কেন্দুয়া গ্রামে পরিযায়ী পাখিরা

Jhargram News: ঝাড়গ্রামের এই প্রত্যন্ত গ্রামে উপচে পড়ছে পর্যটকের ভিড়, কারণ জানলে অবাক হবেন

ঝাড়গ্রাম: ছোট্ট একটি গ্রাম! দেখার মতো তেমন কিছু নেই! তবুও পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে প্রত্যন্ত গ্রামটি। কারণ? পরিযায়ী পাখিদের আগমন। প্রতিবছর পুজোর সময় পর্যটকদের ঢল নামে অরণ্যসুন্দরী ঝাড়গ্রামের লাল মাটি ও শাল জঙ্গলের ঘ্রাণ নেওয়ার জন্য। ঝাড়গ্রামে বেড়াতে আসা পর্যটকেরা একবার হলেও ছুটে যান এই গ্রামে। সুদূর সাইবেরিয়া থেকে এই গ্রামে ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে আসে পরিযায়ী পাখিরা। এখানেই ডিম পাড়ে। বাচ্চা উড়তে শিখলে তাদের নিয়ে ফিরে যায় সাইবেরিয়ায়।

ঝাড়গ্রাম জেলার জামবনি ব্লকের কেন্দুয়া গ্রামের নির্দিষ্ট কয়েকটি তেঁতুল গাছে সুদূর সাইবেরিয়া থেকে পরিযায়ী পাখিরা এসে বাসা বাঁধে। সারাদিন ধরে তাদের কলরবে মেতে থাকে কেন্দুয়া গ্রাম। ঝাড়গ্রাম থেকে চিল্কিগড়ের কণক দুর্গা মন্দির যাওয়ার সময় কেন্দুয়া গ্রামের উপর দিয়েই যেতে হয়। আর কেন্দুয়া গ্রামে পৌঁছলেই দেখতে পাবেন পরিযায়ী পাখিদের… ঝাঁকে ঝাঁকে পাকীদের দল…কেউ খাবার নিয়ে ফিরছে বাসায়, কেউ আবার খাবারের সন্ধানে বেরিয়ে যাচ্ছে।

কেন্দুয়া গ্রামে পৌঁছলেই দেখতে পাওয়া যায় প্রশাসনের উদ্যোগে দেওয়া রয়েছে সাইনবোর্ড । উদ্দেশ্য একটাই, পর্যটকদের পরিযায়ী পাখিদের সম্পর্কে অবগত করা। প্রতিবছর মে মাসে পরিযায়ী পাখিরা কেন্দুয়া গ্রামে পৌঁছায়। পরিযায়ী পাখিরা এলেই গ্রামবাসীরা বুঝা যায়, বর্ষা চলে এসেছে। তারপরেই তেঁতুল গাছের উপর বাসা তৈরি ,বাসায় ডিম পাড়া, ডিম থেকে বাচ্চা ফুটে বাচ্চাগুলি উড়তে শিখলেই নভেম্বরের মাসের শেষের দিকে কেন্দুয়া ছেড়ে নিজেদের ঠিকানায় ফিরে যায় পরিযায়ী পাখিরা।

স্থানীয় গ্রামবাসী প্রাক্তন বন কর্মী বিধান মাহাতো বলেন, ” বহুদিন ধরেই কেন্দুয়া গ্রামের এই তেঁতুল গাছে পরিযায়ী পাখিরা আসছে। আমরা এই পরিযায়ী পাখিগুলিকে কেন্দুয়ার বক বলেও ডাকি। এদের দেখলেই আমরা বুঝে যাই বর্ষা চলে এসছে, এবার শুরু হবে চাষের কাজ। পাখিগুলো এখানকার তেঁতুল গাছেই বাসা বাঁধে। অন্য কোন-ও গাছে নয়। ডিম পাড়ে, বাচ্চা হয়। বাচ্চা উড়তে শিখলে পাখিরা আবার ফিরে যায়। একসময় রাতের অন্ধকারে পরিযায়ী পাখি চুরি হচ্ছিল । বনদফতরের পক্ষ থেকে পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছিল”।

বুদ্ধদেব বেরা