Tag Archives: Anubrata Mondal

Loksabha Elections 2024: অনুব্রত মণ্ডল নেই! গুরুর শিক্ষা গুড় বাতাসা! ভোটারদের হাত তুলে দিলেন অনুগামীরা

বোলপুর: গুরু যেভাবে শিষ্যকে শিক্ষা দিয়ে যান ঠিক সেভাবেই যেন অনুব্রতর দাওয়াই গুড় বাতাসা ভুলতে পারছে না বোলপুরের সমর্থকরা। ঠিক ভোটের দিন নকুল দানা এবং গুড় বাতাসা দিয়ে শরীর ঠাণ্ডা করছে তৃণমূল নেতা বাবু দাস এবং কর্মী সমর্থকেরা। বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের বোলপুর শহরে, গোয়াল পাড়ার ১৬৩ নম্বর বুথ সংলগ্ন এলাকায় ভোটার এবং পথিকদের গুড় বাতাসা দিয়ে অনুব্রতর কথা মনে করিয়ে দিল তারই সমর্থকরা।

তৃণমূল নেতা বাবু দাস বলেন, এটাই নাকি? গ্রামের রীতি। গোয়ালপাড়ায় ভোট এলে গুড়বাতাসা দিয়ে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।

আরও পড়ুন – Diabetes Control Tips: গাছে ভর্তি-ভর্তি হয়, দাম কম, এই ফলের গুণে ডায়াবেটিস বশ, কোলেস্টোরলের যম, স্লিম হওয়া আটকায় কে

এছাড়াও অনুব্রত মন্ডলকে গুরু এবং নিজেকে শিষ্য বলেই দাবি করছেন সমর্থকেরা। চড়াম চড়াম, গুড় বাতাসার মত শব্দগুচ্ছ গুলি ভাইরাল হয় অনুব্রত মণ্ডলের মুখ দিয়েই। এবার সেই মর্মেই তার অনুপস্থিতিতে  ‘গুরু’ অনুব্রতকে স্মরণ করেই তার দেওয়া শিক্ষা অনুযায়ী গুড় বাতাসা বিলি করে নজির সৃষ্টির চেষ্টা।

এছাড়াও বিপুল ভোটে অসিত মাল জয়ী হবেন বলেই মনে করছেন বোলপুর লোকসভার তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। নির্বাচন আসবে যাবে। কলি থাকলেও কেষ্ট নেই। তবে অনুব্রত মণ্ডলের সৃষ্টি করা ট্রেন্ড যেন ভুলতে পারছেনা বোলপুর।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী

Birbhum: অনুব্রতর দিন শেষ? ভোটের বীরভূমে তৃণমূলের নতুন ‘ম্যানেজার’! কে সে? একটি দৃশ্যই সব চমক

বীরভূম: অনুব্রত মণ্ডল-হীন বীরভূমে এবার তৃণমূলের ভোটের কান্ডারী কাজল শেখ। পাপুড়ি গ্রামের বাড়িতে বসে টেলিফোনেই বীরভূমের ভোট ‘কন্ট্রোল’ করছেন কাজল। বীরভূমের দু’টি লোকসভা আসনে গতবারের তুলনায় এবার লিড বাড়বে তৃণমূলের। দুপুর দুটোতেই কাজল শেখ বলে দিলেন তৃণমূল জিতে গিয়েছে দুটি লোকসভাতেই।

এমনকি কোন বিধানসভায় কত লিড পাবে দল, তাও নিউজ ১৮ বাংলা-কে বলে দিলেন কাজল শেখ। তিনি বলেন, ”অনুব্রত মণ্ডল দলের অভিভাবক। তাঁর অভাব উপলব্ধি করি। তিনি আমার রাজনীতির পথপ্রদর্শক ছিলেন। অনুব্রতর সঙ্গে বিবাদ সংবাদ মাধ্যমের একাংশের তৈরি। একসময় আমাকেও বাম বিরোধিতার জন্য অপরাধের জগতে থাকতে হয়েছিল। এখন হিংসা, সন্ত্রাসহীন নানুর এমনকী বীরভূম তৈরিই লক্ষ্য।”

