কলকাতা RG Kar Murder Protest: মহালয়ায় ধর্মতলায় মহামিছিল-মহাসমাবেশ…! ২৯ সেপ্টেম্বর ‘বড়’ ডাক! এবার কী করতে চলেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা? Gallery September 27, 2024 Bangla Digital Desk আরজি কর মেডিকেল কলেজের ঘটনার বিচার চেয়ে এসএসকেএম হাসপাতালের অডিটোরিয়ামে জুনিয়র চিকিৎসকদের গণ কনভেনশন ছিল শুক্রবার। ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর ফোরামের ডাকে এসএসকেএম হাসপাতালের সেমিনার হলে অনুষ্ঠিত হয় এই কনভেনশন। সেখান থেকেই উৎসবের মধ্যেও বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যাওয়ার বার্তা দিলেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন হাসপাতালের চিকিৎসক চিকিৎসক কর্মী থেকে সাধারণ মানুষ যোগ দেন এই মাস কনভেনশনে। বুদ্ধিজীবী সমাজের একাধিক প্রতিনিধি থেকে অভিনয় জগত এবং সাহিত্য জগতের একাধিক ব্যক্তিত্বও উপস্থিত ছিলেন এই কনভেনশনে। আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের মধ্যে অন্যতম দেবাশিস হালদার এদিন বলেন, “এই আন্দোলন সকল মানুষের আন্দোলন। এই আন্দোলন গণ আন্দোলনের রূপ নিয়েছে সাধারণ মানুষই সেটা করেছে। এর কোনও মুখ নেই সবাই আন্দোলনের মুখ।” “আমরা যখন আংশিক কর্মবিরতি তুলে নিলাম তখন কেউ কেউ ভাবলেন আমাদের আন্দোলন শেষ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তা নয়। আমাদের মূল দাবি বিচার। যতদিন বিচার না আসবে ততদিন আন্দোলন চলবে জোরদার হবে। যাঁরা ভাবছেন এসব করে ভয় দেখিয়ে আন্দোলন থামিয়ে দেওয়া যাবে তাঁরা ভুল ভাবছেন। আন্দোলন চলবে বিচার না পাওয়া পর্যন্ত। দেবাশিস আরও বলেন, “আমরা সকলকে বলব, রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে আমাদের পাশে দাঁড়াবেন। থ্রেট কালচার নিয়ে মৌখিক আশ্বাস পেয়েছি আমরা নবান্ন থেকে কিন্তু তার কোনও বাস্তবে রূপায়ণ হয়নি। রোগী পরিষেবার পাশাপাশি রোগী হয়রানির ব্যাপারেও আমরা ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছি সরকারকে। রোগী স্বার্থের কথা বলেছি ডাক্তারদের সুরক্ষার কথা বলেছি আমরা। আমরা খুব হতাশ আমরা জানতাম আজ, শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের শুনানি হবে। কিন্তু শুনানির দিন পিছিয়ে গেল। বিচার প্রক্রিয়া দেরিতে হচ্ছে। সব মানুষ চায় বিচার দ্রুত হোক।” আগামী কর্মসূচির বিষয়ে এদিন দেবাশিস, অনিকেত মাহাতোরা জানান, “আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের শুনানির আগেরদিন সন্ধ্যা ৬ টায় সকল মানুষ যাতে অংশ গ্রহণ করতে পারে তাই পাড়ায় থাকছি আন্দোলনে সামিল হওয়ার আহবান জানাচ্ছি সকলকে। ‘সকল জায়গায় একই স্বর, জাস্টিক ফর আর জি কর’ এই স্লোগান নিয়ে পাড়ায় পাড়ায় পথে থাকার আর্জি জানাচ্ছি মানুষদের। সকলে ওই ২৯ তারিখ সন্ধ্যায় প্রতিবাদ করুন নিজেদের মত করে নিজের এলাকায় মিছিল ও সমাবেশ করে।” একইসঙ্গে আগামী উৎসব প্রসঙ্গে দেবাশিস বলেন, “আমরা হয়তো সেভাবে উৎসবে শামিল হতে পারব না। আগামী ২ তারিখ মহালয়ার দিন অভয়ার বিচার পেতে স্বাস্থ্য ক্ষেত্র-সহ সকল ক্ষেত্রে ভয়ের পরিবেশ থেকে মুক্তি পেয়ে ধর্মতলায় মহাসমাবেশ করার ডাক দিচ্ছি। তার আগে হবে মহা মিছিল। সকল ক্ষেত্রের মানুষকে ডাক দিচ্ছি। উৎসবের মধ্যেও ভুলছি না বিচারের দাবি। মহামিছিল ও মহাসমাবেশ থাকবে মহালয়ার দিন ধর্মতলায় দুপুর একটায়।” অন্যদিকে আন্দোলনের অন্যতম নেতা অনিকেত মাহাতো বলেন, “কেন আমরা বাকি দাবিগুলো করেছিলাম সেগুলো ভেবে দেখবেন। কেন পুলিশ কমিশনার বা অধ্যক্ষের পদত্যাগ চেয়েছিলাম ভাবুন। এদের প্রশাসনের ব্যর্থতার জন্যই অভয়ার বিচারের আজ এত দীর্ঘ সূত্রিতা। আমাদের সুরক্ষা নিশ্চিত না করলে আমরা কী ভাবে আটকাব। আমাদের ক্যাম্পাস সুনিশ্চিত না করলে কী ভাবে আমরা কাজ করব? জুনিয়র ডাক্তারদের নমনীয়তাকে তাঁদের দুর্বলতা ভাববেন না প্রশাসন। যে কর্মসূচি জুনিয়র চিকিৎসকদের তরফে নেওয়া হয়েছে সেটা তাঁরা করবেন। যে কর্মবিরতি তাঁরা তুলে নিয়েছেন সেই নমনীয়তাকে দুর্বলতা ভাববেন না।”