পড়শি রাজ্যে বিরোধী বামকে কড়া আক্রমণ বিজেপির! কী বললেন মানিক সাহা?

Manik Saha: পড়শি রাজ্যে বিরোধী বামকে কড়া আক্রমণ বিজেপির! কী বললেন মানিক সাহা?

আগরতলা: পূর্বতন সরকারের সময়ে সংঘটিত সবগুলি খুনের মামলা নতুন করে খোলা হবে। আইনের যাবতীয় বিষয়াদি খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ  করা হবে। শুধু কথার মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান, মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা।

অনুষ্ঠানে মানিক জানান, ৭ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্মদিন উপলক্ষে সেবা পক্ষকাল কর্মসূচি রাখা হয়েছে। মাঝখানে ২৫ সেপ্টেম্বর পন্ডিত দীন দয়ালের এবং ২ অক্টোবর মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিন উপলক্ষে  বিভিন্ন কার্যক্রম রাখা হয়েছে। নানা কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়েছে। মানিক বলেন, “এমনিতেই সারা বছর ধরে আমরা নানা সামাজিক কার্যক্রম করি। আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে সেবাই ধর্ম। এই লক্ষ্য নিয়েই আমরা মানুষের জন্য কাজ করি। “

আরও পড়ুন- দিদির উপর অত্যাচারের প্রতিবাদ করায় ভয়ঙ্কর পরিণতি মহিলার! ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপানো হল তাঁকে!

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বিরোধী দলের তো কোন কাজ নেই। শুধু ৮/১০ জন লোক নিয়ে আন্দোলন। আর বলবে রাজ্যে আইনের শাসন নেই। মানুষকে হারিয়ে ফেলেছে তারা। তাদের প্রতি এখন মানুষের আস্থা নেই। এজন্য মাঝেমধ্যে উঁকিঝুঁকি দেয় তারা। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে রাস্তায় নামে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হবে না। নির্বাচনের পরে তারা বসেই থাকে। আর বলবে এই নির্বাচন প্রহসন। এগুলি তারা করে রুটিন মাফিক। আর নির্বাচনের আগে বলবে – আর বেশিদিন নেই। আমরা সরকারে চলে আসছি।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা কী ভাবে সাধারণ মানুষের জন্য বেশি বেশি কাজ করা যায় সে নিয়ে প্রতিনিয়ত ক্যাবিনেট বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকি। মানুষকে কী ভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া যায় সে নিয়ে আমরা কাজ করি। মন্ডলের পক্ষ থেকেও বিভিন্ন সময়ে রক্তদান, বস্ত্রদান, স্বচ্ছ ভারত অভিযান প্রতিনিয়ত করা হয়। আমরা প্রতিটি বাড়িতে প্রতি ঘরে সুশাসন পৌঁছে দিই। মানুষের সুখ দুঃখে পাশে থাকার চেষ্টা করি। আর কিছু রাজনৈতিক দল আছে যারা খুন, সন্ত্রাস, অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি অপরাধে লিপ্ত থাকে। ওরা ভেবেছে মানুষ সেসব কথা ভুলে গিয়েছে।”

আরও পড়ুন- একেবারে ভর্তি? অতিরিক্ত স্টোরেজের জন্য অর্থ প্রদান ছাড়াই কীভাবে জিমেইল, গুগল ডেটা সাফ করবেন?

মানিকের দাবি, “ওদের সময়ে কত লোক খুন হয়েছে। নিজেদের ব্যর্থতা ভুলে গিয়ে ওরা একটা আঙুল এই সরকার আর পার্টির দিকে দেখায়। কিন্তু ওরা জানে না চারটা আঙুল তাদের দিকে থাকে। মানুষ সবই বুঝেন। যেভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন এবং ডাবল ইঞ্জিনের সরকারের যে সুবিধা আমরা পাচ্ছি তাতে মানুষ খুশি।”

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমরা সত্যি মানুষের পাশে থাকতে চাই। এবার যেভাবে অবিরাম বৃষ্টিপাত হয়েছে, চারিদিকে বন্যা পরিস্থিতি, তিনদিনের মধ্যে যে বৃষ্টি হয়েছে যা আগে ত্রিপুরার ইতিহাসে হয়নি।

আরও পড়ুন- আবার ঝেঁপে বৃষ্টি উত্তর থেকে দক্ষিণ! কমলা সতর্কতা জারি ৫ জেলায়!

তাঁর কথায়, “সেই পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমাদের সরকার সহ দলের কার্যকর্তা সহ সকলে মাঠে নেমে গেছেন। অথচ তখন তাদের টিকির নাগালও পাওয়া যায় নি। আর যখন পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে তখন সাদা কুর্তা পরে এখানে সেখানে বেরিয়ে পড়েছেন। কোন জায়গায় যাওয়ার সময় মানুষ নাকি তাদের আটকে দেয়। তখন তারা পুলিশকে ফোন করেন, আমাকে ফোন করেন। আমি যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিই।

কিন্তু এরপরও তারা বলে এখানে গণতন্ত্র নেই। অথচ তাদের সময়ে গণতন্ত্র কোথায় ছিল সেটা কয়েকদিন পর সবাই জেনে যাবেন। যখন তাদের পুরো ইতিহাস সামনে আসবে। আমরা বলেছি এখানে যতগুলি খুন হয়েছে সেগুলি আইনী প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখে নতুন করে খোলা হবে।” এদিন রক্তদানের প্রাসঙ্গিকতা নিয়েও আলোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, রক্তের কোন ধর্ম বা জাত হয় না।