আরও পড়ুন: বীরভূমে বুথের সামনেই ভয়ঙ্কর ঘটনা, হঠাৎ অঘটন! কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানের মৃত্যু

ভোট হচ্ছে, বুথ আছে কিন্তু নেই বীরভূমের তৃণমূলের কমান্ডার ইন চার্জ অনুব্রত মণ্ডল। চতুর্থ দফায় ২০২৪-র লোকসভা নির্বাচন চলছে বোলপুরে। তবে অনুব্রত রয়েছেন দিল্লির তিহার জেলে। সেই কারণেই থমথম করছে বোলপুর। অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ি কালিকাপুরের বাসিন্দাদের মন ভারাক্রান্ত। কেউ কেউ বলছেন ভোট বলে মনেই হচ্ছে না।

আজকের দিনে তাঁর বাড়ির সামনে মানুষের ঢল নামত। দলের কর্মী থেকে শুরু করে স্থানীয় মানুষ আসতেন দেখা করতে। তবে ভোট শুরু হলেও এদিন সেই দৃশ্য নেই। খাঁ খাঁ করছে অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ি। এই বাড়ি থেকে মোটর সাইকেলে করে ভোট দিতে যেতেন অনুব্রত মণ্ডল। কালিকাপুরের সরু ওলি-গলি পেরিয়ে যেতে হত ভোটকেন্দ্র ভাগবত নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়। আজ দেখা নেই সেই দৃশ্যেরও। বরং বীরভূম সামলাচ্ছেন কাজল শেখ।

Anubrata Mondal: থমথমে বোলপুর! ‘তাঁর’ অনুপস্থিতিতে ফিকে ভোট! কী বলছে অনুব্রতর পাড়া-বুথ? জানুন

বোলপুর: ভোট হচ্ছে, বুথ আছে কিন্তু নেই বীরভূমের তৃণমূলের কমান্ডার ইন চার্জ অনুব্রত মণ্ডল। চতুর্থ দফায় ২০২৪-র লোকসভা নির্বাচন চলছে বোলপুরে। তবে অনুব্রত রয়েছেন দিল্লির তিহার জেলে। সেই কারণেই থমথম করছে বোলপুর। অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ি কালিকাপুরের বাসিন্দাদের মন ভারাক্রান্ত। কেউ কেউ বলছেন ভোট মনেই হচ্ছে না।

আজকের দিনে তাঁর বাড়ির সামনে মানুষের ঢল নামত। দলের কর্মী থেকে শুরু করে স্থানীয় মানুষ আসতেন দেখা করতে। তবে ভোট শুরু হয়েছে প্রায় ৩ ঘণ্টা। আজ খাঁ খাঁ করছে অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ি। এই বাড়ি থেকে মোটর সাইকেলে করে ভোট দিতে যেতেন অনুব্রত মণ্ডল। কালিকাপুরের সরু ওলি-গলি পেরিয়ে যেতে হত ভোটকেন্দ্র ভাগবত নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়।

আরও পড়ুনঃ সাতসকালে পুজো দিলেন মা তারার মন্দিরে, বীরভূমের আনাচকানাচে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন শতাব্দী

এই কেন্দ্রে চারটি বুথ। ১৮৮, ১৮৯, ১৯০ এবং ১৯১। মানুষের ভিড় ঠেলে কালিকাপুরের সরু রাস্তা পেরিয়ে ভাগবত নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়ের ১৯০ নম্বর বুথে ভোট দিতে যেতেন তিনি। কিন্তু এ বার দেওয়া হল না সেই ভোট। চলছে ভোট গ্রহণ। ওই একই বুথে ভোট দিতে আসা স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, থমথম করছে ভোটকেন্দ্র। সেই সাজো সাজো রব আর নেই। বোলপুরের মানুষ মিস করছে অনুব্রত মণ্ডলকে।

রাজ্যের রাজনৈতিক মানচিত্রে বীরভূমের গুরুত্ব অনেক। সেই গুরুত্বের সিংহভাগই অনুব্রত মণ্ডলের জন্য। তবে তাঁর অনুপস্থিতি যেন কিছুটা ফিকে করেছে বোলপুরের ভোটের রং। এবং এই অনুপস্থিতি দলের উপরে কিছুটা প্রভাব ফেলবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী

Birbhum election: ভোটের সকালে তৃণমূলের ‘দরিদ্র নারায়ণ সেবা’! বীরভূমের টোকেন দেখালেই মিলছে গরমাগরম তিন পদ

দুবরাজপুর: অনুব্রত মণ্ডল নেই৷ ফলে তাঁর বিখ্যাত গুড় বাতাসার দাওয়াই ভোটের দিন বীরভূমে কাজে লাগানো হবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়৷ তবে গুড়-বাতাসা থাকুক না থাকুক, ভোটের দিন সকালে বীরভূমে গরমাগরম মুড়ি, ঘুগনি আর শেষ পাতে বোঁদেও রয়েছে৷ ভোটেকর সকালে এই ছবিই দেখা গেল বীরভূমের দুবরাজপুরে৷

চতুর্থ দফায় রাজ্যে যে আটটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলছে, তার মধ্যে রয়েছে বীরভূম এবং বোলপুর কেন্দ্র৷ অনুব্রত মণ্ডলের অনুপস্থিতিতে বীরভূমে এবারের ভোট তৃণমূলের কাছে কঠিন চ্যালেঞ্জ বলেই মত রাজনৈতিক মহলের৷ সেখানেই ভোটের দিন সকালে টোকেনের বিনিময়ে ভোটারদের মুড়ি-ঘুগনি-বোঁদে খাওয়ানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে৷

২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে বীরভূম জেলায় একমাত্র দুবরাজপুর কেন্দ্র থেকেই জয়ী হয়েছিল বিজেপি৷ লোকসভা নির্বাচন হলেও দুবরাজপুরে হারানো জমি ফিরে পেতে মরিয়া তৃণমূল৷

আরও পড়ুন: তিন দলের তিন তারকা! চতুর্থ দফায় নিজেদেরই প্রমাণের চ্যালেঞ্জ অধীর-দিলীপ-মহুয়ার সামনে

সেই দুবরাজপুরের একটি বুথের কিছুটা দূরে ভোটের দিন সকাল থেকে দেখা মিলল একটি ঠেলা গাড়ির৷ তাতে রয়েছে রাজ্যের শাসকদলের পতাকা। সেখানেই সাজানো গামলায় ঘুগনি, মুড়ি আর বোঁদে। ভোট দিয়ে আসছেন যাঁরা, তাঁদের হাতে একটা করে স্লিপ। সাদা কাগজের সেই স্লিপ রাখা হচ্ছে একটা ছোট বাক্সে। স্লিপে লেখা ‘দুবরাজপুর তৃণমূল কংগ্রেস’। তা দিলেই গরমাগরম মুড়ি-ঘুগনি-বোঁদে৷

যদিও সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধি দেখেই ভোল বদল করেন খাবার বিলির দায়িত্বে থাকা তৃণমূল কর্মীরা। তাঁদের দাবি, দরিদ্র নারায়ণ সেবা করছেন। কিন্তু হাতে স্লিপ কেন? প্রশ্ন শুনেই পতাকা গোটানোর পালা। ততক্ষণে অবশ্য অনেক ভোটার এসে দাঁড়িয়ে গিয়েছেন মুড়ি- ঘুগনি- বোঁদে নেবেন বলে।

Anubrata Mondal: উধাও নকুলদানা, নেই গুড়-বাতাসা! বাজছে না চড়াম চড়াম ভোটের ঢাকও, নির্বাচনের দিনে শ্মশান অনুব্রত মণ্ডলের নিচুপট্টির বাড়ি

