেগে পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম মুর্শিদাবাদ নদীয়া এবং উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাতে এবং উত্তরবঙ্গের মালদা উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর এবং জলপাইগুড়ি জেলাতে হতে পারে।
শুক্রবার বৃষ্টি বাড়বে। ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস নদীয়া উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলাতে। বৃষ্টির সঙ্গে দমকা ঝড় হওয়ার ৬০ কিলোমিটার বা তার বেশি গতিবেগে পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম মুর্শিদাবাদ নদীয়া এবং উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাতে এবং উত্তরবঙ্গের মালদা উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর এবং জলপাইগুড়ি জেলাতে হতে পারে।
শনিবারেও বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সঙ্গে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝড় হবে পূর্ব মেদিনীপুর উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাতে দক্ষিণবঙ্গের বাকি  জেলাতে এবং উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির সঙ্গে হালকা ঝড়ের সম্ভাবনা।
শনিবারেও বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সঙ্গে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝড় হবে পূর্ব মেদিনীপুর উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাতে দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাতে এবং উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির সঙ্গে হালকা ঝড়ের সম্ভাবনা।

East Bardhaman News: বাউল গান, সঙ্গে আদিবাসী নৃত্য…নাম মাত্র টাকায় বসন্ত উৎসব যাপনের দুর্দান্ত সুযোগ! ঘরের কাছেই..

পূর্ব বর্ধমান: কথায় আছে বাঙালির বার মাসে তের পার্বণ। সেরকমই শীতের মরসুম শেষ হতে না হতেই আবারও চলে এল নতুন একটা উৎসব। আর মাত্র কয়েকটা দিনের অপেক্ষা৷ তার পরই বসন্ত উৎসব। এই বসন্ত উৎসবে মেতে ওঠেন আপামর বাঙালি। প্রত্যেকেই নিজেরা নিজেদের মতো করে উদযাপন করেন বসন্ত উৎসব।

তবে অনেকেরই বসন্ত উৎসবের নাম শুনলেই মনে পড়ে শান্তিনিকেতনের কথা। বহু জনই আছেন যাঁদের ইচ্ছা হয় শান্তিনিকেতনে গিয়ে বসন্ত উৎসব উদযাপন করার। তবে কাজের চাপে, হাজারও ব্যস্ততার মাঝে সেটা হয়ে ওঠেনা অনেকেরই। তবে এবার আর চিন্তার কোনও কারণ নেই। শান্তিনিকেতন না হলেও ওখানকার আদলে বসন্ত উৎসবের আয়োজন করা হয় পূর্ব বর্ধমান জেলার একটি জায়গায়। জানেন সেই জায়গার নাম?

আরও পড়ুন: অবিশ্বাস্য লক্ষ্যভেদ! সোনা জিতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ উজ্জ্বল করলেন বাংলার মেয়ে মন্দিরা রাজবংশী

পূর্ব বর্ধমান জেলাতেই রয়েছে অরণ্য রিসর্ট। আর এই রিসর্টে প্রত্যেক বছর শান্তিনিকেতনের আদলে বসন্ত উৎসব উদযাপনের ব্যাবস্থা করা হয়। এই প্রসঙ্গে রিসর্টের তরফ থেকে শেখ রহমান বলেন, ‘‘শান্তিনিকেতনের আদলে এখানে বসন্ত উৎসব উদযাপনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাঁরা এখানে আসবেন তাঁদের জন্য সবরকম ব্যবস্থা থাকবে। এই মনোরম পরিবেশে এলে সকলেরই খুবই ভাল লাগবে। কেউ এখান থেকে নিরাশ হিয়ে ফিরে যাবেন না। শহর থেকে দূরে একদম নির্জন পরিবেশে এই রিসর্ট রয়েছে। রিসর্টে প্রবেশ করলেই শান্ত মনোরম পরিবেশ দেখে মুগ্ধ হবেন অনেকেই। বসন্ত উৎসবের দিনে আদবাসি নৃত্য, নাচ, গান সঙ্গে বাউল গান সহ জমজমাট হয়ে উঠবে অরণ্য রিসর্ট। রিসর্টের কথায় সেদিন বহু মানুষই ভিড় জমান এই সুন্দর মনোরম পরিবেশে বসন্ত উৎসব উদযাপন করার জন্য।’’

