সীতারাম ইয়েচুরির স্মরণসভায় জ্যোতি বসুর প্রসঙ্গ টেনে আনলেন ফারুখ আবদুল্লাহ৷

Farukh Abdullah criticizes CPIM: ‘জ্যোতি বসু সেদিন প্রধানমন্ত্রী হলে…’, ইয়েচুরির স্মরণসভায় সিপিএমের অস্বস্তি বাড়ালেন ফারুখ আবদুল্লাহ

নয়াদিল্লি: সিপিএমের প্রয়াত সাধারণ সম্পাদকের স্মরণ সভায় গিয়ে সিপিএমেরই অস্বস্তি বাড়ালেন জম্মু কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুখ আবদুল্লাহ৷ সিপিএম নেতৃত্বের অস্বস্তি বাড়িয়ে মনে করিয়ে দিলেন ১৯৯৬ সালে সীতারাম ইয়েচুরি সহ সিপিএম নেতাদের আপত্তিতেই প্রধানমন্ত্রী হতে পারেননি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু৷ ন্যাশনাল কনফারেন্সের প্রবীণ নেতার কথায়, সেই সময় জ্যোতি বসু প্রধানমন্ত্রী হলে আজকে দেশের অবস্থাই সম্পূর্ণ অন্যরকম হত৷

এ দিন দিল্লিতে সীতারাম ইয়েচুরির স্মরণ সভার আয়োজন করেছিল সিপিএম৷ তৃণমূল বাদে বিরোধী শিবিরের প্রথম সারির সব নেতারাই সেখানে উপস্থিত হয়ে প্রয়াত সিপিএম নেতার স্মৃতিচারণা করেন৷ উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধিও৷

বক্তব্য রাখতে গিয়ে সীতারাম ইয়েচুরির প্রশংসা করতে গিয়েই ফারুখ আবদুল্লাহ বলেন, রাজনৈতিক মতাদর্শ ভিন্ন হলেও উনি কোনওদিন প্রতিপক্ষকে বুঝতে দিতেন না যে তিনি তাঁর শত্রু৷ সীতারাম ইয়েচুরির এই রাজনৈতিক ভাবধারাকে আমি বোঝার চেষ্টা করেছি৷ এর পরেই জম্মু কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, একসময় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুকে আমরা প্রধানমন্ত্রী করতে চেয়েছিলাম। উনি (সীতারাম) এবং আপনাদের পার্টি হতে দেননি। সেদিন যদি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী হতেন তাহলে এই দেশ অন্যরকম হত। ফারুক আবদুল্লা যখন এই কথা বলছেন, তখন মঞ্চে তাঁর পাশেই বসে রয়েছেন প্রকাশ কারাট, বৃন্দা কারাট, পিনারাই বিজয়নরা৷

১৯৯৬ সালে অটলবিহারী বাজপেয়ীর ১৩ দিনের সরকারের পতনের পর যুক্তফ্রন্ট সরকারের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ এসেছিল পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর সামনে৷ কিন্তু যুক্তফ্রন্ট সরকারে যোগ দিতেই রাজি হয়নি সিপিএম নেতৃত্ব৷ ফলে প্রধানমন্ত্রী হওয়া হয়নি জ্যোতি বসুর৷ প্রধানমন্ত্রী হন এইচ ডি দেবেগৌড়া৷ দলের এই সিদ্ধান্তকে ঐতিহাসিক ভুল বলেই মন্তব্য করেছিলেন জ্যোতি বসু স্বয়ং৷ এ দিন সীতারাম ইয়েচুরির স্মরণসভায় গিয়ে সিপিএম নেতৃত্বকে এমন ভুল আর না করার পরামর্শই দিয়ে এলেন প্রবীণ রাজনীতিবিদ ফারুখ আবদুল্লাহ৷