দক্ষিণবঙ্গ: বোলপুর শহরের নিচুপট্টি এলাকা৷ নীল রঙের এক দোতলা বাড়ি৷ এই ক’দিন আগে পর্যন্তও যে কোনও নির্বাচনের আগে তিল ধারণের জায়গা থাকত না এই বাড়ির সামনে৷ আর আজ সব শুনশান৷ দরজা জানলা বন্ধ৷ ডাকলেও বোধহয় সাড়া মেলে না কারও৷ লোকসভা ভোটের চতুর্থ দফার দিন যখন বোলপুরের বুথে বুথে ভোট দিতে জড়ো হচ্ছেন সাধারণ মানুষ৷ তখন অনুব্রত মণ্ডলের নীল রঙা বাড়ির সামনে চেয়ারে বসে রইলেন ২-৩ জন পুলিশকর্মী৷ আর কেউ নেই৷ সব ফাঁকা৷

তাঁর ভয়ে নাকি বাঘে-গরুতে এক ঘাটে জল খেত বোলপুরে৷ গোটা এলাকা চিনতেন হাতের তালুর মতো৷ নকুলদানা, গুর-বাতাসা থেকে চড়াম চড়াম৷ প্রত্যেক ভোটের আগেই ‘খেলা’ দেখিয়ে দিতেন অনুব্রত মণ্ডল৷ উনিশের লোকসভা নির্বাচনের মতো একুশের নির্বাচনেও অনুব্রতকে তাঁর এই বাড়িতেই নজরবন্দি রেখেছিল কমিশন৷ কিন্তু, তাতে কী? এখানে বসেই বীরভূম তো বটেই বর্ধমানের একাংশেও ভোট নিয়ন্ত্রণ করতেন কেষ্ট৷ কিন্তু, কেষ্টর সেই গমগমে বাড়ি আজ শ্মশান৷

গরু পাচার কাণ্ডে তাঁর এই বাড়ি থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। সেই দিনও উপচে পড়েছিল ভিড়। এক বছর পরে সেই নিচুপট্টির সেই বাড়ি খাঁ খাঁ করছে! অনুব্রত মণ্ডল নেই। তিনি তিহাড়ে বন্দি৷ নেই তাঁর মেয়ে সুকন্যাও।

আরও পড়ুন: ভোটের প্রথম বলি! রাতের অন্ধকারে বোমা মেরে কুপিয়ে খুন তৃণমূলকর্মী…গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব না বামফ্রন্ট, নেপথ্যে কে?

প্রশ্ন উঠেছে, বীরভূমের রাজনীতিতে কি এখনও প্রাসঙ্গিক আছেন অনুব্রত? বিশেষ করে পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের জয়ের পরে? রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, সমস্ত পঞ্চায়েত সমিতি তৃণমূলের দখলে, ৫৯ আসনের জেলা পরিষদে বিরোধী জয়ী সদস্য কেবল এক জন। এবং এই সবই হয়েছে কেষ্টর অনুপস্থিতিতে। এই বিপুল নির্বাচনী ‘সাফল্য’ অনুব্রতকে জেলার রাজনীতিতে আরও ‘অপ্রাসঙ্গিক’ করে দেবে বলে মনে করেছিলেন রাজনীতিবিদদের একাংশের। কিন্তু বীরভূম ভোট প্রচারে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের কথায় বারবার উঠে এসেছে অনুব্রত মণ্ডল বা কেষ্টর কথা৷

সম্প্রতি বীরভূমে ভোট প্রচারে গিয়ে তাঁর ‘প্রিয়’ কেষ্টকে (অনুব্রত মণ্ডল) মঞ্চেই স্মরণ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের সবচেয়ে বড় গুণ কী, তা নিয়েও প্রকাশ্যে মন্তব্য করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী। মমতা বলেছিলেন, ‘‘কেষ্টর কেসে কী আছে, আমি জানি না। আইন আইনের পথে চলবে। তবে গরিব কেউ ওঁর কাছে গেলে খালি হাতে ফিরে আসত না। ও জেলাটাকে হাতের তালুর মতো চিনত।”

আরও পড়ুন :‘বলির পাঠা করা হচ্ছে ইউসুফ পাঠানকে,’ ভোটের দিনও মমতাকে তুমুল তোপ অধীরের! কেন এলেন না রাহুল? দিলেন উত্তর

