মুর্শিদাবাদ: গত দু’দিন ধরেই লাগাতার গঙ্গাবক্ষে ভাঙন। ভাঙনের জেরে আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা। আর পরিদর্শনে গিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন সামশেরগঞ্জের বিধায়ক আমিরুল ইসলাম। বিধায়কের দাবি ফরাক্কা বাঁধ প্রকল্প থেকে অতিরিক্ত জল ছাড়ার ফলেই বাড়ছে ভাঙন।
অভিযোগ খোদ বিধায়কের। ভিটে মাটি, বসত বাড়ি হারানোর ভয় গ্রাস করেছে তাদের। চারিদিকে কান্না আর হাহাকার। ঘর বাড়ির ইট ভাঙার শব্দে শোকের ছবি সামশেরগঞ্জে। নদী পাড়ের বাসিন্দারা ভাঙন আতঙ্কে আতঙ্কিত। কষ্টের টাকা দিয়ে গড়া বাড়ি তলিয়ে যাচ্ছে নদীগর্ভে। নতুন করে গঙ্গা ভাঙন শুরু হয়েছে প্রতাপগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের লোহরপুর গ্রামে।
আরও পড়ুন: পুজোর আগেই পৌঁছে যাবে বাড়ি বাড়ি! অভিষেকের বিরাট ঘোষণা! নেতাদের বড় নির্দেশ…
কয়েকশো মিটার এলাকায় ইতিমধ্যেই নদী গর্ভে বিলীন। বিপদ সীমার ওপর দিয়ে বইছে গঙ্গা। ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে নদীর তীরবর্তি এলাকায় মানুষকে সতর্ক করতে চলছে মাইকিং, প্রচার। ভাঙন আতঙ্কে নদী পারের বহু পরিবার আজ ঘর ছাড়া। ঘর বাড়ি ভেঙে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। মাথা গোঁজার ঠাই না পেয়ে ঘরের জিনিসপত্র রাখছেন রাস্তাতেই।
চরম অনিশ্চিয়তা ও আতঙ্কের মধ্যেই সকাল থেকে রাত- লোহরপুরের বাসিন্দারা নদীর দিকে তাকিয়ে। ভাঙন প্রতিরোধ নিয়েও ক্ষোভে রয়েছে গ্রামে।
গ্রামের বাসিন্দারা জানান, গঙ্গা ভাঙনের আতঙ্ক যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না সামসেরগঞ্জের বাসিন্দাদের। গঙ্গা ভাঙনের কবলে সামসেরগঞ্জের প্রতাপগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের লোহরপুর গ্রাম। তলিয়ে গিয়েছে তিনটি বাড়ি এবং মসজিদের একাংশ।
কৌশিক অধিকারী