'জল ছেড়ে মানুষ মারে...ডিভিসি নিয়ে যাক দায়িত্ব সরিয়ে!' বিস্ফোরক মমতা

Mamata Banerjee on DVC Flood Situation: ‘জল ছেড়ে মানুষ মারে…ডিভিসি দায়িত্ব সরিয়ে নিয়ে যাক!’ বিস্ফোরক মমতা

বীরভূম: ডিভিসির জল ছাড়া নিয়ে আবারও বিস্ফোরক মমতা। তিনি চান, ডিভিসি সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হোক রাজ্য থেকে। এই দায় থেকে মুক্ত হতে চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিছু দিন আগেই তিনি অভিযোগ করেছিলেন, তাঁর অনুমতি না নিয়ে বার বার জল ছাড়ে দামোদর ভ্যালি করপোরেশন, এতেই বন্যা পরিস্থিতি দেখা দেয় বঙ্গে। বীরভূমে প্রশাসনিক বৈঠকে মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানালেন, যারা জল ছেড়ে মানুষ মারে, তাদের তিনি চান না। ডিভিসির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে তিনি বলেন, “ডিভিসি দায়িত্ব সরিয়ে নিয়ে যাক। কলকাতা থেকে সবই সরিয়ে নিয়ে যাক। বিল্ডিং আগে না মানুষের দাম আগে? যারা জল ছেড়ে মানুষ মারে তাদের আমরা চাই না।”

আরও পড়ুন- ‘এ কষ্ট চোখে দেখা যায় না!’ আবার সেই পুরনো ফর্মে! বাঁকুড়ায় যা করলেন মমতা, চমকে উঠবেন জেনে

মমতা আরও বলেন, “আমি বাংলাকে তো আর পাহাড় বানাতে পারব না। আমি তো আর ভূগোল বানাতে পারব না। আমার হাতে তো আর ইতিহাস, ভূগোল নেই। উত্তরে ভুটান আর নেপালের জলে ভাসে। ডিভিসি এখন করপোরেট হয়ে গেছে। শুধু বিদ্যুৎ বিক্রি করছে। খদ্দের ঠিক হয়ে গেছে। এখন রেলমন্ত্রী কোথায়? বেলাইনের বিশ্ব রেকর্ড করে ফেলেছে!”

২০ সেপ্টেম্বর রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতির কথা জানিয়ে এবং ডিভিসির উপর ক্ষোভ উগরে দিয়ে মোদীকে একটি চিঠি লিখেছিলেন মমতা। কেন্দ্রীয় জল শক্তি মন্ত্রকের তরফে সেই চিঠির জবাব দেওয়া হয়েছিল। জল শক্তি মন্ত্রী সিআর পাতিল দাবি করেছিলেন, রাজ্যের সম্মতি নিয়ে ডিভিসি জল ছাড়ে মাইথন এবং পাঞ্চেত জলাধার থেকে। সেই চিঠির জবাবে মোদীকে মমতা জানালেন, কেন্দ্রের বক্তব্য ঠিক নয়। অনেক সময়েই রাজ্যের সম্মতি ছাড়া জল ছাড়া হয়, দাবি তাঁর। এর প্রতিবাদে ডিভিসির কমিটি থেকে রাজ্যের প্রতিনিধি প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন মমতা।

আরও পড়ুন- ধোনির মেয়ে পড়ে ঘরের কাছের এই দারুণ স্কুলে! কত ফি? জানলে আপনিও পাঠাবেন সন্তানকে!

মমতা এ দিন বৈঠকে বলেন, “শস্য যাদের নষ্ট হয়েছে তাদেরকেও দেখতে বলা হয়েছে। এখন চাষিরা বিপদে পড়লে আমরা দেখি। বন্যাত্রাণের হিসাব অনুযায়ী যাতে যথাযথ টাকা পান সেটা দেখতে বলা হয়েছে। পিডাব্লুডি রাস্তা দেখে নেবে। আগে কিছুই ছিল না। এই মাটিতেই আমার জন্ম। আমি জানি। খাবার তৈরি করা, রিলিফ দেওয়া, সেগুলোতে নজর দিতে বলা হয়েছে। নৌকা আর স্পিড বোট বেশি স্রোতে যাওয়া যাবে না। কতজন যাচ্ছে সেটা দেখতে হবে। জীবন আমাদের দামি। পুলিশ বা বিডিও অ্যালার্ট করলে সরে আসবেন। জীবন ভীষণ দামি। পরিযায়ী শ্রমিক নিয়ে আমি বলেছি। ইউপি, এমপি, রাজস্থান থেকে মেরে এখানে পাঠানো হচ্ছে। তাদের পরিবারকে সাহায্য করা হয়েছে। সাপে কামড়ালে বাড়িতে চিকিৎসা করানোর ঝুঁকি নেবেন না। সাথে সাথে হাসপাতালে নিয়ে যান। সবংয়ে একটা ছেলে মারা গেছে। ডায়েরিয়া, হতে পারে তাই ওআরএস ও সর্দি কাশির ওষুধ রাখতে বলা হয়েছে।”

এরপরি মুখ্যমন্ত্রী জানান,সব পুজো মিটে যাওয়ার পরে তিনি আবার যোগ দেবেন প্রশাসনিক বৈঠকে। এখন বন্যায় নৈতিক ভাবে পাশে দাঁড়িয়ে থাকাই তাঁর দায়িত্ব।