মঙ্গলবার মমতা বলেছিলেন, পরিকল্পনা করে অনুব্রত ও তাঁর মেয়েকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘কেষ্ট আজ এলাকায় নেই। ওকে আর ওর মেয়েকে পরিকল্পনা করে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’ এর পর মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন কবে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হবে। মমতা বলেন, ‘‘আমি আপনাদের বলছি, দেখে নেবেন ভোট মিটলেই ওদের ছেড়ে দেওয়া হবে।’’ অনুব্রত যাতে ভোট কাজ না করতে পারে সেই জন্য তাঁকে আটকে রাখা হয়েছে। আর বুধবার অনুব্রতর গুণ নিয়ে মন্তব্য করে শোরগোল ফেলে দিলেন তিনি।

Anubrata Mondal: কেষ্ট বিহীন বীরভূম! অনুব্রতকে বাদ দিয়ে চাপে তৃণমূল?

বীরভূম: লালমাটির জেলা বীরভূম। এই বীরভূম এক সময় অনুব্রত মণ্ডলের গড় হিসেবে পরিচিত ছিল। অনুব্রত ঘনিষ্ঠদের মতে, তৃণমূল নেতার নামে এক সময় বীরভূমে বাঘে গরুতে এক ঘাটে জল খেত।

তবে অনুব্রত হীন বীরভূমে এই প্রথম লোকসভা নির্বাচন। অতীতে ভোটের অনুব্রত মণ্ডলকে নিজের বাড়ি থেকে বেরিয়ে তাঁর দেহরক্ষী সায়গেল হোসেনের সঙ্গে বাইকে চেপে ভোট দিতে যেতে দেখা যেত। তবে গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডল তিহারে জেলবন্দি। তাঁর অনুপস্থিতিতে বীরভূমে কেমন চলছে তৃণমূলের ভোট প্রচার?

আরও পড়ুন: কেষ্ট বিহীন বীরভূম! অনুব্রতকে বাদ দিয়ে চাপে তৃণমূল? 

বোলপুরে অনুব্রত মণ্ডলের নিচুপট্টির বাড়ি থেকে মাত্র পায়ে হেঁটে পাঁচ মিনিট এর দূরত্ব অবস্থিত তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয় ভবন। এই দলীয় কার্যালয় এক সময় ছিল বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেসের ওয়াচ টাওয়ার।অনুব্রত মণ্ডল একসময় এই কার্যালয়ে এসে নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে নিয়ে দলের কর্মিবৃন্দদের নিদান দিতেন। অনুব্রত মণ্ডলের অনুপস্থিতিতে কেমন চলছে ভোট প্রচার প্রক্রিয়া!এই বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন অনুব্রত মণ্ডল যে সংগঠন তৈরি করে গিয়েছিলেন সেই সংগঠনের উপর ভিত্তি করেই জেলায় চলছে দলের ভোট প্রস্তুতি৷

এলাকার তৃণমূলকর্মী অনুরূপা দাস জানান, “অনুব্রত মণ্ডল যেমন বলতেন খেলা হবে ঠিক সেই মতোই এই লোকসভা নির্বাচনে বোলপুর লোকসভাই ভালো ফলাফল হবে।অনুব্রত মণ্ডল নেই, তবে তাঁর তৈরি করা সংগঠন অনেকটা মজবুত রয়েছে। আর তৃণমূল বিপুল ভোটে জয়ী হবেন।”

অন্য এক স্থানীয় তৃণমূল কর্মী জানাচ্ছেন,  গ্রামীণ এলাকায় তৃণমূলের যে সংগঠন রয়েছে সেটি অনেকটাই মজবুত। বোলপুরে কিছুটা খামতি থাকলেও মঙ্গলকোট, আউসগ্রাম, কেতুগ্রামে ভাল ফলাফল হবে।

সৌভিক রায়

Anubrata Mondal: অনুব্রত মণ্ডল জেল থেকে ছাড়া পাবেন কবে? লাভপুরে ‘অঙ্ক’ বুঝিয়ে জানিয়ে দিলেন মমতা

