Tag Archives: puja recipes 2024
Durga Puja Recipe: পুজোর ঘরোয়া আড্ডায় চপ-চাউমিন নয়, বানিয়ে নিন চিকেন ডায়নামাইট, রইল রেসিপি
শিলিগুড়ি: পুজোর সময় বাড়িতে ঘরোয়া আড্ডায় চপ-চাউমিন নয়, বানিয়ে ফেলুন এক্কেবারে নতুন স্বাদের চিকেন ডায়নামাইট। কীভাবে বানাবেন? রইল রেসিপি।
ক্লাউড কিচেন সেফ মিলি রায় বলেন, খুব সহজে এবং খুব সামান্য উপকরণ দিয়ে বানানো যায় চিকেনের এই পদটি। চিকেন ডায়ানামাইট বানাতে লাগবে বোনলেস চিকেন, গোলমরিচগুঁড়ো, লঙ্কাগুঁড়ো ডিম, নুন, হলুদ, আদা- রসুনবাটা, অল্প সোয়া সস।
কীভাবে বানাবেন? প্রথমে চিকেন ভাল করে ধুয়ে একটি পাত্রে রেখে, সমস্ত উপকরণ দিয়ে ভালো করে ম্যারিনেট করে রাখুন। সস তৈরি করতে লাগবে টম্যাটো সস, চিলি সস, চিলি ফ্লেক্স আর অল্প মেয়োনিজ। সমস্ত উপকরণ একটি বাটিতে মিশিয়ে সস তৈরি করে নিন।
এরপর ম্যারিনেট করা মাংস অল্প কর্নফ্লাওয়ার এবং আটা দিয়ে ভাল করে মেখে নিন। কড়াইয়ে তেল গরম করে মাংসের টুকরো লাল করে ভেজে নিন। এবার ভাজা চিকেনের গায়ে সস মাখিয়ে নিন কিংবা সস ডিপ করে খেলেও মন্দ লাগবে না।
অনির্বাণ রায়
Puja Special Recipe: অষ্টমীর দুপুর মানেই ভোগের খিচুড়ি, বাড়িতে বানানো খিচুড়িতে কীভাবে সেই স্বাদ আনবেন? রইল রেসিপি
কলকাতা: অষ্টমীর দুপুর মানেই খিচুড়ি। এমনিতে দু’ফোঁটা বৃষ্টি পড়লেই বাঙালির মন খিচুড়ি-খিচুড়ি করে! কিন্তু পুজোর খিচুড়ি বা ভোগের খিচুড়ির স্বাদ-ই আলাদা। অনেকেই আফসোস করেন, বাড়িতে বানানো খিচুড়ির স্বাদ কিছুতেই ভোগের খিচুড়ির মত হয় না। অথচ বাড়িতে খুব সহজেই বানানো যায় ভোগের স্বাদের খিচুড়ি। কীভাবে বানাবেন? রইল রেসিপি।
ভোগের খিচুড়ি বানাতে লাগবে– ৫০০ গ্রাম গোবিন্দভোগ চাল, ৫০০ গ্রাম মুগ ডাল, কয়েকটা তেজপাতা, ২টো আলু, ১ চামচ পাঁচফোড়ন, ১৫০ গ্রাম মটরশুঁটি, ৩-৪টি ছোট এলাচ, পরিমাণমতো দারচিনি, ২ চা চামচ আদাবাটা, ১ চা চামচ হলুদগুঁড়ো, স্বাদ অনুযায়ী নুন, কাঁচালঙ্কা, ভাজার জন্য তেল, ২ টেবিল চামচ ঘি।
প্রথমে চাল এবং ডাল ধুয়ে শুকিয়ে রাখুন। আলু, ফুলকপি কেটে নিন। কড়াইতে তেল গরম করে আলু, ফুলকপি, ও মটরশুঁটি অল্প আঁচে ভেজে তুলে রাখুন। তারপর মুগ ডাল ভেজে সেদ্ধ করে নিন। এবার কড়াইতে সামান্য ঘি দিয়ে গোটা গরম মশলা, শুকনো লঙ্কা এবং তেজপাতা ফোড়ন দিন। ভাল গন্ধ বার হলে চাল দিয়ে নাড়তে থাকুন। আদাবাটা আর হলুদ মেশান। এরপর সেদ্ধ ডাল দিয়ে নাড়তে থাকুন। প্রয়োজন মতো জল দিয়ে অল্প ফুটে উঠলে স্বাদ মতো নুন দিয়ে অল্প আঁচে ঢেকে রাখুন। চাল আর ডাল সেদ্ধ হয়ে গেলে ভাজা আলু, ফুলকপি আর মটরশুঁটি দিন। আরও কিছুক্ষণ অল্প আঁচে রেখে দিয়ে নামিয়ে নিন। উপর থেকে ঘি ছড়িয়ে দিন। তৈরি ভোগের খিচুড়ি।