রিসর্টের মধ্যেই রয়েছে বাউল গান শোনার ব্যবস্থা। তবে বসন্ত উৎসবের দিনে আরও অনেক বাউল শিল্পী আছেন যাঁরা এই রিসর্টে এসে উপস্থিত হবেন। এই প্রসঙ্গে রিসর্টে উপস্থিত অসীম দাস বাউল জানান, তিনি এই রিসর্টে প্রথম থেকেই আছেন। তিনি বলেন, এখানে দুবছর ধরে বসন্ত উৎসব হয়ে আসছে। এবছর সকলকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে আরও নতুন কিছু উপহার দেওয়ার চেষ্টা করছেন তাঁরা। বসন্ত উৎসবের দিন থাকবে স্পেশাল বাউল গান, নাচ, আরও অনেক কিছু।

আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ চুরি করছেন! সাবধান হয়ে যান! এবার কিন্তু কড়া পদক্ষেপ…সতর্কবার্তা জারি করল বিদ্যুৎ দফতর

শুধুমাত্র বসন্ত উৎসবের কথা মাথায় রেখে সেইদিন এই রিসর্টে একটা বিশেষ প্যাকেজের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মাত্র ৩৯০ টাকাতেই পাওয়া যাবে ফ্রায়েড রাইস, চিলি চিকেন সহ আরও ৭ রকমের আইটেম। চলতি ইংরেজি মাসের ২৫ তারিখ রিসর্টে বসন্ত উৎসব উদযাপন করা হবে। অনুষ্ঠান শুরু হবে সকাল ৯ টা থেকে। রিসর্টের কথায় শান্তিনিকেতনের অনুভূতি পাওয়া যাবে এই রিসর্টে। পূর্ব বর্ধমান জেলার বর্ধমান শহরের একদম কাছেই রয়েছে এই রিসর্ট। চাইলে আপনারাও ধামসা মাদলের শব্দে, বাউল গানের তালে একটা দিন কাটাতে পারেন এই রিসর্টে। রিসর্টে আয়োজিত বসন্ত উৎসবে অংশগ্রহণ করার জন্য যোগাযোগ করতে হবে 9083359658 এই নম্বরে।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

Purba Bardhaman News: এ এক আজব জীবিকা! একটা গোটা গ্রামজুড়ে তৈরি হয় বড়ি, কারণটা কী?

পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রামের অন্তর্গত একটি গ্রাম হল সুকান্তপল্লি গ্রাম। তবে এই গ্রামের নাম সুকান্তপল্লি হলেও, অনেকের কাছেই এই গ্রাম বড়ি গ্রাম নামেই পরিচিত ।
পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রামের অন্তর্গত একটি গ্রাম সুকান্তপল্লি । গ্রামের নাম সুকান্তপল্লি হলেও, অনেকের কাছেই এই গ্রাম বড়ি গ্রাম নামেই পরিচিত। অবাক হলেও, এর পিছনে কিন্তু কারণ রয়েছে।
বড়ি গ্রাম নাম হয়েছে তার অবশ্য পর্যাপ্ত কারণও রয়েছে । দীর্ঘদিন ধরে এই গ্রামের প্রায় বেশিরভাগ পরিবার বড়ি তৈরির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন । বড়ি বেচেই চলে তাঁদের সংসার।
দীর্ঘদিন ধরে এই গ্রামের প্রায় বেশিরভাগ পরিবার বড়ি তৈরির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন । বড়ি বেচেই চলে তাঁদের সংসার।
জানা গিয়েছে গ্রামের কেউ ২০ বছর,কেউ ২৪ বছর, আবার কেউ কেউ ৩০ বছর ধরে এই বড়ি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন । গ্রাম ঢুকলেই চোখে পড়বে মাঠে রোদের মধ্যে সারিবদ্ধ ভাবে চলছে বড়ি শুকনোর কাজ । প্রায় প্রত্যেকেই ব্যস্ত থাকেন তাঁদের বড়ি তৈরির কাজে ।
জানা গিয়েছে, গ্রামের কেউ ২০ বছর,কেউ ২৪ বছর, আবার কেউ কেউ ৩০ বছর ধরে এই বড়ি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন । গ্রাম ঢুকলেই চোখে পড়বে মাঠে রোদের মধ্যে সারিবদ্ধভাবে চলছে বড়ি শুকনোর কাজ । প্রায় প্রত্যেকেই ব্যস্ত থাকেন তাঁদের বড়ি তৈরির কাজে ।
মুগ ডাল , কলাই এর ডাল আবার বিউলি ডাল দিয়েও বড়ি তৈরি হয় । বড়ি তৈরির জন্য আগের দিন রাতে জলের মধ্যে ডাল ভিজিয়ে রাখা হয়। পরের দিন সকালে সেই ডাল পিষে , ফেঁটে তারপর মেশিনের সাহয্যে বড়ি দেওয়া হয়। সেই বড়ি দুদিন ধরে রোদে শুকিয়ে, তারপর প্যাকেজিং হয়ে বিক্রীর জন্য বেরিয়ে যায় বিভিন্ন জায়গায়।
মুগ ডাল , কলাই  ডাল আবার বিউলি ডাল দিয়েও বড়ি তৈরি হয় । বড়ি তৈরির জন্য আগের দিন রাতে জলের মধ্যে ডাল ভিজিয়ে রাখা হয়। পরের দিন সকালে সেই ডাল পিষে , ফেটে তারপর মেশিনের সাহয্যে বড়ি দেওয়া হয়। সেই বড়ি দুইদিন ধরে রোদে শুকিয়ে, তারপর প্যাকেজিং হয়ে বিক্রির জন্য বেরিয়ে যায় বিভিন্ন জায়গায়।
এই গ্রামে কীভাবে বড়ির ব্যবসা শুরু হল ? এই প্রসঙ্গে  বিশ্বজিৎ বারুই নামের এক বড়ি ব্যবসায়ী জানান, ওনার মা একসময় বহুবছর আগে নৈহাটিতে ঘুরতে যান । সেখানে গিয়েই উনি দেখেন যে বড়ি তৈরি হচ্ছে । তারপর সেটা দেখে এসে , কলকাতা থেকে মেশিন কিনে এনে সুকান্তপল্লি গ্রামে শুরু করেন বড়ির ব্যবসা । আজ ওনার মা না থাকলেও , গ্রাম জুড়ে সকলেই এখন বড়ির ব্যবসা করেন ।
এই গ্রামে কীভাবে বড়ির ব্যবসা শুরু হল ? এই প্রসঙ্গে  বিশ্বজিৎ বারুই নামের এক বড়ি ব্যবসায়ী জানান, তাঁর মা একসময় বহুবছর আগে নৈহাটিতে ঘুরতে যান । সেখানে গিয়েই উনি দেখেন যে বড়ি তৈরি হচ্ছে । তারপর সেটা দেখে এসে , কলকাতা থেকে মেশিন কিনে এনে সুকান্তপল্লি গ্রামে শুরু করেন বড়ির ব্যবসা । আজ ওঁর মা না থাকলেও , গ্রামজুড়ে সকলেই এখন বড়ির ব্যবসা করেন ।