বীরভূম: বীরভূমে ভোট প্রচারে এসে তাঁর ‘প্রিয়’ কেষ্টকে (অনুব্রত মণ্ডল) স্মরণ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের সবচেয়ে বড় গুণ কী, তা নিয়েও প্রকাশ্যে মন্তব্য করলেন তৃণমূল নেত্রী। মমতার কথায়, ”কেষ্টর কেসে কী আছে, আমি জানি না। আইন আইনের পথে চলবে। তবে গরীব কেউ ওঁর কাছে গেলে খালি হাতে ফিরে আসত না। ও জেলাটাকে হাতের তালুর মত চিনত।” এ কথা মমতা আগেও বলেছেন। রবিবার লাভপুরের সভা থেকে ফের একবার বললেন, ”কেষ্ট আজ জেলে থাকলেও আমি মনে করি, কেষ্ট জেলার উন্নয়ন হাতের তালুতে রাখত। বিজেপি সাজিয়ে গুছিয়ে কেস করেছে। তাতে কী এসে যায়। একদিন না একদিন তো বেরোবেই।”

এর কিছুক্ষণ বাদেই ফের একবার বলেন, ”বিজ্ঞাপনের এত টাকা আসছে কোথা থেকে? ১০০ দিনের কাজের টাকা দিচ্ছে না। যে কেউ আদালতে মামলা করতে পারে। আর আদালতে বিজেপির কেউ না কেউ বসে আছে। প্রমাণ হল না তার আগে চোর বলে দিল। কেস প্রমাণিত না হলে আইনের চোখে অপরাধী নয়। কেষ্টকে ধরে রেখেছে ভোটের জন্য। ভোট হয়ে গেলে ছেড়ে দেবে। ক’দিন আগে চাঁদুর বাড়িতে গিয়েছিল। চাঁদুকে ডেকে বসিয়ে রেখেছিল। ওকে বলেছিল সন্ধ্যায় পলিটিক্যাল ফোন আসবে। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার বার্তা। আমার থেকে ভাল বিজেপিকে কেউ চেনে না। এটা বাংলার ভোট নয়, আমাকে চোর বলল আর আমি চোর হয়ে গেলাম নাকি! এটা মোদির ভোট, তাকে জবাব দিতে হবে তিনি চোর না ডাকাত।”

আরও পড়ুন: এক লটারিতেই ১৬ হাজার কোটি টাকা! বিশ্বের সবচেয়ে বড় লটারি জিতে যা করলেন জয়ী ব্যক্তি! আশ্চর্য

সভার শুরুতেই মমতা বলেন, ”বীরভূম জেলা হল সতীপীঠের অন্যতম স্থান। কঙ্কালিতলা আমি নিজে যেতাম। ফুল্লরা ও নান্দীকেশরীতে যাব আমার ইচ্ছে আছে। আমার পিতৃদেবের গ্রাম চাকাইপুর যেতে চাই। কুসুম্বা গ্রামে আমার মামাবাড়ির গ্রাম। কিন্তু চাকাইপুরে আমি যাবই। ছোটবেলা এখানেই কাটত। বীরভূমের উপাচারের তুলনা হয় না।”

লোকসভা ভোটের প্রচারে জেলায় জেলায় সভা করছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার বীরভূমের লাভপুরে সভা ছিল তাঁর। সেই সভায় তিনি বীরভূমে তৃণমূলের প্রাক্তন জেল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারি নিয়েও বিজেপিকে নিশানা করেন।

Mamata on Anubrata: জেলে ‘কেষ্ট’, কিন্তু অনুব্রতর সবচেয়ে বড় গুণ কী? প্রকাশ্য সভায় বললেন মমতা

বীরভূম: বীরভূমে ভোট প্রচারে এসে তাঁর ‘প্রিয়’ কেষ্টকে (অনুব্রত মণ্ডল) স্মরণ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের সবচেয়ে বড় গুণ কী, তা নিয়েও প্রকাশ্যে মন্তব্য করলেন তৃণমূল নেত্রী। মমতার কথায়, ”কেষ্টর কেসে কী আছে, আমি জানি না। আইন আইনের পথে চলবে। তবে গরীব কেউ ওঁর কাছে গেলে খালি হাতে ফিরে আসত না। ও জেলাটাকে হাতের তালুর মত চিনত।”