Mocha Jhal Mashla: ছাড়াতে সমস্যা? আস্ত মোচা দিয়েই রাঁধুন এই সুস্বাদু পদ! টেক্কা দেবে সব রান্নাকে…
হাওড়া: ছাড়ানোর ঝামেলা ছাড়া, আস্ত মোচার সুস্বাদু রেসিপি! মোচা বলতেই নিরামিষ পদ এমনটাই ধারণা বহু মানুষের, কিন্তু মোচার এই রেসিপি মাছ বা মাংসের পদের থেকে কোনও অংশে কম নয়। মোচার চপ ডালনা তরকারি ঘন্টা বেশি পরিচিত।
মোচা আরও একটু অন্যভাবে তেল মসলা দিয়ে রান্না করা, যা আমিষ পছন্দকারী মানুষের জন্য একেবারে উপযুক্ত হতে পারে। মোচার একঘেঁয়েমি খাবারে ছেড়ে। আরও আকর্ষণীয় খাবার বানাতে রইল সহজ রেসিপি। গ্রামাঞ্চলের মানুষের হেঁসেলে অতি সহায়ক সবজির তালিকায় মোচা। টাটকা তাজা মোচা গ্রাম বাংলায় গাছে গাছে দেখা যায়। শহরের বাজার অঞ্চলেও এই মোচার চাহিদা বেশ।
আরও পড়ুন- টাক মাথাতেও উপচে পড়বে কালো চুল! তেলের বদলে মাখুন বিরিয়ানির এই জিনিস…
মোচার উপকারিতা সম্পর্কে কম বেশি প্রায় সমস্ত মানুষের জানা। সেই দিক থেকে মোচার চাহিদা দারুন এই বাজারে। মোচার ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে বহু পদ। মোচার সহজ রেসিপি জানা থাকলেতো আর কথা নেই।
‘মোচার ঝাল মসলা’ বলা যেতে পারে মাছ মাংস বা ডিমের মত আমিষ পদকে পাল্লা দেবে। ঝাল ঝাল মোচার এই পদ গরম ভাত অন্যরকম এর স্বাদ।
এই সহজ উপকরণ তৈরিতে প্রয়োজন, মোচার কচি অংশ, পেঁয়াজ, সাদা তেল বা সরষের তেল, আদা রসুন, পোস্ত, সাদা সরষে, লঙ্কা হলুদ গুঁড়ো মসলা এবং সামান্য ঘি। নিরামিষ এই রেসিপি বানাতে চাইলে পেঁয়াজ ছাড়া রান্না করতে পারেন।
প্রথমে মোচার বাইরের খোলস এবং পাকা রেসের ফুল বাদ দিয়ে। মোচার সাদা অংশ ধুয়ে কেটে নিতে হবে। কেটে নেওয়া মোচা সুতো দিয়ে বেঁধে নিতে হবে, যাতে কোনও ভাবে খুলে না যায়। লবণ হলুদ জলে ভাপিয়ে নিতে হবে মোচা। অন্যদিকে পেঁয়াজ ছোট ছোট করে কুচি করে, সরষে ও পোস্ত বেটে নেওয়া। এবার পাত্রে তেল দিয়ে মোচা ভেজে নিন।
আরও পড়ুন- মহাকাশে আটকে! কেমন কাটছে সুনীতার? সঙ্গী বুচ ভোট দিতে চান space থেকেই!
