বাগডোগরা: ট্রেনে নিষিদ্ধ মাদক বহন করার বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রেখেছে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের রেলওয়ে সুরক্ষা বাহিনী। ২০২৪- সালের ১ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে ২৬.৪৮ লক্ষ টাকারও অধিক মূল্যের নিষিদ্ধ সামগ্রী উদ্ধার করে। এই সময়সীমার মধ্যে আরপিএফ নিষিদ্ধ/চোরাই সামগ্রী বহন করার কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে নয় জন ব্যক্তিকে আটকও করে।
০২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ তারিখের একটি ঘটনায় লামডিঙের আরপিএফ ও জিআরপি যৌথভাবে লামডিং রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেন নং ০১৬৬৬ (আগরতলা-রানি কমলাপতি) স্পেশালে তল্লাশি চালানোর সময় তারা ৩.৯৪ লক্ষ (আনুমানিক) টাকা মূল্যের ১৯.৭ গ্রাম ব্রাউন সুগার এবং ১.৮১ লক্ষ (আনুমানিক) টাকা মূল্যের ১৮.১০ কেজি গাঁজা সহ চার জন ব্যক্তিকে আটক করে। পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য উদ্ধারকৃত সামগ্রী সহ ধৃত ব্যক্তিদের ওসি/জিআরপি/লামডিঙের হাতে তুলে দেওয়া হয়।এন. এফ. রেলওয়ের আরপিএফ ২০২৪-এর জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত সময়ে ২৩.৫০ কোটি টাকারও অধিক মূল্যের নিষিদ্ধ/চোরাই সামগ্রী উদ্ধার করে।
এই সময়ে নিষিদ্ধ/চোরাই সামগ্রী অবৈধভাবে বহন করার জন্য ২৮৩ জন সরবরাহকারীকেও আটক করেছে আরপিএফ। এর আগে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের রেলওয়ে সুরক্ষা বাহিনীর হাতে উদ্ধার ১৬.৭ লক্ষ টাকারও অধিক মূল্যের নিষিদ্ধ সামগ্রী, আটক ১৭ জন ব্যক্তি। উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের রেলওয়ে সুরক্ষা বাহিনীর (আরপিএফ) পক্ষ থেকে রেলওয়ের মাধ্যমে পরিবহণ করা নিষিদ্ধ সামগ্রীর বিরুদ্ধে ক্রমাগতভাবে অভিযান চালিয়ে আসা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
রেল সূত্রের খবর, মার্চ মাসে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের আরপিএফ আগরতলা, ডিমাপুর, বাগডোগরা, রঙিয়া ও কিষানগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন, ট্রেনে নিষিদ্ধ সামগ্রী পরিবহণের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ১৬.৭ লক্ষ টাকারও অধিক মূল্যের নিষিদ্ধ সামগ্রী উদ্ধার করে। এই অভিযানের সময় তারা মোট ১৬৭ কেজি ওজনের গাঁজা উদ্ধার করে এবং এই সম্পর্কে ১৭ জন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বাজেয়াপ্ত করা সামগ্রী সহ ধৃতদের সংশ্লিষ্ট ওসি/জিআরপি অথবা স্থানীয় থানায় হস্তান্তর করা হয়।একটি ঘটনায় আগরতলা আরপিএফ-এর একটি দল আগরতলা রেলওয়ে স্টেশনে অভিযান চালিয়ে ব্যাগ সহ কয়েকজন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে শনাক্ত করে।
ব্যাগটি খোলার পর সেখান থেকে আনুমানিক ৪.৮০ লক্ষ টাকা মূল্যের প্রায় ৪৮ কেজি গাঁজা পায়। এই ঘটনা সম্পর্কে ছয় জন ব্যক্তিকে আটক করা হয়। পরে উদ্ধারকৃত গাঁজা সহ ধৃত ব্যক্তিদের আগরতলার জিআরপি-র হাতে তুলে দেওয়া হয়।উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেল সূত্রে খবর, রেল পথে পাচার বা নিষিদ্ধ বস্তু নিয়ে যাতায়াত রুখতে কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে। বিশেষ করে একাধিক ট্রেনে সারপ্রাইজ ভিজিট করে কোটি কোটি টাকার নিষিদ্ধ বস্তু উদ্ধার করা হয়েছে।