তাঁতের শাড়িতে স্বয়ং প্রধামন্ত্রীর ছবি, নজির গড়ে তুললেন কাটোয়ার জগবন্ধু

তাঁতের শাড়িতে এবার প্রধানমন্ত্রীর ছবি ফুটিয়ে তুললেন কাটোয়ার জগদানন্দপুরের তাঁতশিল্পী জগবন্ধু দালাল। কয়েকমাস আগে তাঁতশিল্পী জগবন্ধু একটি তাঁতের শাড়িতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ছবি ফুটিয়ে তোলেন।  মুখ্যমন্ত্রীর ছবি সহ শাড়িটি রাজ্য ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দফতরের আধিকারিকদের মাধ্যমে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পৌঁছে দিয়েছিলেন জগবন্ধু দালাল নিজে। এবার প্রধানমন্ত্রীর ছবি সহ শাড়িটিও নরেন্দ্র মোদিকে উপহার দেওয়ার স্বপ্ন দেখছেন জগবন্ধু। ছবি ও প্রতিবেদন- রণদেব মুখোপাধ্যায়,কাটোয়া,পূর্ব বর্ধমান
তাঁতের শাড়িতে এবার প্রধানমন্ত্রীর ছবি ফুটিয়ে তুললেন কাটোয়ার জগদানন্দপুরের তাঁতশিল্পী জগবন্ধু দালাল। কয়েকমাস আগে তাঁতশিল্পী জগবন্ধু একটি তাঁতের শাড়িতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ছবি ফুটিয়ে তোলেন। মুখ্যমন্ত্রীর ছবি সহ শাড়িটি রাজ্য ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দফতরের আধিকারিকদের মাধ্যমে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পৌঁছে দিয়েছিলেন জগবন্ধু দালাল নিজে। এবার প্রধানমন্ত্রীর ছবি সহ শাড়িটিও নরেন্দ্র মোদিকে উপহার দেওয়ার স্বপ্ন দেখছেন জগবন্ধু। ছবি ও প্রতিবেদন- রণদেব মুখোপাধ্যায়,কাটোয়া,পূর্ব বর্ধমান
তাঁত বিমুখ বাংলার মানুষকে ফের  তাঁত শাড়ির উপর আগ্রহ বাড়ানোর উদ্দেশ্য নিয়ে  জগবন্ধুর শিল্পকর্ম করছেন। কোনও প্রথাগত শিক্ষা ছাড়া শাড়িতে কখনও বিদ্যাসাগর, কখনও মুখ্যমন্ত্রী, এখন আবার প্রধানমন্ত্রীর প্রতিকৃতি অনায়াসে  তুলছেন বছর চল্লিশের জগবন্ধু ।
তাঁত বিমুখ বাংলার মানুষকে ফের তাঁত শাড়ির উপর আগ্রহ বাড়ানোর উদ্দেশ্য নিয়ে জগবন্ধুর শিল্পকর্ম করছেন। কোনও প্রথাগত শিক্ষা ছাড়া শাড়িতে কখনও বিদ্যাসাগর, কখনও মুখ্যমন্ত্রী, এখন আবার প্রধানমন্ত্রীর প্রতিকৃতি অনায়াসে তুলছেন বছর চল্লিশের জগবন্ধু ।
তাঁতশিল্পকে ভালবেসে এই সব শিল্পকর্ম করা তাছাড়া তাঁত কাপড়ের চাহিদা বাড়াতে মানুষের সামনে এই সব শিল্পকর্ম তুলে ধরা লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়া। এমনই দাবি জগবন্ধু দালালের।
তাঁতশিল্পকে ভালবেসে এই সব শিল্পকর্ম করা তাছাড়া তাঁত কাপড়ের চাহিদা বাড়াতে মানুষের সামনে এই সব শিল্পকর্ম তুলে ধরা লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়া। এমনই দাবি জগবন্ধু দালালের।
কাটোয়ার জগদানন্দপুর তাঁত অধ্যুষিত এলাকা।যন্ত্রচালিত তাঁতের কোপে পড়ে হস্তচালিত তাঁত কাপড়ের চাহিদা কমতে শুরু করায় এলাকার বহু তাঁতশিল্পী জীবন বাঁচাতে নিজেরদের পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় চলে গিয়েছে। এলাকার সেইসব শিল্পীরা যাতে ফের তাঁত শিল্পে ফিরে আসে তারই চেষ্টা চালাচ্ছে জগবন্ধু দালাল।
কাটোয়ার জগদানন্দপুর তাঁত অধ্যুষিত এলাকা।যন্ত্রচালিত তাঁতের কোপে পড়ে হস্তচালিত তাঁত কাপড়ের চাহিদা কমতে শুরু করায় এলাকার বহু তাঁতশিল্পী জীবন বাঁচাতে নিজেরদের পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় চলে গিয়েছে। এলাকার সেইসব শিল্পীরা যাতে ফের তাঁত শিল্পে ফিরে আসে তারই চেষ্টা চালাচ্ছে জগবন্ধু দালাল।
এই তাঁতশাড়িতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির  ৪২ ইঞ্চির পূর্ণাবয়ব ছবি সহ দেশের নানান প্রকল্পের নাম তুলে ধরা আছে। ১৫০ কাউন্ট খাদি এবং  ৮০ কাউন্ট সুতো দিয়ে সাত মিটার দীর্ঘ এই শাড়ি তৈরিতে আশি দিন  সময় লেগেছে।এই শাড়ি বুনতে  স্ত্রী প্রতিমা মা অনিমা এবং বাবা  গণপতি সাহায্য করেছেন বলে জানান তাঁতশিল্পী জগবন্ধু দালাল।
এই তাঁতশাড়িতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ৪২ ইঞ্চির পূর্ণাবয়ব ছবি সহ দেশের নানান প্রকল্পের নাম তুলে ধরা আছে। ১৫০ কাউন্ট খাদি এবং ৮০ কাউন্ট সুতো দিয়ে সাত মিটার দীর্ঘ এই শাড়ি তৈরিতে আশি দিন সময় লেগেছে।এই শাড়ি বুনতে স্ত্রী প্রতিমা মা অনিমা এবং বাবা গণপতি সাহায্য করেছেন বলে জানান তাঁতশিল্পী জগবন্ধু দালাল।
স্ত্রী প্রতিমা দালাল  জানান আমার স্বামীর তৈরি কাপড়ের উপর  এই শিল্পকর্ম আমাদের ভাল লাগে। বাংলার মানুষ যদি এইসব শিল্পকর্ম  দেখে তাঁত কাপড় কেনাতে আগ্রহ বাড়ায় তাহলে আমাদের উপকার হবে।
স্ত্রী প্রতিমা দালাল জানান আমার স্বামীর তৈরি কাপড়ের উপর এই শিল্পকর্ম আমাদের ভাল লাগে। বাংলার মানুষ যদি এইসব শিল্পকর্ম দেখে তাঁত কাপড় কেনাতে আগ্রহ বাড়ায় তাহলে আমাদের উপকার হবে।