মোচা তুলে রেখে পেঁয়াজ আদা রসুন প্রয়োজনমত দিয়ে মসলা কষিয়ে। মসলায় প্রয়োজনমত জল দিয়ে ভাজা মোচা ছেড়ে দিন। এবার কিছুক্ষণ পর বাটা সরষে ও তারপর পোস্ত দিন। নামানোর আগে, উপর থেকে ঘি ছড়িয়ে নামিয়ে নিন। এভাবেই সহজে তৈরি মোচার ঝাল মসলা। এই ঝাল মসলা দিয়েই নিমেষে এক থালা গরম ভাত সাফ।
রাকেশ মাইতি
Durga Puja Recipe 2024: তালের রসে এলাচ, চালের গুঁড়ো মিশিয়ে পাক, ভিতরে নারকেলের পুর ভরে বানান লোভনীয় মিষ্টি, রইল সহজ রেসিপি
রাকেশ মাইতি, হাওড়া: তালের জনপ্রিয় রেসিপি! গ্রাম বাংলার মানুষের অতি পরিচিত। ছোট বড় সকলের পছন্দের এই পদ। এই পদ হার মানাবে তালের রুটি পরোটা ফুলুরি বা তাল পুলির মত সকল পদকে। তালের এই রেসিপি মনে করিয়ে দেয় শীতের দিনের পিঠেপুলি উৎসবের কথা। সেকাল ও একালের মানুষের অতি পছন্দের খাবার এটি। অল্প উপকরণ এবং হাতে সামান্য সময়ে পুর ভরা তালের তেলে ভাজা এই রেসিপি তৈরি করতে পারেন। তেলে ভাজা তালের এই রেসিপি দশ গোল দেবে তালের ফুলুরিকেও। সেকাল থেকে একালের মানুষের পছন্দের ‘তালের পুরভাজা’। অনেকটা তালপুলির মতো দেখতে, তবে এর স্বাদ তালপুলির থেকে কয়েকগুণ বেশি। এর সহজ রেসিপি জানা থাকলে সহজেই খুশি করতে পারেন পরিবার ও আত্মীয়দের।
আরও পড়ুন : অভিষেক থেকে আরতি, রীতি মেনে ইসকনে পালিত রাধাষ্টমী! রাধারানির জন্মতিথিতে মায়াপুরে অগণিত ভক্ত সমাগম
তালের পুরভাজা তৈরিতে প্রয়োজন সামান্য কয়েকটা উপকরণ-পাকা তাল, চাল গুঁড়ো, নারকেল, গুড় অথবা চিনি ও তেল। প্রথমে তালের রস বের করে ফুটিয়ে নিতে হবে। আঁচে শুকিয়ে নেওয়া তালের আরও বেশি স্বাদ।নারকেল কুরে গরম পাত্রে দিয়ে গুড় অথবা চিনি দিন। এবার পুর সুগন্ধি করতে এলাচ দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে একটু রসালো পুর তৈরি করুন। বাকি তালের রসের সঙ্গে চালের গুঁড়ো মিশিয়ে ভাল করে মণ্ড বানিয়ে নিন। মণ্ড থেকে ছোট ছোট গুছি কেটে আঙুলের সাহায্যে পাতলা করে তার মধ্যে পুর ভরে ছাঁকা তেলে লাল করে ভেজে নিলেই তৈরি তালের পুর ভাজা।তেলে ভাজা তালের এই রেসিপি, গরম গরম এর স্বাদই আলাদা। তেলে ভাজার কারণে আকর্ষণীয় গন্ধ। তালেরপুর পুর ভাজার বাইরে শক্ত আবারণ, ভিতরে নরম রসালো পুর যা দারুণ লোভনীয়।
Sabudana Pokora: চিকেন পকোড়া ফেল, নিরামিষের দিন মুখের স্বাদ ফেরাবে ছোট দানার এই চপ!
