আত্মীয়দের উপরেই ক্ষুব্ধ অনুব্রত?

Anubrata Mondal: ‘রক্তের সম্পর্ক আর রাখতে চাই না!’ দু বছরেই মানুষ চিনলেন, কেন অভিমানী অনুব্রত?

বোলপুর: দু বছর পর জেল থেকে ফিরেছেন৷ গ্রামের বাড়ির দুর্গা পুজোতেও যাবেন৷ কিন্তু আত্মীয়দের সঙ্গে আর সম্পর্ক রাখতে চান না অনুব্রত মণ্ডল৷

শুক্রবার বীরভূমে নিজের পৈতৃক বাড়িতে গিয়ে রাখঢাক না করেই এ কথা স্পষ্ট করে দিলেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি৷ একই সঙ্গে অনুব্রত জানিয়ে দিয়েছেন, এবার আর দুর্গাপুজোয় গ্রামবাসীদের খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থাও করতে পারবেন না তিনি৷ কারণ তাঁর আর্থিক অবস্থাও আর আগের মতো নেই৷

আরও পড়ুন: টাকা তুলছেন মেয়রের ওএসডি, থানায় অভিযোগ অভিষেকের দফতরের! শুনে কী বললেন ফিরহাদ?

অনুব্রতর জেল যাত্রার পর থেকেই তাঁর ঘনিষ্ঠদের অভিযোগ ছিল, নিজের আত্মীয়দের থেকে সেভাবে কোনও সহযোগিতা পাননি কেষ্ট৷ এ দিন সম্ভবত সেই অভিমানই ঝরে পড়ল তৃণমূল নেতার গলায়৷ জামিন পেয়ে বীরভূমে ফেরার পর এ দিন হাটসারেন্দি গ্রামে নিজের পৈতৃক বাড়িতে দুর্গা পুজোর প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে যান অনুব্রত মণ্ডল৷ তৃণমূল নেতা জানান, সপ্তমীর দিন গ্রামের বাড়ির পুজো দেখতে আসবেন তিনি৷ অনুব্রত বলেন, ‘আমি আসব মায়ের কাছে৷ মাকে প্রণাম করব৷ চলে যাব৷’

দু বছর পর অবশেষে গ্রামের পুজোয় আবারও থাকতে পারবেন অনুব্রত৷ এ দিন তাঁকে দেখতে ভিড়ও করেন গ্রামবাসীরা৷ অনুব্রত বলেন, ‘আমার পৈতৃক বাড়ি৷ আমার দাদু-বাবা এই গ্রামে জন্মেছেন৷ এখানে বড় হয়েছেন৷ তাই গ্রামের বাড়িতে এলাম৷ পুজোয় সপ্তমীর দিন আসব৷’

একই সঙ্গে অনুব্রত জানিয়ে দেন, “এবার আর খাওয়া-দাওয়া করাবো না। আমার আর্থিক অবস্থা সে রকম নেই।

অনুব্রতকে প্রশ্ন করা হয়, গ্রামের বাড়িতে আত্মীয়দের সঙ্গে তাঁর কথা হল কি না৷? জবাবে অনুব্রত বলেন, গ্রামের গরিব মানুষের সঙ্গেই আমার যোগাযোগ৷ রক্তের সম্পর্ক আর রাখতে চাইছি না৷ প্রসঙ্গত জামিন পেয়ে বোলপুরে ফিরে দলীয় কার্যালয়ে বসেও আক্ষেপের সুরেই অনুব্রত বলেছিলেন, ‘পাপের শাস্তি পেয়েছি৷’