বেইরুট: এবার স্থলপথে আক্রমণ শুরু করল ইজরায়েল। দক্ষিণ লেবাননের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে লুকিয়ে রয়েছে হিজবুল্লাহর সদস্যরা। এমনই খবর রয়েছে ইজরায়েলি সেনার কাছে। গত কয়েকদিন ধরে তাই ট্যাঙ্ক মোতায়েন করা হচ্ছিল। এবার শুরু হল আক্রমণ।
বিবৃতিতে ইজরায়েলি সেনা বলেছে, “স্থল অভিযান শুরু হল। আইডিএফ সীমান্তের গ্রামগুলিতে বেছে বেছে হিজবুল্লাহকেই আক্রমণ করছে।’’ স্থলপথে আক্রমণ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জেরুজালেম পোস্ট-ও। তারা লিখেছে, “জেনারেল স্টাফ এবং নর্দান কমান্ড অনেক আগে থেকেই এর প্রস্তুতি নিচ্ছিল। গত কয়েক মাসে এর জন্য সেনাকে বিশেষ প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে।’’
শুক্রবার বেইরুটে ইজরায়েলি এয়ার স্ট্রাইক হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহর মৃত্যু হয়। তারপর থেকে গত তিন দিনে হামলার তীব্রতা আরও বাড়িয়েছে আইডিএফ। লেবাননের এক নিরাপত্তা কর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, হিজবুল্লাহর ঘাঁটিগুলো থেকে সাধারণ বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়ার পরই দক্ষিণ বেইরুটে পরপর ৬টি হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল।
সম্প্রতি রাষ্ট্রসঙ্ঘে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছিলেন, হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক লড়াই লড়বে ইজরায়েল। মঙ্গলবার ইজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের মুখেও শোনা গেল সেই সুর।
তিনি বলেন, “বেইরুটে ব্যাপক হামলায় হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসারুল্লাহর মৃত্যু হয়েছে বটে, কিন্তু যুদ্ধ এখনও শেষ হয়নি। এদিকে তাল ঠুকছে হিজবুল্লাহ-ও। নাসারুল্লাহর মৃত্যুর পর জঙ্গি গোষ্ঠীর ডেপুটি লিডার নাইম কাসেম তাঁর প্রথম টেলিভিশন ভাষণে বলেছেন, ইজরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে তারা প্রস্তুত। শুধু তাই নয়, লেবানন সীমান্তের কাছে ইজরায়েলি ট্রুপের উপর হামলা চালানোর দাবিও করেছেন তিনি।
মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতের শুরু থেকেই ইজরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছে আমেরিকা। কিন্তু স্থল অভিযানের বিরোধিতা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেন, “এখন যুদ্ধ থামানো উচিত।“ তবে ইজরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর সঙ্গে একটি বৈঠকও করেন মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড জে অস্টিন। তিনি বলেছেন, “হিজবুল্লাহ যাতে ৭ অক্টোবরের মতো হামলা চালাতে না পারে তা নিশ্চিত করতে হবে। ইজরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে।’’