Puja Special Recipe: বিজয়া দশমীতে পুরনো কলকাতার স্বাদ, বানিয়ে নিন নারকেলের মিষ্টি চন্দ্রকলা
কলকাতা: সপ্তদশ শতাব্দীর শেষ ভাগে বাংলায় ব্যবসা করতে এসে গঙ্গার আশপাশে থেকে যান অনেক পর্তুগিজ বণিক। এঁদের অনেকেই রান্নায় তুখড় ছিলেন। তাঁদের দেশের রান্নার কৌশল বাংলার খাবারে প্রয়োগ করে তৈরি হতে লাগল নানা নতুন পদ। এই পরীক্ষা-নিরীক্ষার-ই ফসল ছানার সন্দেশ। কলকাতায় ছানার তৈরি মিষ্টি ঢুকে পড়ে ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে। সেইসময় শহরে সচ্ছল-শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শ্রেণির জন্ম হচ্ছে। এই শ্রেণি মজল সন্দেশের প্রেমে। ধীরে ধীরে বাঙালি সংস্কৃতির এক অপরিহার্য অঙ্গ হয়ে উঠল সন্দেশ। দ্বাদশ শতাব্দী থেকে ষোড়শ শতাব্দী পর্যন্ত সাহিত্যে সন্দেশের উল্লেখ মেলে, তবে সেই সন্দেশ তৈরি হত ক্ষীর আর খোয়াক্ষীর থেকে। সঙ্গে মাঝেমধ্যেই দোসর হত নারকেল। যেমন চন্দ্রকলা।
এই মিষ্টি পুরনো কলকাতার হেঁশেল আলো করে থাকত। একবার খেলে জিভে স্বাদ লেগে থাকবে। এই মিষ্টি বানিয়ে রাখতেও পারবেন ২-৩ দিন। চন্দ্রকলা বানাতে লাগবে খোয়া ক্ষীর: ১ কাপ, এলাচ গুঁড়ো: ১/২ চা চামচ, চিনি: ১/২ কাপ, কোরানো নারকেল: ১ কাপ, বেকিং পাউডার: ১/২ চা চামচ, গুঁড়ো দুধ: আধ কাপ, পরিমাণ মতো ঘি বা সাদা তেল, কাঠবাদাম-পেস্তা কুচি: ৩ টেবিল চামচ
ময়দায় ঘি, বেকিং পাউডার ও জল দিয়ে শক্ত করে মেখে নিন। একটা ভিজে কাপড় দিয়ে ঘণ্টা খানেক ঢেকে রাখুন। এবার একটা ননস্টিক প্যানে ঘি গরম করে নারকেল, বাকি খোয়া ক্ষীর, চিনি ও এলাচগুঁড়ো, কাঠবাদাম-পেস্তা কুচি দিয়ে ভাল করে পাক দিন। পুর তৈরি হয়ে গেলে ঠান্ডা করে নিন। এবার ময়দা থেকে লেচি কেটে ছোট ছোট লুচির আকারে বেলে নিন। প্রতিটা লুচিতে পরিমাণ মতো পুর ভরে অর্ধচন্দ্রাকার আকারে গড়ে নিন। ধারগুলি একটু জল হাতে আটকে নিয়ে ভিতরের দিকে মুড়িয়ে নিন। কড়াইতে তেল ও ঘি মিশিয়ে গরম করে নিন। এবার চন্দ্রকলাগুলি মাঝারি আঁচে সোনালি করে ভেজে নিন।
Puja Special Recipe: বিজয়ার পর মিষ্টিমুখ করুন বাড়িতে বানানো ভাপা সন্দেশ দিয়ে, রইল রেসিপি
কলকাতা: মিষ্টির প্রতি জাতীয় দুর্বলতা বাঙালি চরিত্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। বাঙালি কখনও ভুলতে পারে না গুড় থেকেই গৌড় দেশের নামকরণ বা একদা বিশ্বের সেরা গুড় ও চিনি বানানো হত এই বাংলাতেই। কলকাতা যেমন ‘সুইটমিট ক্যাপিটাল অফ ইন্ডিয়া’, হুগলি তেমনই ‘মিষ্টান্ন শিল্পের এথেন্স’। পুজোর সময় তো বটেই। বিজয়া দশমীর বিকেল থেকে কালীপুজোর আগের দিন পর্যন্ত বাঙালি যে কত মিষ্টি খেয়েছে, তার হিসাব বার করলে খোদ আবগারি দফতরও লজ্জা পাবে। বাঙালির বিজয়া অসম্পূর্ণ মিষ্টি ছাড়া। তবে এ’বছর আর মিষ্টির দোকানে লাইন দেবেন না, বাড়িতেই বানিয়ে নিন লোভনীয় ভাপা সন্দেশ:
