লাঠির আঘাতে চোখ নষ্ট খুদে শিক্ষার্থীর, পরিবারকে জাল চেক দিল অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক!

Uttar Pradesh News: লাঠির আঘাতে চোখ নষ্ট খুদে শিক্ষার্থীর, পরিবারকে জাল চেক দিল অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক!

কৌশাম্বী: শিক্ষকের মারে ভয়ঙ্কর অবস্থা হল এক ছাত্রের৷ ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের কৌশাম্বি জেলায়৷ জানা গিয়েছে, শিক্ষকের মারের কারণে দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন এক খুদে পড়ুয়া৷

জানা গিয়েছে, মানঝানপুর ব্লকের নেওয়ারি উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শৈলেন্দ্র তিওয়ারি এই কান্ডটি ঘটিয়েছেন৷ তিনি ছাত্র আদিত্য কুশওয়াহার সঙ্গে নিষ্ঠুর আচরণ করেছেন। শিশুটির দিকে তিনি একটি লাঠি ছুড়ে মারেন৷ সেটি গিয়ে লাগে তাঁর মুখে৷ যে কারণে বাম চোখের চোখের দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলে ওই শিক্ষার্থী।

আরও পড়ুন : নৃশংস লালসায় রক্তাক্ত, ক্ষতবিক্ষত! ১০ মাস বয়সি কন্যাশিশুকে ধর্ষণ করল ৩০ বছরের যুবক

চোট লাগার পর বাচ্চাটির দুটি অস্ত্রোপচারও হয়েছে৷ কিন্তু তাতে লাভ হয়নি৷ ডাক্তাররাও এরপর হাল ছেড়ে দেন৷ নির্যাতিত ছাত্রের মা বিচার চেয়ে CWC-এর কাছে যান। জানা গিয়েছে, মামলা তুলে নেওয়ার জন্য ওই অভিযুক্ত শিক্ষক শিশুটির পরিবারকে ১০ লাখ টাকার একটি জাল চেক দিয়েছিলেন। ডিএম মধুসূদন হুলগির নির্দেশে এরপর পুলিশ অভিযুক্ত শিক্ষক শৈলেন্দ্র তিওয়ারির বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে৷

আরও পড়ুন : দোকানের সামনে ঘুরে বেড়াচ্ছে ভয়ঙ্কর প্রাণী! সকালে সিসিটিভি ফুটেজ দেখতেই আতঙ্ক

নেওয়ারি গ্রামের বাসিন্দা অযোধ্যা প্রসাদ জানান, তার ছেলে আদিত্য নেওয়ারি কুশওয়াহা উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। ২০২৪ সালের ৯ মার্চ তিনি স্কুলে পড়তে গিয়েছিলেন আর পাঁচদিনের মতোই। এরপর সে পড়া না পারলে সেই শিক্ষক প্রচণ্ড ক্ষেপে যান৷ তখন তিনি ছাত্রটিকে একটি লাঠি ছুড়ে মারেন। যা সরাসরি গিয়ে লাগে শিশুটির বাঁদিকের চোখে৷ রক্ত ​​ঝরতে থাকে সেখান দিয়ে। এ ঘটনায় তিনি থানায় অভিযোগ করতে গেলে, থানা থেকে বিষয়টি প্রথমে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি৷ নেওয়া হয়নি কোনও অভিযোগও৷ পরে অবশ্য পুলিশ বাধ্য হয় তদন্ত শুরু করতে৷

শিশুটির পরিবার এরপর তাঁকে নিয়ে সদগুরু চক্ষু হাসপাতাল, জানকিকুন্ড ও চিত্রকূটে যায় চিকিৎসা করাতে। আহত শিশুটির দুবার অস্ত্রোপচার করেন ডাক্তাররা। বহু চেষ্টার পরও লাভ হয়নি৷ ডাক্তাররা তার চোখের দৃষ্টি ফেরাতে পারেননি৷ সন্তানের চিকিৎসার জন্য চেষ্টার ত্রুটি রাখেননি শিশুটির মা৷ জানা গিয়েছে, ভয় পেয়ে ওই শিক্ষক আহত শিশুর বাবা-মাকে একটি দশ লাখ টাকার চেক দিয়েছিলেন৷ পরে জানা যায়, সেটাও না কি জাল ছিল৷

এরপরই বিচারের দাবিতে CWC-এর কাছে যান নির্যাতিতার মা। বিষয়টি ডিএম-এর নজরে এলে, সোমবার অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক শৈলেন্দ্র তিওয়ারির বিরুদ্ধে 326 ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। অন্যদিকে বিএসএ কমলেন্দ্র কুমার কুশওয়াহা বলেছেন যে বিষয়টি তাঁর বিবেচনায় রয়েছে। এই বিষয়ে ব্লক শিক্ষা অফিসারের কাছে তদন্ত রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। রিপোর্ট আসার পর অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেই তিনি জানিয়েছেন৷