Purba Bardhaman News: ওপার বাংলার তাঁতের শাড়ি আজও বুনন হয় বর্ধমানের এই গ্রামে

পূর্ব বর্ধমান, আমডাঙ্গা : বিভিন্ন শিল্পের মধ্যে টাঙ্গাইল তাঁতশিল্প বাংলাদেশের অন্যতম পুরানো একটি শিল্প। টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়ির কদর রয়েছে বিশ্বজুড়ে । বহু পুরানো এই শাড়ি বাংলাদেশের টাঙ্গাইল জেলায় তৈরি হয় এবং তার নামেই এর নামকরণ করা হয়েছে টাঙ্গাইল। তবে টাঙ্গাইল বাংলাদেশে তৈরি হলেও, আমাদের দেশও কিন্তু কম যায়না।আমাদের দেশেও এখনও অনেকেই রয়েছেন যাঁরা টাঙ্গাইল বোনেন। সেরকমই একটি জায়গা হল পূর্ব বর্ধমান জেলার আমডাঙ্গা গ্রাম। এই গ্রামের মধ্যেই রয়েছে ‘আমডাঙ্গা রুপশ্রী তন্তুবায় সমবায় সমিতি ‘। এই সমিতিতে প্রায় ৬০ বছরেরও বেশি সময় ধরে তৈরি হয়ে আসছে শুধুমাত্র টাঙ্গাইল।