যতই হাল-ফ্যাশনের ফিউশন মিষ্টি বাজারে আসুক না কেন, ভাপা সন্দেশের জনপ্রিয়তা কখনও কমে না। এই সন্দেশ বানানো হয় ছানা দিয়ে। বাংলায় ছানা আসে পর্তুগিজদের হাত ধরে। সপ্তদশ শতাব্দীর শেষ ভাগে বাংলায় ব্যবসা করতে এসে গঙ্গার আশপাশে থেকে যান অনেক পর্তুগিজ বণিক। এঁদের অনেকেই রান্নায় তুখড় ছিলেন। তাঁদের দেশের রান্নার কৌশল বাংলার খাবারে প্রয়োগ করে তৈরি হতে লাগল নানা নতুন পদ। এই পরীক্ষানিরীক্ষারই ফসল ছানার সন্দেশ। বাংলায় এখনও প্রায় হাজার রকমের সন্দেশ রয়েছে। প্রথম দিকে ছানার সন্দেশকে বলা হত ‘ফিকে সন্দেশ’। কারণ এ সন্দেশে আগের দিনের সন্দেশের চেয়ে মিষ্টি কম। গোটা বাংলা-সহ কলকাতায় ছানার তৈরি সন্দেশ-রসগোল্লা ঢুকে পড়ল অষ্টাদশ শতকের শেষভাগে বা ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে।
ভাপা সন্দেশ বানাতে লাগবে– ছানা: ৩০০ গ্রাম(ভাল করে ডলে নেওয়া), খোয়া ক্ষীর: ১০০ গ্রাম(গ্রেট করা), গুঁড়ো দুধ: ৩ টেবিল চামচ, কনডেনসড মিল্ক: ১ টিন, ছোট এলাচ গুঁড়ো: ১/২ চা চামচ, পরিমাণমতো পেস্তা কুচি
কড়াইতে কনডেনসড মিল্ক, ছানা ও খোয়া ক্ষীর একসঙ্গে মিশিয়ে হালকা আঁচে নাড়তে থাকুন। যখন দেখবেন বেশ ঘন হয়ে এসেছে, তখন গুঁড়ো দুধ ও এলাচগুঁড়ো মেশান। মিশ্রণ ভাল ভাবে টেনে আসলে সমানভাবে ছোট ছোট মাটির ভাঁড়ে ঢেলে দিন। উপর থেকে সব ক’টি ভাঁড়ের উপর পেস্তা কুচি দিন। সব শেষে ভাঁড়ের মুখগুলি অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল দিয়ে মুড়ে ১৮০ ডিগ্রিতে আভেনে বেক করুন ১৫ মিনিট। ভাপা সন্দেশ তৈরি।
Puja Special Recipe: নবমীর দুপুরে বনেদিয়ানা, বানিয়ে ফেলুন ঠাকুরবাড়ির মতো করে খাসির মাংসের ঝোল
কলকাতা: পুজোর অন্যান্য দিন চাইনিজ-জাপানিজ যাই খান না কেন, নবমীতে বাঙালির খাসির মাংস চাই-ই চাই। গরম ভাতে খাসির মাংসের ঝোল…আহা, একেই বোধহয় বলে স্বর্গসুখ। স্বাদবদল করতে এ’বছর পুজোয় মাংস রাঁধুন ঠাকুরবাড়ির মতো করে। রইল রেসিপি।
ঠাকুরবাড়ির খাসির মাংস রাঁধতে লাগবে খাসির মাংস: ১ কেজি, পেঁয়াজ বাটা: আধ কাপ, রসুন বাটা: ৪ টেবিল চামচ,আদা বাটা: ১ টেবিল চামচ, গোটা গরম মশলা: ১ টেবিল চামচ, শাহ জিরে বাটা: ১ চা চামচ, পোস্ত বাটা: ৪ টেবিল চামচ,নুন: স্বাদ অনুযায়ী, সর্ষের তেল: ৪ টেবিল চামচ
খাসির মাংস হালকা গরম জলে ধুয়ে নিন। জল ঝরানো মাংসে পেঁয়াজ এবং আদা-রসুন বাটা দিয়ে ঘণ্টাখানেক ম্যারিনেট করে রাখুন। কড়াইতে তেল গরম করে গোটা গরম মশলা ফোড়ন দিন। শাহ জিরে এবং পোস্ত বাটা দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে মাংস দিয়ে দিন। ভাল করে কষিয়ে নুন দিন। মাংস থেকে তেল ছেড়ে এলে সামান্য জল দিন। মাংস সেদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত রান্না করুন। ঝোল ঘন হয়ে এলে নামিয়ে নিন।
