নয়াদিল্লি: অবশেষে ছাড়া! প্রায় দেড় বছর তিহাড় জেলে থাকার পর জামিনে মুক্তি পেলেন অনুব্রত মণ্ডল। শুক্রবার তাঁকে জামিন দিয়েছিল দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। কিন্তু আইনি কাগজপত্র জমা না পড়ায় তিনি জেল থেকে ছাড়া পাননি। শেষপর্যন্ত সোমবার রাতে তিহাড় জেলের তিন নম্বর গেট থেকে বেরিয়ে আসেন অনুব্রত। নয়া হেয়ারস্টাইল। দেড় বছরে ওজন অনেকটাই কমেছে। পরনে হলুদ-ছাই রঙা টি-শার্ট। পাশে হাত ধরে মেয়ে সুকন্যা।
জানা যাচ্ছে, ইন্দিগোর বিমানে কলকাতা ফিরবেন অনুব্রত মণ্ডল। বিমানের নম্বর 6E 2788। কলকাতায় ভোর ৪টে ৪০-এ নামার কথা বিমানের। সোমবার জেল থেকে বার হয়ে একটি হোটেলে অপেক্ষা করেন অনুব্রত। হোটেলে ঢোকার মুখে ‘বীরভূমের বাঘ’-কে জড়িয়ে ধরলেন আইনজীবী আহমেদ ইব্রাহীম। জিজ্ঞাসা করেন, ‘কেমন আছেন?’, অনুব্রতের উত্তর, ‘ মোটামুটি ভালো আছি।’ অনুব্রতের সঙ্গে ছিলেন তাঁর দুই সহযোগী এবং মেয়ে সুকন্যা।
সূত্রের খবর, বিমানে অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে থাকবে মেয়ে সুকন্যা-সহ ৪ জন। সিট নম্বর ৬০/৬১/৬২/৬৩। কলকাতা বিমানবন্দরের গেট নম্বর 3A/3B দিয়ে বাইরে বার হবেন অনুব্রত মণ্ডল। জানা যাচ্ছে, যদি কলকাতায় নেমে চিনার পার্কের বাড়িতে যান অনুব্রত মণ্ডল, সেই ব্যবস্থাও করা হয়েছে। তবে অনুব্রত চাইছেন বোলপুরেই ফিরতে। অনুব্রত ঘনিষ্ঠরাও চাইছেন, ‘দাদা’ বোলপুরেই ফিরুক আগে। ভোর থেকেই তাঁরা উপস্থিত থাকবেন কলকাতা বিমানবন্দরে।
সোমবার জেলের বাইরে বাবার জন্য অপেক্ষা করেছিলেন মেয়ে সুকন্যা। তিনি সদ্য গরু পাচারে ইডির করা মামলায় জামিন পেয়েছেন। জামিন পাওয়ার পর তিনি দিল্লিতেই ছিলেন। সোমবার জেলের বাইরে প্রিয় নেতার জন্য অপেক্ষা করেছিলেন বহু কর্মী-সমর্থক।
প্রায় দেড় বড়র জেলে থাকার পর অবশেষে তিহাড় জেল থেকে জামিনে মুক্তি পেলেন তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। দিল্লির আদালতে গরু পাচার মামলায় জামিন পেয়ে গিয়েছেন, সিবিআইয়ের পর গরু পাচার-কাণ্ডে ইডির মামলাতেও জামিন পেয়েছেন অনুব্রত। অবশেষে পুজোর আগেই বীরভূমে ফিরছেন কেষ্ট।
আরও পড়ুন:আর কিছুক্ষণের অপেক্ষা, তিহাড় থেকে বার হবেন অনুব্রত, জেলের বাইরে অপেক্ষায় মেয়ে সুকন্যা
আরও পড়ুন:সংবর্ধনা দিলেন, খোঁজ নিলেন স্বাস্থ্যের…নবান্ন অভিযানে আহত পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে দেখা করলেন নতুন সিপি
কয়েক দিন আগে সিবিআইয়ের দায়ের করা মামলায় শর্তসাপেক্ষে জামিন পেয়েছেন অনুব্রত। ইডির দায়ের করা মামলায় দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে ১০ লক্ষ টাকার বন্ডের বিনিময়ে জামিন পান তিনি। দুই মামলাতেই জামিন পেয়ে তিহাড় জেল থেকে মুক্তি পেলেন কেষ্ট। সেই খুশিতে আনন্দে-ফুর্তিতে মেতেছে গোটা বীরভূম। নিজের গড়ে ফিরছেন কেষ্ট! বীরভূমের কোথাও উড়ছে সবুজ আবির,কোথাও বিতরণ করা হচ্ছে সবুজ রসগোল্লা। বীরভূমের নানুরের থুপসার অঞ্চলের আতকুলা গ্রামে প্রায় ৪০০ গ্রামবাসীকে খাওয়ানো হয়েছে খাসির মাংস-ভাত।