লোকসভা ভোটের প্রচারে জেলায় জেলায় সভা করছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার বীরভূমের হাসনের পর বুধবার আউশগ্রামে সভা ছিল তাঁর। সেই সভায় তিনি বীরভূমে তৃণমূলের প্রাক্তন জেল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারি নিয়েও বিজেপিকে নিশানা করেন।

আরও পড়ুন: SSC কাণ্ডে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে কমিশন! তাকিয়ে আছে গোটা বাংলা

মঙ্গলবার মমতা বলেছিলেন, পরিকল্পনা করে অনুব্রত ও তাঁর মেয়েকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘কেষ্ট আজ এলাকায় নেই। ওকে আর ওর মেয়েকে পরিকল্পনা করে গ্রেফতার করা হয়েছে।’ এর পর মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন কবে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হবে। মমতা বলেন, ‘আমি আপনাদের বলছি, দেখে নেবেন ভোট মিটলেই ওদের ছেড়ে দেওয়া হবে।’ অনুব্রত যাতে ভোট কাজ না করতে পারে সেই জন্য তাঁকে আটকে রাখা হয়েছে। আর বুধবার অনুব্রতর গুণ নিয়ে মন্তব্য করে শোরগোল ফেলে দিলেন তিনি।

তবে অনুব্রত না থাকায় কোনও সমস্যা হবে না বলে তিনি জানান। মমতা বলেন, ‘প্রতিবার ভোটের দিন কেষ্টকে ঘরবন্দি করত। তাতে কি ভোট আটকাতো। বীরভূমের মানুষ ভোট দিতেন।’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বক্তব্যেরও সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি নেতারা এত ভয়ানক কথা বলছেন। তাতে মর্মাহত। এর জন্য আগামী দিনে ওঁদের মূল্য দিতে হবে। অনেক তো চেষ্টা করেছেন। হল কী!’’

Mamata Banerjee: ‘ইচ্ছে করে করেছে যাতে ভোটের সময় অনুব্রত বের হতে না পারে…’ কেষ্টহীন বীরভূমে প্রথম সভায় হুঙ্কার মমতার

বীরভূম: ১১ অগাস্ট CBI-এর হাতে গ্রেফতার হন অনুব্রত মণ্ডল। কেষ্টগড়ে এই প্রথম অনুব্রতকে ছাড়া লোকসভা ভোট। পঞ্চায়েতে বিপুল সাফল্য়ের পরে এবার লোকসভার দিকে তাকিয়ে রাজ্য়ের শাসকদল। আজ, মঙ্গলবার সেই ভোট-প্রচারে হাঁসনে আসেন তৃণণূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এদিন মমতা বলেন, ‘ কেষ্ট আজ নেই। তাঁকে ও তাঁর মেয়েকে বন্দী করে রেখেছে। দেখবেন ভোটের পর তাঁকে ছেড়ে দেবে। ইচ্ছা করে করেছে যাতে ও ইলেকশনোর সময় বের হতে না পারে।’

তিনি আরও বলেন, এই নির্বাচনটা আমার কৈফিয়ত দেওয়া নির্বাচন নয়।আমাদের গ্যারান্টি আমরা ১০০ পার্সেন্ট করেছি। বিজেপি এতটাই ঘাবড়ে গিয়েছে যে আজ ভয়ানক ভয়ানক কথা বলছে। আমি এই কথা গুলো বলে ভেদাভদের প্রাচীর তুলতে চাইনা। প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখ থেকে যে কথা গুলো বেরোচ্ছে তার জন্য আগামী দিনে মূল্য দিতে হবে।

 উন্নয়নের খতিয়ানও তুলে ধরেন তিনি। বলেন, ‘আমি বীরভূমে দু-তিনটি কথা বলব। দেউচা পাচামিতে দ্বিতীয় বৃহত্তম কয়লা খনি তৈরি হচ্ছে। ৩৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে। ১ লক্ষ ছেলেমেয়ের চাকরি হবে।’

আরও পড়ুন- সপ্তাহভর চলবে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি, বুধবার থেকে ফের তীব্র দাবদাহে জ্বলবে দক্ষিণবঙ্গ ! উত্তরের আবহাওয়া কেমন থাকবে? জেনে নিন