Mochar Ghanta Recipe: সামান্য গোবিন্দভোগ চাল দিয়ে অপূর্ব মোচার ঘণ্ট! সহজ রেসিপিতে বানিয়ে বাহবা পান নিমেষে
সুস্মিতা গোস্বামী, দক্ষিণ দিনাজপুর : বাড়িতে নিরামিষ রান্না হলেই ঝক্কি পোহাতে হয় গৃহকর্ত্রীকে। নিরামিষ অথচ সুস্বাদু রান্না মুখে তুলে দিতে হবে সকলের। কিন্তু নিরামিষ কী রান্না করা যায়, তা নিয়ে বেশ মাথা খাটাতে হয়। তাই আর কোনও চিন্তা নেই। এ বার নিরামিষের দিন মোচা ও গোবিন্দভোগ চাল দিয়ে তৈরি একটা দুর্দান্ত রেসিপি রান্না করে খাওয়ান পরিবারের লোকদের। দেখুন তো খাবারের প্লেট সাফ হয়ে যায় কী না! তাহলে আর দেরি কীসের, এখনই বানিয়ে ফেলুন গোবিন্দভোগ চাল দিয়ে মোচার ঘণ্ট।
প্রথমেই গ্যাসে পাত্র বসিয়ে তাতে সরষের তেল গরম করে ফোড়ন হিসেবে সামান্য গোটা জিরে ও একটি তেজপাতা দিয়ে হালকা নেড়ে নিতে হবে। এরপর তাতে টুকরো করে কেটে রাখা আলু দিয়ে উপর থেকে সামান্য নুন, হলুদ দিয়ে ভেজে নিতে হবে। এ বার আগে থেকে জল ঝরানো গোবিন্দভোগ চাল দিয়ে ভালভাবে নেড়ে চেড়ে ভেজে নিতে হবে। এরপর তাতে একে একে লঙ্কাগুঁড়ো, জিরেগুঁড়ো, পরিমাণমতো আদাবাটা দিয়ে একইসঙ্গে বেশ ভালভাবে মিশিয়ে নিয়ে উপর থেকে বেশ কিছুটা চিনেবাদাম দিয়ে ভালভাবে একইসঙ্গে কষিয়ে নিতে হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে গ্যাসের আঁচ যেন মিডিয়াম থাকে।
আরও পড়ুন : ব্লাডসুগার, বাড়তি ওজন দ্রুত একসঙ্গে কমাবেন? গুড়ের সঙ্গে এটা মিশিয়ে খেলেই কেল্লাফতে!
খানিক ক্ষণ পর হালকা কষে এলে এরপর তাতে আগে থেকে ভাপিয়ে নেওয়া ঝুরি করে কেটে রাখা মোচা দিয়ে বেশ ভালভাবে একইসঙ্গে সব উপকরণ আবারও কষিয়ে নিতে হবে। কষানো হয়ে গেলে উপর থেকে বেশ কিছুটা পরিমাণ জল দিয়ে ভালভাবে সেদ্ধ করে নিতে হবে। এইসময় দিয়ে দিতে হবে পরিমাণমতো চিনি। তবে মনে রাখতে হবে এই রান্নাটি একটু মিষ্টি স্বাদের হবে। হাতের সাহায্যে ভালভাবে নেড়ে চেড়ে অন্য একটি পাত্র দিয়ে পাত্রের মুখ ঢাকা দিয়ে রাখতে হবে। বেশ কিছু ক্ষণ হয়ে গেলে দেখা যাবে জল শুকিয়ে মোচার সঙ্গে সব উপকরণ ভালভাবে মিশে গিয়ে সিদ্ধ হয়ে গেছে।
সবশেষে পরিমাণ মতো ঘি ও সামান্য পরিমাণ গরমমশলাগুঁড়ো ছড়িয়ে বেশ ভালভাবে নেড়ে চেড়ে নামিয়ে নিলেই তৈরি নিরামিষ স্বাদের গোবিন্দভোগ চাল দিয়ে মোচার ঘন্ট। অতিথি আপ্যায়ন হোক বা বাড়ির রান্না, গরমা গরম ভাতের সঙ্গে চাল দিয়ে মোচার ঘন্ট জাস্ট জমে যাবে। মন কাড়বে ছোট থেকে বড় সকলের।