সন্তানের মঙ্গল কামনায় পবিত্র স্নান, জলে ডুবে মৃত্যু ৪৩ জনের

Jivitputrika: দুর্গাবতী নদীতে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা, ৩৭ শিশুসহ জলে ডুবে মৃত্যু ৪৩, নিখোঁজ বহু

পাটনা : ভয়াবহ দুর্ঘটনা বিহারে৷ পবিত্র স্থান করতে গিয়ে পাণ হারালেন ৪৩ জন, যাদের মধ্যে ৩৭ জন শিশু! নিখোঁজ তিন৷

ঘটনাটি ঠিক কী? জিতিয়া বা জীবিতপুত্রিকা হল এক ব্রত৷ ঘটা করে যে উৎসব পালন করা হয় গোটা বিহার জুড়ে৷ এই উৎসবে মায়েরা তাদের সন্তানদের মঙ্গলকামনায় করে থাকেন৷ মানতে হয় কঠোর উপোস৷ আর সেই উৎসবেই কি না চলে গেল ৪৩টি তরতাজা প্রান৷ গোটা বিহারেই বিভিন্ন জেলায় এমন ঘটনা ঘটেছে৷ সংখ্যাটা প্রায় পঞ্চাশের কাছাকাছি৷ এদের মধ্যে সাতজন মহিলাও রয়েছে বলে জানানো হয়েছে সরকারের তরফ থেকে৷

আরও পড়ুন : বাহরাইচে ফের হিংস্র পশুর হানা, প্রাণের ভয়ে বাড়ির বাইরে পা রাখছেন না কেউ!

পূর্ব ও পশ্চিম চম্পারন, নালন্দা, ঔরঙ্গাবাদ, কাইমুর, বক্সার, সিওয়ান, রোহতাস, সারান, পাটনা, বৈশালী, মুজাফফরপুর, সমষ্টিপুর, গোপালগঞ্জ এবং আরওয়ালের মতো প্রতি জেলায় একই ঘটনার ছবি৷ পবিত্র উৎসবের দিনে গোটা রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে চিৎকার, কান্না৷ মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার এই ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে৷ সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে ক্ষতি হওয়া প্রতিটি পরিবারকে প্রায় বিশাল অঙ্কের টাকা দেওয়া হবে৷

বুধবার উৎসব চলাকালীন রাজ্যের ১৫টি জেলায় এ ঘটনা ঘটে। জীবিতপুত্রিকা উৎসবের সময়, মহিলারা তাদের সন্তানদের মঙ্গলের জন্য উপবাস করেন এবং উভয়েই পবিত্র স্নান করেন নদী বা পুকুরে। দুর্যোগ মোকাবিলা বিভাগের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, “এখনও পর্যন্ত মোট ৪৩টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। খোঁজ চলছে৷ সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে৷”

আরও পড়ুন : লাঠির আঘাতে চোখ নষ্ট খুদে শিক্ষার্থীর, পরিবারকে জাল চেক দিল অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক!

মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার মৃতদের পরিবারকে ৪ লক্ষ টাকা করে অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। সরকারের তরফ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এক্সগ্রেটিয়া প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে এবং নিহত হওয়া পরিবারগুলির মধ্যে আটজন ইতিমধ্যেই সেই অনুদান পেয়ে গিয়েছে।

যা খবর তাতে ঔরঙ্গাবাদ জেলাতেই মোট আটজন শিশু না কি ডুবেছে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শ্রীকান্ত শাস্ত্রী জানিয়েছেন, জেলার মধ্য়ে একাধিক পবিত্র জলাশয় রয়েছে৷ সেখানে পবিত্র স্নান করতে গিয়েছিলেন বহু মানুষ। দুর্গাবতী নদীতে এবং একটি পুকুরে স্নান করতে গিয়ে ডুবেছে সাতজন।