তাঁর কথায়, ‘বীরভূমের মানুষের কাছে কৃতজ্ঞ তাঁরা এই দুটো সিট আমাদের দিয়েছেন। প্রতিদিন এঁদের বিজেপি অত্যাচার করেছে। শতাব্দী রায়কে অনেক হুমকি ও দেওয়া হয়েছে। এই সব খেলা চলছে। ভয় দেখানোর খেলা চলছে।’ তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায়ের প্রচারে জনসভা করছেন তিনি। এদিন কেষ্টগড়ে দাঁড়িয়ে মমতার মুখে শোনা গেল কেষ্ট স্তুতিই। ভোটের ফল কী বলবে? সেদিকে তাকিয়ে রাজনীতির কারবারিরা।

অনুব্রত কোথায়…? তিহারে না সিউড়িতে? দোল মাতালেন কেষ্ট! অনুগামীরা মাখালেন আবির! দেখুন

বীরভূম: এখনও ফাঁকা অনুব্রত গড়। গরু পাচার মামলায় দিল্লির তিহার জেলবন্দি-বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা। বীরভূম থেকে দূরে রয়েছেন ঠিকই। তবে প্রিয় ‘দাদা’কে ভোলেননি কেউ। বীরভূমের সিউড়িতে অনুব্রতর বিরাট কাট আউটে আবির দিয়ে দোলের শুভেচ্ছা জানালেন তার অনুগামীরা।

গরু পাচার মামলায় ধৃত অনুব্রত মণ্ডল বছরখানেক জেলবন্দী। গ্রেফতারির পরেও তাঁর পাশেই রয়েছে দল। বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতির পদে এখনও আসীন অনুব্রত। তাই সিউড়ি তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয়ের সামনে আজও রয়েছে তাঁর বিশাল কাটআউট।

সোমবার সকালে ওই কাটআউটের সামনে ভিড় জমান সিউড়ি শহর মহিলা তৃণমূলের কর্মীরা। অনুব্রতর পায়ে আবির দেন। কেউ আবির দেন গালে। তার পরই একে অপরকে দোলের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

আরও পড়ুন: ওয়ালেট আর পার্স কি একই জিনিস…? দুইয়ের ফারাক কী? আবার বলার আগে জানুন ‘সত্যি’! চমকে যাবেন, গ্যারান্টি

কখনও ‘গুড়-বাতাসা’, তো কখনও ‘চড়াম চড়াম’। বিরোধীদের উদ্দেশে চোখা চোখা আক্রমণই যেন ছিল অনুব্রত মণ্ডলের ইউএসপি। দক্ষ সংগঠক অনুব্রতর অনুগামীর সংখ্যা বিপুল। সেই অনুব্রতই গরু পাচার মামলায় বছরখানেকেরও বেশি সময় জেলবন্দি। পার্থ, জ্যোতিপ্রিয়র কপালে শাস্তির খাঁড়া ঝুলেছে। তবে গ্রেফতারির পরেও অনুব্রতর পাশেই রয়েছে দল।

আরও পড়ুন: জোড়া ঘূর্ণাবর্ত…! পশ্চিমী ঝঞ্ঝার রক্তচক্ষু…! ঝড় বৃষ্টির তোলপাড় করা অশনি সঙ্কেত! কবে থামবে দুর্যোগ? জানিয়ে দিল IMD

দলের ছোট, বড় নেতাদের মুখেশোনা গিয়েছে তাঁর নাম। সম্প্রতি ভোট প্রচারে বেরিয়ে বিদায়ী সাংসদ তথা তৃণমূলের তারকা প্রার্থী শতাব্দী রায়ের মুখেও অনুব্রতর নাম শোনা গিয়েছে। তাঁকে ‘মিস করবেন’ বলেও দাবি করেন শতাব্দী। তারই মাঝে আবির মাখিয়ে দোলের শুভেচ্ছা জানানোর ঘটনাই প্রমাণ করে আজও তাঁর জনপ্রিয়তায় এতটুকু ভাঁটা পড়েনি।

সৌভিক রায়