চারিদিকে সাজো সাজো রব। আর বাঙালির সবথেকে বড় উৎসবের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি তুঙ্গে। আর পুজোর কটা দিন কেটে যায় হইহুল্লোড়েই। সেই সঙ্গে চলে কবজি ডুবিয়ে ভূরিভোজও। আর এই সময় শহরের বিভিন্ন কাফে এবং রেস্তোরাঁয় হয়েছে এলাহি আয়োজন। আর এই শারদোৎসব উপলক্ষে দারুণ এক আয়োজন হয়েছেন Serra Café-তে। আর এই কাফের শারদীয়া সেরা আড্ডা (Sarodiya Serra Adda)-য় অতিথিরা উপভোগ করতে পারবেন ঐতিহ্যবাহী এবং আধুনিক স্বাদের মেলবন্ধন। সেই সঙ্গে কাঁচ ঢাকা রুফটপ থেকে আকাশে মেঘের খেলাও চাক্ষুষ করার সুযোগ পাবেন তাঁরা। কী কী থাকছে তাঁদের মেন্যুতে, সেটাই একবার দেখে নেওয়া যাক।
পুজোর আড্ডায় খানার সঙ্গে পিনা না হলে কি আর চলে! আর তার জন্যই রয়েছে এখানকার সিগনেচার ডাবের মোহিতো। ডাবের জল আর পুদিনার অসাধারণ এক ব্লেন্ড। ফলে এই পানীয়ের গ্লাসে চুমুক দিয়েই শুরু করা যাবে শারদীয়ার আড্ডা। এরপরেই রয়েছে ফার্স্ট কোর্স ‘প্রথম পাতে’। সেখানে থাকবে পনির স্যালাড আর সঙ্গে কাঁচা লঙ্কা ও গন্ধরাজ লেবু। এর পাশাপাশি রয়েছে কাঁচ মরিচ দিয়ে মুরগির স্যালাড।
নিরামিষভোজীদেরও চিন্তা নেই! নিরামিষ স্ন্যাক্সেরও ঢালাও আয়োজন থাকবে। এর মধ্যে অন্যতম হল স্টিকি কফি পনির, রোজমেরি ম্যারিনেটেড বেবি তন্দুরি আলু। আর অন্যদিকে আমিষ স্ন্যাক্সের মধ্যে থাকতে চলেছে অরেঞ্জ বেসিল চিকেন কাবাবস এবং হানি চিলি গন্ধরাজ লেমন ফিশ। এবার মেন কোর্সের দিকে এগোনো যাক। মেন কোর্স অর্থাৎ ‘নিরামিষ ভূরিভোজ’-এ রয়েছে ঐতিহ্যবাহী সমস্ত পদের খাবার। এর মধ্যে অন্যতম হল ডাব মালাই পনির, বেগুন বাসন্তী, নারকেল দিয়ে ছোলার ডাল। আবার ‘আমিষ ভূরিভোজ’-এ রয়েছে ঢাকাই মাটন তেহারি এবং ধনেপাতা কাঁচা লঙ্কা পাবদা। আর মেন কোর্সকে সম্পূর্ণ করছে ঠাকুর বাড়ির পোলাও।
এবার শেষ পাতে মিষ্টির পালা! ‘মিষ্টির মেলবন্ধন’-এ রয়েছে আমের চাটনি, পাঁপড় ভাজা, বেকড ল্যাংচা, সীতাভোগ এবং গুড়ের পায়েস। আর সব শেষে অতিথিরা গলা ঠান্ডা করতে পারবেন ম্যাঙ্গো আইসক্রিমে। Serra Café-র মালিক কমলিনী পাল বলেন যে, “দুর্গাপুজো হল আনন্দ এবং উদযাপনের সময়। আর এটা তখনই জীবন্ত হয়ে ওঠে, যখন আমরা বাঙালি সংস্কৃতির ঐতিহ্যের মাঝে আধুনিকতার ছোঁয়া যোগ করি। Serra Café-তে আমাদের প্রথম দুর্গাপুজো উদযাপনের জন্য বাঙালিয়ানার মেলবন্ধনে Sarodiya Serra Adda-র আয়োজন করতে পেরে আমরা উচ্ছ্বসিত।”
এই প্রসঙ্গে প্রাক্তন হিডকো চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন আবার বলেন, “সেক্টর ফাইভ আসলে অফিস পাড়া। আর এই চত্বরে রেস্তোরাঁ খুলতে অনেক সাহস লাগে। আসলে এখানে পানশালার পাশাপাশি রয়েছে মুঘলাই, কন্টিনেন্টাল রেস্তোরাঁ। আর সেখানে বাঙালিয়ানায় মোড়া এক রেস্তোরাঁ খোলার আইডিয়া ভীষণই উদ্ভাবনী।” এদিকে নেপালের কনস্যুলেটের ডেপুটি কনসাল জনক রাজ ভাট্টা বলেন যে, “এখানে আসা এবং বাংলার ঐতিহ্যের অংশ হওয়াটা একটা সৌভাগ্যের ব্যাপার। বাঙালি খাবারের স্বাদ এবং এর রন্ধনপ্রণালী অত্যন্ত সমৃদ্ধ। আর এটা ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি উদযাপনের সময়।”
Post navigation
Just another WordPress site