সমিতির প্রোডাকশন সুপারভাইজার রবীন্দ্রনাথ দে জানিয়েছেন, ১৯৬২ সাল থেকেএই সমিতির পথ চলা শুরু হয়েছে । ওনারা শুধুমাত্র হাতে বোনা টাঙ্গাইল শাড়ি তৈরি করেন । পূর্ব পুরুষদের কাছেই এই শাড়ি তৈরি শিখেছেন।জানা গিয়েছে সর্বপ্রথম যখন এই সমিতি চালু হয় তখন সমিতিতে শিল্পী ছিল শুধুমাত্র ৩০ জন । তারপর ধীরে ধীরে শুরু হয় শাড়ি তৈরির কাজ । পরবর্তীতে এখানকার টাঙ্গাইলের কদর বাড়তে থাকে । সমিতিতে শিল্পীর সংখ্যা ৩০থেকে হয় ৩০০। পূর্ব বর্ধমান জেলার আমডাঙ্গা গ্রামের এই সমিতি থেকে তৈরি শাড়ি পাড়ি দিতে শুরু করে অন্যান্য রাজ্য সহ বিদেশে। বেশ ভাল ভাবেই চলতে থাকে টাঙ্গাইল তৈরির কাজ । তবে বর্তমানে এই সমিতিতে শিল্পী রয়েছেন ৪০ থেকে ৫০ জন ।

আরও পড়ুন : ঘরে ঘরে ব্যস্ততা! বাংলাতেই রয়েছে বড়ি গ্রাম, জানেন কী ভাবে তৈরি হয়

টাঙ্গাইলের বাজারও এখন খারাপ যাচ্ছে বলে জানান সমিতির প্রোডাকশন সুপারভাইজার রবীন্দ্রনাথ দে। তবে হঠাৎ কেন টাঙ্গাইলের বাজার খারাপ হল? এই প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথ দে বলেন , পাওয়ারলুম এবং সুরাটের কারণে টাঙ্গাইলের বাজার খারাপ হয়েছে । পাওয়ারলুমে তৈরি শাড়ির মজুরি কম তাই শাড়ির দামও কম । এবং সুরাটের কম দামের শাড়ির সঙ্গে পেরে ওঠা যায়না । হাতে বোনা টাঙ্গাইল এর মজুরি বেশি তাই দামও বেশি । ক্রেতারা কম দামের শাড়ির দিকেই বেশি ঝুঁকছে তাই টাঙ্গাইলের বাজার খারাপ।

আরও পড়ুন : মাত্র ১৫০০ টাকায় ঘুরে আসুন এই জায়গায়, মনও ভরবে সঙ্গে একান্তে কাটবে কিছু সময়!

তবে বাজার খারাপ হলেও এখনও কিন্তু এই সমিতিতে শুধুমাত্র টাঙ্গাইলই তৈরি হয় । দামে কম এবং আধুনিক ডিজাইনের জন্য অন্যান্য শাড়ির কদর বেড়েছে। তবে টাঙ্গাইল শাড়ি পড়ে যে আরাম সেটা অন্য কোনোও শাড়িতে নেই । বর্তমানে আগের মত বাজার না থাকলেও।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

এখনও পূর্ব বর্ধমানের আমডাঙ্গা গ্রামের এই সমিতি থেকে তৈরি টাঙ্গাইল পাড়ি দেয় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী