Tag Archives: Iran-Israel War

Iran Israel Clash: ইরানের আক্রমণ, ইজরায়েলের ‘ম্যাজিক অস্ত্র’, ভিডিও দেখলে চমকে উঠবেন

তেহেরান: সম্প্রতি ইজরায়েলের উপর ড্রোন হামলা চালায় ইরান। সঙ্গে সঙ্গে সতর্কবার্তা জারি করে নেতানিয়াহু সরকার। বিস্ফোরণের শব্দ পেলেই বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিতে বলা হয়। তবে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ৯৯ শতাংশ ড্রোন আকাশেই প্রতিহত করেছে বলে দাবি ইজরায়েলের। সেই ছবিও সামনে এনেছে তারা।

বিবিসি একটি প্রতিবেদনে জানিয়েছে, শুধু ইরান নয়, ইজরায়েলের উপর হামলায় যোগ দিয়েছে ইরানের মিত্র দেশগুলিও। শনিবার রাতে ইরাক, সিরিয়া এবং ইয়েমেন থেকেও হামলা চালানো হয়েছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং ফ্রান্সের পাশাপাশি জর্ডন তাদের বাধা দেয়।

আইডিএফের মুখপাত্র জানিয়েছেন, ৩০০-র বেশি লঞ্চ করা হয়েছিল। তবে ৯৯ শতাংশ হামলাই রুখে দেওয়া হয়েছে। ড্যানিয়েল হাগারি বলেন, “ইরান ১৭০টি ড্রোন, ৩০টির বেশি ক্রুজ মিসাইল এবং ১২০টির বেশি ব্যালেস্টিক মিসাইল ছোঁড়ে। এর মধ্যে কয়েকটি ব্যালেস্টিক মিসাইলই ইজরায়েলের মূল ভূখণ্ডে পৌঁছতে পেরেছে। যার ফলে একটি বিমান ঘাঁটির সামান্য ক্ষতি হয়েছে”।

আরও পড়ুন: দিঘার সমুদ্রে ভয়ঙ্কর বিপদে চার পর্যটক! সব শেষ হওয়ার আগে কোনওক্রমে রক্ষা, ভয়াবহ ঘটনা

উদ্ধারকারী দলের তরফে জানানো হয়েছে, মিসাইল হামলায় দক্ষিণ ইজরায়েলের ৭ বছর বয়সী একটি মেয়ে গুরুতর জখম হয়েছে। যদিও আঘাত লাগার কারণ তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। ইজরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে একটি ভিডিও পোস্ট করে লিখেছে, “৯৯ শতাংশ ড্রোন হামলা প্রতিহত করলে এমন দেখায়। এরিয়াল ডিফেন্স সিস্টেম থেকে ইজরায়েলের আকাশ সীমা রক্ষা করার অপারেশনাল ফুটেজ”।

আইডিএফ আরও একটি ভিডিও পোস্ট করেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, ইজরায়েলি মিলিটারি ডিফেন্স সিস্টেম দক্ষিণ পূর্ব দিক থেকে উড়ে আসা এরিয়াল ভেহিক্যাল নামাতে এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয়বার সি-ডোম ব্যবহার করছে। তবে কারা এই হামলা চালিয়েছে তা স্পষ্ট করেনি আইডিএফ।

‘ইউরোপিয়ান কনজারভেটিভ’-এর সাংবাদিক ডেভিড আথারটন বলেন, ইজরায়েল ১৮৫টি কামিকাজে ড্রোন, ১১০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে ১০৩টি এবং ৩৬টি ক্রুজ মিসাইলের মধ্যে ৩৬টিই প্রতিহত করেছে। এক্স পোস্টে তিনি লিখেছেন, “ইজরায়েলের মাটিতে মাত্র ৭ ব্যালেস্টিক মিসাইল আছড়ে পড়ে”।

ইজরায়েলের সামরিক বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, মিসাইল প্রতিহত করতে তারা অ্যারো সিস্টেম ব্যবহার করেছে, যা বায়ুমণ্ডলের বাইরে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলিকে গুলি করে নামায়। পাশাপাশি উল্লেখ করেছে, “কৌশলগত অংশীদার”-রাও তাদের সাহায্য করেছে।

Iran-Israel: পাল্টা দেওয়ার সময় এসে গেল, এবার ইরানে হামলা ইজরায়েলের! নিশানায় আসলে যা, শুনেই চমকে উঠছে বিশ্ব

তেহেরান: এবার আসরে ইজরায়েল। দিন কয়েক আগেই ইরানের হামলার বিরুদ্ধে এবার পাল্টা প্রত্যাঘাত করল ইজরায়েল। জানা গিয়েছে, ইরানের একটি লক্ষ্যবস্তুতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল। মার্কিন সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজ এই তথ্য জানিয়েছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনও ইরানের ইসফাহান শহরে বিস্ফোরণের খবর দিয়েছে।

বদলা হিসেবে গত শনিবার ইজরায়েলে নজিরবিহীন ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। এই হামলার জবাব দেওয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা দিয়েছিল ইজরায়েল। যদিও পাশে থাকলেও আমেরিকা ও বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ ইজরায়েলকে পাল্টা হামলা না চালানোর জন্য আহ্বান জানিয়েছিল। কিন্তু ইজরায়েল এই আহ্বান উপেক্ষা করে স্থানীয় সময় আজ, শুক্রবার ভোরে ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল।

আরও পড়ুন: ভোট শুরুর সকালেই বড় ঘটনা! মৃত্যু কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানের! চর্চায় ‘সেই’ মাথাভাঙ্গা

জানা গিয়েছে, একটি ইজরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র শুক্রবার ভোরে ইরানের একটি টার্গেট করা স্থানে আঘাত হেনেছে বলে এবিসি নিউজ জানিয়েছে। এছাড়া সিরিয়া ও ইরাকেও হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল। ইরানি মিডিয়ার খবরে ইসফাহান বিমানবন্দরের কাছে হামলার কথা জানিয়েছে। ইরান দেশের বেশ কয়েকটি স্থানের বিমান চলাচল স্থগিত করেছে।

আরও জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ইরানে আছড়ে পড়ে বেশ কয়েকটি ইজরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র। ইরানের সংবাদ সংস্থা ‘ফার্স নিউজে’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসফাহান শহরে তীব্র বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছে। যদিও তার কারণ খোলসা করা হয়নি। বিশ্লেষকদের মতে, ইজরায়েলের হিটলিস্টে রয়েছে ইসাফাহান। কারণ, সেখানেই ইরানের বেশ কয়েকটি পরমাণু কেন্দ্র রয়েছে। তেল আভিভের দাবি, শক্তি উৎপাদনের আড়ালে ওই কেন্দ্রগুলিতে পারমানবিক বোমা বানাচ্ছে তেহরান।

উল্লেখ্য, গত ১ এপ্রিল দামাস্কাসে ইরানের দূতাবাসে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় আইডিএফ। মৃত্যু হয় ১৩ জনের। নিহতদের মধ্যে ছিলেন দুজন ইরানি সেনাকর্তাও। পালটা ১৩ এপ্রিল ইজরায়েলকে নিশানা করে ড্রোন ও ক্ষেপণান্ত্র ছুড়ে ইরানের ইসলামিক রেভলিউশনারি গার্ড কোর। এবার পাল্টা আসরে ইজরায়েল।

ইজরায়েলে ড্রোন ও মিসাইল হামলার কয়েক ঘণ্টা আগে ইরানের আকাশসীমার উপর দিয়ে উড়ে যায় এয়ার ইন্ডিয়ার ২টি বিমান !

নয়াদিল্লি: ইজরায়েলে ইরানের ড্রোন এবং মিসাইল হামলার কয়েক ঘণ্টা আগেই ইরানের আকাশসীমার উপর দিয়ে উড়ে যায় এয়ার ইন্ডিয়ার দুটি বিমান ৷ এই খবর সামনে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ৷ Flightradar24 ওয়েবসাইটের খবর অনুযায়ী গত ১৩ এবং ১৪ এপ্রিল এআই ১১৬ ও এআই ১৩১- যথাক্রমে নিউ ইয়র্ক থেকে মুম্বই এবং মুম্বই থেকে লন্ডনগামী বিমান দুটি পারস্য উপসাগর এবং ওমান উপসাগরের উপর দিয়ে উড়ে যায় ৷

আরও পড়ুন- রাজ্যে প্রথম দফার নির্বাচনে আগামিকাল ভোট দেবে জলপাইগুড়ি, একনজরে সেখানকার ভোট চিত্র 

এয়ার ইন্ডিয়ার ওই বোয়িং ৭৭৭-২০০ এবং ৭৭৭ইআর বিমানে যাত্রা করছিলেন যথাক্রমে ২৮০ এবং ৩৩০ জন যাত্রী ৷ এয়ার ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে যদিও জানানো হয়েছে, যাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়টাই বিমানসংস্থার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং সব কিছু খতিয়ে দেখেই বিমানের রুট নির্বাচন করা হয় ৷ মধ্য প্রাচ্যের বর্তমান অবস্থার দিকে সবসময়েই নজর রাখছে এয়ার ইন্ডিয়া ৷ পশ্চিমের দিকে যাত্রা করার সময় নিরাপত্তার কথাটা মাথায় রেখেই বিভিন্ন বিমানের পরিবর্তিত রুট নির্বাচন করা হয়েছে ৷

তবে শুধু এয়ার ইন্ডিয়াই নয়, মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্স, এমিরেটস এবং কাতার এয়ারওয়েজের বিমানও গত ১৩ এপ্রিল ইরানের আকাশসীমার উপর দিয়ে উড়ে যায় ৷

তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ কবে? ৫০০ বছরের পুরনো ভবিষ্যদ্বাণী, সত্যি হলে দুনিয়া শেষ!

কলকাতা: ৬ মাস ধরে হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া ইজরায়েল এখন ইরানের বিরুদ্ধেও লড়ছে। ইরানের হামলার পর থেকে ইজরায়েল প্রতিশোধের সুযোগ খুঁজছে। এমনকী শীঘ্রই প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকিও দিয়েছে তারা।

শনিবার মধ্যরাতে ইজরায়েলের উপর ইরানের হামলায় যুদ্ধের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সারা বিশ্বে ভয়ের পরিবেশ। মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের একটি নতুন ফ্রন্ট খুলতে পারে, যা ধীরে ধীরে সারা বিশ্বে ছড়াবে।

নস্ট্রাদামুসের নাম এখন অনেকেই জানেন। তাঁর করা বেশ কিছু ভবিষ্যদ্বাণী মিলে গিয়েছে ইতিমধ্যে। তাঁর এই ভবিষ্যদ্বাণীগুলি সত্যি হলে বিশ্বের অনেক দেশ ধ্বংসের মুখে দাঁড়িয়ে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। জার্মানিতে হিটলারের শাসন এবং ৯/১১-এর মতো সন্ত্রাসী হামলার বিষয়ে নস্ট্রাদামুসের ভবিষ্যদ্বাণী সত্যি বলে প্রমাণিত হয়েছে।

আরও পড়ুন- ঘুরতে থাকা পৃথিবী যদি থেমে যায়, কী হবে আন্দাজ আছে? বিজ্ঞানীরা বলছেন অদ্ভুত কথা

ষোড়শ শতাব্দীর বিখ্যাত ফরাসি জ্যোতিষী নস্ট্রাদামুস। ৫০০ বছর আগে বইয়ে লিখে অনেক ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন তিনি। তার মধ্যে অনেকগুলোই সত্যি বলে প্রমাণিত হয়েছে।

তিনি ২০২৪ সাল সম্পর্কে অনেক ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। তার মধ্যে একটি সমুদ্র যুদ্ধের পূর্বাভাস। নস্ট্রাদামুস বইটিতে লিখেছিলেন, চিন ও লোহিত সাগরে যুদ্ধের সূত্রপাত হতে পারে।

নস্ট্রাদামুস তাঁর বইতে যুদ্ধের ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধ তারই কি ইঙ্গিত! এই লড়াই কি ভবিষ্যতে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের রূপ নিতে পারে!

আরও পড়ুন- দেখতে পেলেই গুলিতে ঝাঁঝরা! বিশ্বের সবচেয়ে রহস্যময় জায়গা এটি!কী আছে, কী হয় ভিতরে?

নস্ট্রাদামুস তাঁর বইয়ে ভারত সম্পর্কেও ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন। তিনি লিখে গিয়েছেন, ভারত এমন একটি আবিষ্কার করতে পারে যা ভবিষ্যতের ঘটনা সম্পর্কে আগে থেকেই জানাতে পারবে। এর পাশাপাশি ভারতে রহস্যময় মানুষের আগমন নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণীও করেছেন নস্ট্রাদামুস।

Hezbollah Explained: হিজবুল্লাহ কারা? লেবাননের এই গোষ্ঠীই কি তবে হামাসকে মদত জোগাচ্ছে? জানুন বিশদে

প্রায় ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে গাজা যুদ্ধের সমান্তরালে লড়াই চলছে লেবাননের হিজবুল্লাহ এবং ইজরায়েলের মধ্যে। আর এই সশস্ত্র প্রতিপক্ষের মধ্যে বিস্তৃত সংঘাতের ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ ক্রমেই বাড়ছে। আর আশঙ্কার উল্লেখ করে ইজরায়েল রবিবার জানিয়েছে যে, নর্দার্ন ফ্রন্ট বরাবর এক সম্ভাব্য যুদ্ধের প্রস্তুতির পরবর্তী ধাপ সম্পন্ন করা হয়েছে। কিন্তু হিজবুল্লাহর ভূমিকাটা ঠিক কী? সেই বিষয়ে বিশদে আলোচনা করে নেওয়া যাক। Photo: AP
প্রায় ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে গাজা যুদ্ধের সমান্তরালে লড়াই চলছে লেবাননের হিজবুল্লাহ এবং ইজরায়েলের মধ্যে। আর এই সশস্ত্র প্রতিপক্ষের মধ্যে বিস্তৃত সংঘাতের ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ ক্রমেই বাড়ছে। আর আশঙ্কার উল্লেখ করে ইজরায়েল রবিবার জানিয়েছে যে, নর্দার্ন ফ্রন্ট বরাবর এক সম্ভাব্য যুদ্ধের প্রস্তুতির পরবর্তী ধাপ সম্পন্ন করা হয়েছে। কিন্তু হিজবুল্লাহর ভূমিকাটা ঠিক কী? সেই বিষয়ে বিশদে আলোচনা করে নেওয়া যাক। Photo: AP
হিজবুল্লাহর উৎপত্তি কী?- ১৯৭৫ সাল থেকে ১১৯০ সাল পর্যন্ত চলা লেবাননের গৃহযুদ্ধের সময় ইরানের রেভলিউশনারি গার্ডস ১৯৮২ সালে হিজবুল্লাহ গঠন করে। মূলত ১৯৭৯ সালের ইসলামিক রেভলিউশন ছড়িয়ে দেওয়া এবং ১৯৮২ সালে লেবাননে অনুপ্রবেশকারী ইজরায়েলি সেনাবাহিনীর সঙ্গে লড়াই করার জন্য এটা ইরানের প্রচেষ্টার অংশ। Photo: AP
হিজবুল্লাহর উৎপত্তি কী?- ১৯৭৫ সাল থেকে ১১৯০ সাল পর্যন্ত চলা লেবাননের গৃহযুদ্ধের সময় ইরানের রেভলিউশনারি গার্ডস ১৯৮২ সালে হিজবুল্লাহ গঠন করে। মূলত ১৯৭৯ সালের ইসলামিক রেভলিউশন ছড়িয়ে দেওয়া এবং ১৯৮২ সালে লেবাননে অনুপ্রবেশকারী ইজরায়েলি সেনাবাহিনীর সঙ্গে লড়াই করার জন্য এটা ইরানের প্রচেষ্টার অংশ। Photo: AP
এই গোষ্ঠী একটি ছায়া দল থেকে বড়সড় সশস্ত্র বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। লেবানন এবং তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে এদের ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-সহ ওয়েস্টার্ন গভর্নমেন্টগুলি এই গোষ্ঠীকে একটি জঙ্গিগোষ্ঠীর তকমা দিয়েছে। এখানেই শেষ নয়, সৌদি আরব-সহ সুন্নি মুসলিম গালফ আরবের দেশগুলিও হিজবুল্লাহকে জঙ্গিগোষ্ঠী বলেই মনে করে। হিজবুল্লাহ আসলে শিয়া ইসলামিস্ট গোষ্ঠী। ইরানের ইসলামিক রিপাবলিকের নীতি অনুসরণ করে তারা। Photo: AP
এই গোষ্ঠী একটি ছায়া দল থেকে বড়সড় সশস্ত্র বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। লেবানন এবং তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে এদের ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-সহ ওয়েস্টার্ন গভর্নমেন্টগুলি এই গোষ্ঠীকে একটি জঙ্গিগোষ্ঠীর তকমা দিয়েছে। এখানেই শেষ নয়, সৌদি আরব-সহ সুন্নি মুসলিম গালফ আরবের দেশগুলিও হিজবুল্লাহকে জঙ্গিগোষ্ঠী বলেই মনে করে। হিজবুল্লাহ আসলে শিয়া ইসলামিস্ট গোষ্ঠী। ইরানের ইসলামিক রিপাবলিকের নীতি অনুসরণ করে তারা। Photo: AP
হিজবুল্লাহ কীভাবে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ল?- হিজবুল্লাহ হল প্রতিরোধ অক্ষ-এর একটি শক্তিশালী অংশ। পশ্চিম এশিয়ার বিস্তীর্ণ অংশ জুড়ে ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীগুলির একটি জোট। এর মধ্যে প্যালেস্তাইনি ইসলামিস্ট আন্দোলন হামাসও অন্তর্ভুক্ত। গত বছরের ৭ অক্টোবর ইজরায়েলের উপর হামলা করে গাজা যুদ্ধের সূচনা করেছে এই হামাস। প্যালেস্তাইনিদের সঙ্গে সংহতির কথা ঘোষণা করে গত ৮ অক্টোবর ফ্রন্টিয়ার এলাকায় ইজরায়েলি ঘাঁটিগুলিতে গুলিবর্ষণ শুরু করে হিজবুল্লাহ। Photo: AP
হিজবুল্লাহ কীভাবে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ল?- হিজবুল্লাহ হল প্রতিরোধ অক্ষ-এর একটি শক্তিশালী অংশ। পশ্চিম এশিয়ার বিস্তীর্ণ অংশ জুড়ে ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীগুলির একটি জোট। এর মধ্যে প্যালেস্তাইনি ইসলামিস্ট আন্দোলন হামাসও অন্তর্ভুক্ত। গত বছরের ৭ অক্টোবর ইজরায়েলের উপর হামলা করে গাজা যুদ্ধের সূচনা করেছে এই হামাস। প্যালেস্তাইনিদের সঙ্গে সংহতির কথা ঘোষণা করে গত ৮ অক্টোবর ফ্রন্টিয়ার এলাকায় ইজরায়েলি ঘাঁটিগুলিতে গুলিবর্ষণ শুরু করে হিজবুল্লাহ। Photo: AP
এরপর থেকে প্রায় প্রতিদিনই গুলিবর্ষণ চলতে থাকে। এর পাশাপাশি হিজবুল্লাহ রকেট এবং ড্রোন উৎক্ষেপণ করছে। আবার অন্যদিকে ইজরায়েলও বিমান হামলার পাশাপাশি গোলাবর্ষণ করে চলেছে। সাম্প্রতিক কয়েক সপ্তাহে দুই পক্ষই এই হামলা আরও বাড়িয়েছে। গত ৭ অক্টোবর থেকে এখনও পর্যন্ত লেবাননে ইজরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছে প্রায় ২৪০ হিজবুল্লাহ জঙ্গি। এর পাশাপাশি সিরিয়ায় ইজরায়েলি বিমান হামলায় আরও ৩০ জন প্রাণ হারিয়েছে। Photo: AP

এরপর থেকে প্রায় প্রতিদিনই গুলিবর্ষণ চলতে থাকে। এর পাশাপাশি হিজবুল্লাহ রকেট এবং ড্রোন উৎক্ষেপণ করছে। আবার অন্যদিকে ইজরায়েলও বিমান হামলার পাশাপাশি গোলাবর্ষণ করে চলেছে। সাম্প্রতিক কয়েক সপ্তাহে দুই পক্ষই এই হামলা আরও বাড়িয়েছে। গত ৭ অক্টোবর থেকে এখনও পর্যন্ত লেবাননে ইজরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছে প্রায় ২৪০ হিজবুল্লাহ জঙ্গি। এর পাশাপাশি সিরিয়ায় ইজরায়েলি বিমান হামলায় আরও ৩০ জন প্রাণ হারিয়েছে। Photo: AP
রাষ্ট্রপুঞ্জের গত ৩ এপ্রিলের হিসাব অনুযায়ী, লেবাননে প্রায় ৬৬ জন নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন। আবার লেবাননের হামলায় নাগরিক এবং সেনা-সহ প্রাণ গিয়েছে প্রায় ১৮ জন ইজরায়েলির। এখানেই শেষ নয়, ইজরায়েল এবং লেবাননে আজ গৃহহারা প্রায় দশ হাজারেরও বেশি মানুষ। Photo: AP
রাষ্ট্রপুঞ্জের গত ৩ এপ্রিলের হিসাব অনুযায়ী, লেবাননে প্রায় ৬৬ জন নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন। আবার লেবাননের হামলায় নাগরিক এবং সেনা-সহ প্রাণ গিয়েছে প্রায় ১৮ জন ইজরায়েলির। এখানেই শেষ নয়, ইজরায়েল এবং লেবাননে আজ গৃহহারা প্রায় দশ হাজারেরও বেশি মানুষ। Photo: AP
হিজবুল্লাহ কতটা শক্তিশালী?- লেবাননের গৃহযুদ্ধের পর অন্যান্য গোষ্ঠী নিরস্ত্র হয়ে গেলেও হিজবুল্লাহ ইজরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য তাদের অস্ত্র রেখেছিল। দেশের দক্ষিণে প্রধানত শিয়া মুসলিম অধ্যুষিত অংশ দখল করে রেখেছিল। বছরের পর বছর ধরে চলা গেরিলা যুদ্ধের কারণে ২০০০ সালে প্রত্যাহার করে ইজরায়েল। Photo: AP
হিজবুল্লাহ কতটা শক্তিশালী?- লেবাননের গৃহযুদ্ধের পর অন্যান্য গোষ্ঠী নিরস্ত্র হয়ে গেলেও হিজবুল্লাহ ইজরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য তাদের অস্ত্র রেখেছিল। দেশের দক্ষিণে প্রধানত শিয়া মুসলিম অধ্যুষিত অংশ দখল করে রেখেছিল। বছরের পর বছর ধরে চলা গেরিলা যুদ্ধের কারণে ২০০০ সালে প্রত্যাহার করে ইজরায়েল। Photo: AP
২০০৬ সালে হিজবুল্লাহ ইজরায়েলের সঙ্গে পাঁচ সপ্তাহ ধরে চলা যুদ্ধে সামরিক অগ্রগতি প্রদর্শন করে। যা ইজরায়েলে প্রবেশ করার পরে তা আরও ঘনীভূত হয়। দুই সেনাকে অপহরণ করে এবং অন্যদের হত্যা করে। সংঘাতের সময় হিজবুল্লাহ ইজরায়েলে হাজার হাজার রকেট উৎক্ষেপণ করে। যেখানে লেবাননে প্রায় ১২০০ মানুষ নিহত হন। এঁদের মধ্যে বেশিরভাগই নাগরিক। আর অন্যদিকে ১৫৮ জন ইজরায়েলিও প্রাণ হারিয়েছেন। যাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই সেনা। Photo: AP
২০০৬ সালে হিজবুল্লাহ ইজরায়েলের সঙ্গে পাঁচ সপ্তাহ ধরে চলা যুদ্ধে সামরিক অগ্রগতি প্রদর্শন করে। যা ইজরায়েলে প্রবেশ করার পরে তা আরও ঘনীভূত হয়। দুই সেনাকে অপহরণ করে এবং অন্যদের হত্যা করে। সংঘাতের সময় হিজবুল্লাহ ইজরায়েলে হাজার হাজার রকেট উৎক্ষেপণ করে। যেখানে লেবাননে প্রায় ১২০০ মানুষ নিহত হন। এঁদের মধ্যে বেশিরভাগই নাগরিক। আর অন্যদিকে ১৫৮ জন ইজরায়েলিও প্রাণ হারিয়েছেন। যাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই সেনা। Photo: AP
হিজবুল্লাহর সেনাশক্তি ২০০৬ সালের পর আরও উন্নত হয়। ওই গোষ্ঠীর বক্তব্য, তাদের রকেট ইজরায়েলের সমস্ত অংশেই হামলা করবে। গাজা যুদ্ধের সময় সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল ব্যবহার করে হামলার কথা ঘোষণা করে হিজবুল্লাহ। শুধু তা-ই নয়, ইজরায়েলে বিস্ফোরক ড্রোন হামলাও চালায় তারা। হিজবুল্লাহ নেতা সৈয়দ হাসান নাসরাল্লাহ বলেন, এই গোষ্ঠীতে রয়েছে প্রায় ১ লক্ষ যোদ্ধা। আবার আমেরিকান সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির ওয়ার্ল্ড ফ্যাক্টবুক বলছে, ২০২২ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী হিজবুল্লাহর রয়েছে প্রায় ৪৫,০০০ যোদ্ধা। Photo: AP
হিজবুল্লাহর সেনাশক্তি ২০০৬ সালের পর আরও উন্নত হয়। ওই গোষ্ঠীর বক্তব্য, তাদের রকেট ইজরায়েলের সমস্ত অংশেই হামলা করবে। গাজা যুদ্ধের সময় সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল ব্যবহার করে হামলার কথা ঘোষণা করে হিজবুল্লাহ। শুধু তা-ই নয়, ইজরায়েলে বিস্ফোরক ড্রোন হামলাও চালায় তারা। হিজবুল্লাহ নেতা সৈয়দ হাসান নাসরাল্লাহ বলেন, এই গোষ্ঠীতে রয়েছে প্রায় ১ লক্ষ যোদ্ধা। আবার আমেরিকান সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির ওয়ার্ল্ড ফ্যাক্টবুক বলছে, ২০২২ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী হিজবুল্লাহর রয়েছে প্রায় ৪৫,০০০ যোদ্ধা। Photo: AP
হিজবুল্লাহর কি আঞ্চলিক ক্ষমতা রয়েছে?- ইরাকি শিয়া সেনা-সহ গোটা অঞ্চল জুড়ে ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীগুলিকে অনুপ্রেরণা এবং মদত জুগিয়েছে হিজবুল্লাহ। এটি সিরিয়ার যুদ্ধে তার মিত্র প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে সাহায্য করতে একটি বড় ভূমিকা পালন করেছে, যেখানে এখনও যোদ্ধা রয়েছে। সৌদি আরবের বক্তব্য, ইয়েমেনে লড়াই করার ক্ষেত্রে ইরানের মিত্রশক্তি হুথিদের সঙ্গে মিলে লড়াই করেছিল হিজবুল্লাহ। তবে ওই গোষ্ঠী এই দাবি নাকচ করে দিয়েছে। Photo: AP

হিজবুল্লাহর কি আঞ্চলিক ক্ষমতা রয়েছে?- ইরাকি শিয়া সেনা-সহ গোটা অঞ্চল জুড়ে ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীগুলিকে অনুপ্রেরণা এবং মদত জুগিয়েছে হিজবুল্লাহ। এটি সিরিয়ার যুদ্ধে তার মিত্র প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে সাহায্য করতে একটি বড় ভূমিকা পালন করেছে, যেখানে এখনও যোদ্ধা রয়েছে। সৌদি আরবের বক্তব্য, ইয়েমেনে লড়াই করার ক্ষেত্রে ইরানের মিত্রশক্তি হুথিদের সঙ্গে মিলে লড়াই করেছিল হিজবুল্লাহ। তবে ওই গোষ্ঠী এই দাবি নাকচ করে দিয়েছে। Photo: AP
লেবাননে হিজবুল্লাহর ভূমিকা ঠিক কী?- হিজবুল্লাহর প্রভাব তার অস্ত্রশস্ত্র এবং লেবাননের বেশ কিছু শিয়ার সমর্থন উভয়ের দ্বারা প্রভাবিত হয়। লেবাননের শিয়ারা বলেন যে, এই দলটি ইজরায়েলের হাত থেকে লেবাননকে রক্ষা করে। এতে সরকারের মন্ত্রী এবং পার্লামেন্টের আইনপ্রণেতারা রয়েছেন। লেবাননের দলগুলি আবার হিজবুল্লাহর বিরোধিতা করে। আর জানায় যে, দলটি রাষ্ট্রকে দুর্বল করে দিয়েছে এবং একতরফা ভাবে লেবাননকে যুদ্ধের ময়দানে টেনে নিয়ে গিয়েছে। Photo: AP
লেবাননে হিজবুল্লাহর ভূমিকা ঠিক কী?- হিজবুল্লাহর প্রভাব তার অস্ত্রশস্ত্র এবং লেবাননের বেশ কিছু শিয়ার সমর্থন উভয়ের দ্বারা প্রভাবিত হয়। লেবাননের শিয়ারা বলেন যে, এই দলটি ইজরায়েলের হাত থেকে লেবাননকে রক্ষা করে। এতে সরকারের মন্ত্রী এবং পার্লামেন্টের আইনপ্রণেতারা রয়েছেন। লেবাননের দলগুলি আবার হিজবুল্লাহর বিরোধিতা করে। আর জানায় যে, দলটি রাষ্ট্রকে দুর্বল করে দিয়েছে এবং একতরফা ভাবে লেবাননকে যুদ্ধের ময়দানে টেনে নিয়ে গিয়েছে। Photo: AP
১৯৯২ সালে লেবাননের রাজনীতিতে প্রবেশ করেছে তারা। নির্বাচনে লড়াই করছে। আর প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা সুন্নি রাজনীতিবিদ রফিক আল-হারিরিকে হত্যার পরে লেবানন থেকে সিরিয়া সেনা প্রত্যাহার করার পর ২০০৫ সাল থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করতে শুরু করে হিজবুল্লাহ। ২০০৮ সালে হিজবুল্লাহ এবং লেবাননের রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে সশস্ত্র সংগ্রাম শুরু হয়। এরপরে এই গোষ্ঠীর জঙ্গিযোগের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার অঙ্গীকার করে সরকার। হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা বেইরুটের বিস্তীর্ণ অংশের দখল নেয়। Photo: AP
১৯৯২ সালে লেবাননের রাজনীতিতে প্রবেশ করেছে তারা। নির্বাচনে লড়াই করছে। আর প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা সুন্নি রাজনীতিবিদ রফিক আল-হারিরিকে হত্যার পরে লেবানন থেকে সিরিয়া সেনা প্রত্যাহার করার পর ২০০৫ সাল থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করতে শুরু করে হিজবুল্লাহ। ২০০৮ সালে হিজবুল্লাহ এবং লেবাননের রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে সশস্ত্র সংগ্রাম শুরু হয়। এরপরে এই গোষ্ঠীর জঙ্গিযোগের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার অঙ্গীকার করে সরকার। হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা বেইরুটের বিস্তীর্ণ অংশের দখল নেয়। Photo: AP
বিভিন্ন হামলার অভিযোগ: লেবাননের আধিকারিক এবং ওয়েস্টার্ন ইন্টেলিজেন্সের বক্তব্য, হিজবুল্লাহর সঙ্গে যোগ থাকা গোষ্ঠীগুলি ওয়েস্টার্ন এম্ব্যাসিগুলিতে আত্মঘাতী হামলা চালায়। ১৯৮০ সালে পশ্চিমীদের নিশানা এবং অপহরণও করে। সেই সব হামলা এবং পণবন্দি করার প্রসঙ্গে হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরাল্লাহ ২০২২ সালের একটি সাক্ষাৎকারে বলেন যে, ওই সব হামলাগুলি চালিয়েছিল ছোট ছোট গোষ্ঠীগুলি। হিজবুল্লাহর সঙ্গে যাদের কোনও যোগ নেই। Photo: AP
বিভিন্ন হামলার অভিযোগ: লেবাননের আধিকারিক এবং ওয়েস্টার্ন ইন্টেলিজেন্সের বক্তব্য, হিজবুল্লাহর সঙ্গে যোগ থাকা গোষ্ঠীগুলি ওয়েস্টার্ন এম্ব্যাসিগুলিতে আত্মঘাতী হামলা চালায়। ১৯৮০ সালে পশ্চিমীদের নিশানা এবং অপহরণও করে। সেই সব হামলা এবং পণবন্দি করার প্রসঙ্গে হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরাল্লাহ ২০২২ সালের একটি সাক্ষাৎকারে বলেন যে, ওই সব হামলাগুলি চালিয়েছিল ছোট ছোট গোষ্ঠীগুলি। হিজবুল্লাহর সঙ্গে যাদের কোনও যোগ নেই। Photo: AP

Israel vs Iran: ক্ষেপণাস্ত্র, বিমান বাহিনী, নৌ বাহিনী ও সৈন্য…ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে কে বেশি শক্তিশালী? যুদ্ধ হলে কী হতে পারে?

ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে পুরোদস্তুর যুদ্ধ লাগল বলে। ইতিমধ্যেই ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইরান। পাল্টা জবাব দেওয়ার জন্য ফুঁসছে ইজরায়েলও। ইরান ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের মাধ্যমেই ইজরায়েলে হামলা চালাবে বলে মনে করছেন যুদ্ধ বিশারদরা। স্থলপথে আক্রমণের সম্ভাবনা কম। এখন প্রশ্ন হল, ইজরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে জড়ানোর মতো ক্ষমতা ইরানের আছে কি না?
ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে পুরোদস্তুর যুদ্ধ লাগল বলে। ইতিমধ্যেই ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইরান। পাল্টা জবাব দেওয়ার জন্য ফুঁসছে ইজরায়েলও। ইরান ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের মাধ্যমেই ইজরায়েলে হামলা চালাবে বলে মনে করছেন যুদ্ধ বিশারদরা। স্থলপথে আক্রমণের সম্ভাবনা কম। এখন প্রশ্ন হল, ইজরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে জড়ানোর মতো ক্ষমতা ইরানের আছে কি না?
১১ এপ্রিল মার্কিন প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থার প্রকাশিত প্রতিবেদনেও উল্লেখ করা হয়েছে, ইরান ক্ষেপণাস্ত্র বা ড্রোন হামলাই চালাবে। বাহিনীতে তারা ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোনের সংখ্যা বাড়াচ্ছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ইরানের কাছে এমন ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে যা ২ হাজার কিমি দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে।
১১ এপ্রিল মার্কিন প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থার প্রকাশিত প্রতিবেদনেও উল্লেখ করা হয়েছে, ইরান ক্ষেপণাস্ত্র বা ড্রোন হামলাই চালাবে। বাহিনীতে তারা ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোনের সংখ্যা বাড়াচ্ছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ইরানের কাছে এমন ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে যা ২ হাজার কিমি দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে।
ইরান এবং ইজরায়েলি সেনাবাহিনীর মধ্যে কে এগিয়ে? ওয়ার্ল্ড ফায়ার পাওয়ার ইনডেক্স অনুযায়ী, ইরান বিশ্বের ১৪ তম শক্তিশালী দেশ। সেখানে ইজরায়েল ১৭ নম্বরে রয়েছে। Photo Courtesy: AP
ইরান এবং ইজরায়েলি সেনাবাহিনীর মধ্যে কে এগিয়ে? ওয়ার্ল্ড ফায়ার পাওয়ার ইনডেক্স অনুযায়ী, ইরান বিশ্বের ১৪ তম শক্তিশালী দেশ। সেখানে ইজরায়েল ১৭ নম্বরে রয়েছে। Photo Courtesy: AP
উভয় দেশের সৈন্য সংখ্যা: গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার ইনডেক্স জনশক্তি, বিমানশক্তি, স্থল, নৌবাহিনী, প্রাকৃতিক সম্পদ, অর্থনৈতিক অবস্থা, ভৌগলিক অবস্থান এবং সরবরাহের উপর ভিত্তি করে প্রত্যেক দেশের তালিকা তৈরি করে। এই ৮টি মানদণ্ডের মধ্যে ইজরায়েল মাত্র দুটিতে ইরানের চেয়ে এগিয়ে। Photo Courtesy: AP
উভয় দেশের সৈন্য সংখ্যা: গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার ইনডেক্স জনশক্তি, বিমানশক্তি, স্থল, নৌবাহিনী, প্রাকৃতিক সম্পদ, অর্থনৈতিক অবস্থা, ভৌগলিক অবস্থান এবং সরবরাহের উপর ভিত্তি করে প্রত্যেক দেশের তালিকা তৈরি করে। এই ৮টি মানদণ্ডের মধ্যে ইজরায়েল মাত্র দুটিতে ইরানের চেয়ে এগিয়ে। Photo Courtesy: AP
উভয় দেশের সেনাবাহিনীর কথা বললে, ইরানের ৬,১০,০০০ সক্রিয় সৈন্য রয়েছে। সেখানে ইজরায়েলের সৈন্য সংখ্যা মাত্র ১৭০,০০০। অবশ্য ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা বাজেট অনেক বেশি। ইরানের উপর দীর্ঘদিন মার্কিন নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও ইজরায়েলের চেয়ে অনেক কম। Photo Courtesy: AP
উভয় দেশের সেনাবাহিনীর কথা বললে, ইরানের ৬,১০,০০০ সক্রিয় সৈন্য রয়েছে। সেখানে ইজরায়েলের সৈন্য সংখ্যা মাত্র ১৭০,০০০। অবশ্য ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা বাজেট অনেক বেশি। ইরানের উপর দীর্ঘদিন মার্কিন নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও ইজরায়েলের চেয়ে অনেক কম। Photo Courtesy: AP
বিমান বাহিনীর শক্তি: বিমান শক্তিতে ইরানের চেয়ে অনেক এগিয়ে ইজরায়েল। ইরানের ৫৫১টি বিমান রয়েছে। ইজরায়েলের বিমান সংখ্যা ৬১২। ইজরায়েলের কাছে ২৪১টি ফাইটার জের রয়েছে। ইরানের ১৮৬টি। এর মধ্যে ইজরায়েলের কাছে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী F-16 এবং F-35 বিমানও রয়েছে। Photo Courtesy: AP
বিমান বাহিনীর শক্তি: বিমান শক্তিতে ইরানের চেয়ে অনেক এগিয়ে ইজরায়েল। ইরানের ৫৫১টি বিমান রয়েছে। ইজরায়েলের বিমান সংখ্যা ৬১২। ইজরায়েলের কাছে ২৪১টি ফাইটার জের রয়েছে। ইরানের ১৮৬টি। এর মধ্যে ইজরায়েলের কাছে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী F-16 এবং F-35 বিমানও রয়েছে। Photo Courtesy: AP
স্থলশক্তিতে ইরান কিছুটা হলেও এগিয়ে। ইরানের কাছে ইজরায়েলের চেয়ে বেশি ট্যাঙ্ক রয়েছে। ইজরায়েলি ট্যাঙ্কের মোট সংখ্যা ১৩৭০। ইরানের কাছে ১৯৯৬টি ট্যাঙ্ক রয়েছে। আবার ইজরায়েলের ৬৫০টি স্বয়ংক্রিয় আর্টিলারি ইউনিট রয়েছে। যেখানে ইরানের রয়েছে মাত্র ৫৮০টি। Photo Courtesy: AP
স্থলশক্তিতে ইরান কিছুটা হলেও এগিয়ে। ইরানের কাছে ইজরায়েলের চেয়ে বেশি ট্যাঙ্ক রয়েছে। ইজরায়েলি ট্যাঙ্কের মোট সংখ্যা ১৩৭০। ইরানের কাছে ১৯৯৬টি ট্যাঙ্ক রয়েছে। আবার ইজরায়েলের ৬৫০টি স্বয়ংক্রিয় আর্টিলারি ইউনিট রয়েছে। যেখানে ইরানের রয়েছে মাত্র ৫৮০টি। Photo Courtesy: AP
নৌশক্তি: ইরানের নৌবাহিনী ইজরায়েলের চেয়ে বেশি শক্তিশালী। ইরানের মোট ১০১টি নৌবহর রয়েছে। ইজরায়েলের মাত্র ৬৭টি। কারও কাছেই এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার নেই। সাবমেরিনের কথা বললে, ইরানের রয়েছে ১৯টি এবং ইজরায়েলের ৫টি। Photo Courtesy: AP
নৌশক্তি: ইরানের নৌবাহিনী ইজরায়েলের চেয়ে বেশি শক্তিশালী। ইরানের মোট ১০১টি নৌবহর রয়েছে। ইজরায়েলের মাত্র ৬৭টি। কারও কাছেই এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার নেই। সাবমেরিনের কথা বললে, ইরানের রয়েছে ১৯টি এবং ইজরায়েলের ৫টি। Photo Courtesy: AP

Israel Iran War: ইজরায়েলের জাহাজে ১৭ জন ভারতীয়, আটক ইরানের হাতে! তৎপর দিল্লি…তড়িঘড়ি ফোন বিদেশমন্ত্রীর, কী জানাল ইরান?

নয়াদিল্লি: ইজরায়েলে আক্রমণ করেছে ইরান। নতুন করে যুদ্ধের দামামা বেজে উঠেছে মধ্যপ্রাচ্যে। এই পরিস্থিতিতে ইরান ও ইজরায়েলের বিদেশমন্ত্রকের সঙ্গে কথা বললেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি জানিয়েছেন, ইজরায়েলের কন্টেনার শিপ আটক করেছে ইরানের ইসলামিক ফৌজ। সেই জাহাজে ১৭ জন ভারতীয় ক্রু-র মুক্তি নিয়ে ইরানের বিদেশমন্ত্রী হোসেন আমির আবদুল্লাহিয়ানের সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন।

এক্স পোস্টে জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে বর্তমান উত্তেজনা নিয়ে দুই দেশের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। ইরানের বিদেশমন্ত্রী হোসেন আমির আবদুল্লাহিয়ানকে তিনি যুদ্ধ এড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন।

সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে জয়শঙ্কর লিখেছেন, “আজ সন্ধ্যায় ইরানের বিদেশমন্ত্রী আমির আবদুল্লাহিয়ানের সঙ্গে কথা হল। ১৭ জন ভারতীয় ক্রু সদস্যের মুক্তি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এলাকার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েও কথা বলেছি। উত্তেজনা এড়ানো, সংযম এবং কূটনীতিতে ফিরে আসার গুরুত্বের উপর জোর দেওয়া হয়েছে’। জয়শঙ্কর ইজরায়েলের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলেন। বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়।’’

আরও পড়ুন: ইজরায়েলে ড্রোন হামলা ইরানের…যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে তড়িঘড়ি জরুরি বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিল রাষ্ট্রপুঞ্জ

প্রসঙ্গত, গত শনিবার হরমুজ প্রণালি দিয়ে যাওয়ার সময় ইজরায়েলের এমএসসি অ্যারিস জাহাজকে আটক করে ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডরা। কন্টেনার জাহাজটি মুম্বইয়ের নাভা শেভা বন্দরের দিকে যাচ্ছিল। জাহাজে ১৭ জন ভারতীয় ক্রু রয়েছেন।

এর আগে ইজরায়েলে মিসাইল এবং ড্রোন হামলা চালায় ইরান। ঘটনাকে ‘গভীর উদ্বেগের বিষয়’ বলে মন্তব্য করেছিলেন জয়শঙ্কর। ইন্ডিয়া টুডে-কে তিনি বলেছিলেন, “গভীর উদ্বেগের বিষয়। এতে উত্তেজনা আরও বাড়বে। আমরা সবাই উদ্বিগ্ন”। সঙ্গে তিনি যোগ করেন, “৭ অক্টোবর ইজরায়েলের উপর হামলা হয়। ওই অঞ্চলে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। ফলে আমরা উদ্বিগ্ন। ওখানে ভারতের বিশেষ অংশীদারিত্ব রয়েছে”।

আরও পড়ুন: আশঙ্কা সত্যি হল! ইজরায়েলে মিসাইল ও ড্রোন হামলা শুরু ইরানের

জয়শঙ্কর আরও জানিয়েছেন, ভারত গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে। ইরান ও ইজরায়েলে বসবাসরত ভারতীয় নাগরিকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ইন্ডিয়া টুডে-কে বিদেশমন্ত্রী বলেন, “এই মুহূর্তে ইজরায়েল এবং ইরান ভ্রমণে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যাঁরা ইতিমধ্যেই সেখানে আছেন, তাঁদের সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে। আমরা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি। যদি পরামর্শ বা পদক্ষেপের প্রয়োজন হয়, আমরা করব।”

অন্যদিকে, ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে ফোনে কথা হওয়ার পরেই ইরান জানিয়েছে, পারস্য উপসাগরের হরমুজ় প্রণালিতে তাদের হাতে আটক জাহাজে থাকা ভারতীয়দের সঙ্গে নয়াদিল্লির প্রতিনিধিদের দেখা করতে দেওয়া হবে। ওই জাহাজে ২৫ জন কর্মীর মধ্যে ১৭ জনই ভারতীয়। জাহাজটি ইরানের হাতে আটক হওয়ার পর থেকেই তেহরানের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে নয়াদিল্লি।

Iran Israel War: অসম্ভব ক্ষমতা! যুদ্ধ হলে ইরানের হাতে আছে ‘সেজ্জিল’! কী এই সেজ্জিল? শুনলে চোখ কপালে উঠবে

ইজরায়েলে হানা শুরু করেছে ইরান। আর ইরানের হামলার মোকাবিলায় আমেরিকাকে পাশে পেয়েছে ইজরায়েল। আরও দুই শক্তিশালী দেশ এই ঘটনার পর ইজরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছে। তারা হল ব্রিটেন এবং ফ্রান্স। উভয় দেশের তরফেই ইজরায়েলে ইরানি হামলার সমালোচনা করা হয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে যুদ্ধের আশঙ্কা করছে বিশ্ববাসী। আর তা হলে, ইরানের হাতে আছে এমন কিছু ক্ষেপনাস্ত্র, যা শত্রুপক্ষকে মুহূর্তে ঘায়েল করে দিতে পারে।
ইজরায়েলে হানা শুরু করেছে ইরান। আর ইরানের হামলার মোকাবিলায় আমেরিকাকে পাশে পেয়েছে ইজরায়েল। আরও দুই শক্তিশালী দেশ এই ঘটনার পর ইজরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছে। তারা হল ব্রিটেন এবং ফ্রান্স। উভয় দেশের তরফেই ইজরায়েলে ইরানি হামলার সমালোচনা করা হয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে যুদ্ধের আশঙ্কা করছে বিশ্ববাসী। আর তা হলে, ইরানের হাতে আছে এমন কিছু ক্ষেপনাস্ত্র, যা শত্রুপক্ষকে মুহূর্তে ঘায়েল করে দিতে পারে।
কী সেই সব ক্ষেপনাস্ত্র? ‘খেইবার শেকান’ এবং ‘সেজ্জিল’ ইরানের সামরিক ভান্ডারের দুই শক্তিশালী হাতিয়ার। ঘণ্টায় ৬ হাজার কিলোমিটার বেগে হামলা করতে পারে ‘খেইবার শেকান’। যে কোনও মুহূর্তে যে কোনও দিকে লক্ষ্য ঘোরানো যায় এর। ‘সেজ্জিল’ও শক্তির দিকে কম যায় না। ঘণ্টায় সাড়ে ১৭ হাজার কিলোমিটার গতিতে ২৫০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে এটি। সর্বাধিক দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে ৪৫০০ কিলোমিটার।
কী সেই সব ক্ষেপনাস্ত্র? ‘খেইবার শেকান’ এবং ‘সেজ্জিল’ ইরানের সামরিক ভান্ডারের দুই শক্তিশালী হাতিয়ার। ঘণ্টায় ৬ হাজার কিলোমিটার বেগে হামলা করতে পারে ‘খেইবার শেকান’। যে কোনও মুহূর্তে যে কোনও দিকে লক্ষ্য ঘোরানো যায় এর। ‘সেজ্জিল’ও শক্তির দিকে কম যায় না। ঘণ্টায় সাড়ে ১৭ হাজার কিলোমিটার গতিতে ২৫০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে এটি। সর্বাধিক দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে ৪৫০০ কিলোমিটার।
ইরানের সামরিক অস্ত্রভান্ডারে যে ক্ষেপণাস্ত্রগুলি রয়েছে সেগুলি কতটা শক্তিশালী? পাল্লাই বা কত? বেশ কয়েকটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ভান্ডারের অন্যতম সদস্য ‘শাহাব-৩’। এটি মাঝারি পাল্লার। উত্তর কোরিয়ার ‘নোডোং-১’ ক্ষেপণাস্ত্রের অনুকরণে তৈরি।
ইরানের সামরিক অস্ত্রভান্ডারে যে ক্ষেপণাস্ত্রগুলি রয়েছে সেগুলি কতটা শক্তিশালী? পাল্লাই বা কত? বেশ কয়েকটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ভান্ডারের অন্যতম সদস্য ‘শাহাব-৩’। এটি মাঝারি পাল্লার। উত্তর কোরিয়ার ‘নোডোং-১’ ক্ষেপণাস্ত্রের অনুকরণে তৈরি।
এই ক্ষেপণাস্ত্র ১০০০ থেকে সর্বাধিক ২০০০ কিলোমিটার দূরত্বের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। এই ক্ষেপণাস্ত্রটিকে আরও উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। এতে ‘ক্লাস্টার মিউনিশন’ পদ্ধতি যোগ করা হয়েছে। ফলে একসঙ্গে পাঁচ জায়গায় হামলা চালাতে পারে ‘শাহাব-৩’।
এই ক্ষেপণাস্ত্র ১০০০ থেকে সর্বাধিক ২০০০ কিলোমিটার দূরত্বের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। এই ক্ষেপণাস্ত্রটিকে আরও উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। এতে ‘ক্লাস্টার মিউনিশন’ পদ্ধতি যোগ করা হয়েছে। ফলে একসঙ্গে পাঁচ জায়গায় হামলা চালাতে পারে ‘শাহাব-৩’।
ইরানের আরও একটি মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হল ‘গদর’। ১৮০০ থেকে ২০০০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে এই ক্ষেপণাস্ত্র। এটি অত্যন্ত দ্রুতগতির ক্ষেপণাস্ত্র। ঘণ্টায় ১১ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি গতিতে গিয়ে লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাতে পারে এটি।
ইরানের আরও একটি মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হল ‘গদর’। ১৮০০ থেকে ২০০০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে এই ক্ষেপণাস্ত্র। এটি অত্যন্ত দ্রুতগতির ক্ষেপণাস্ত্র। ঘণ্টায় ১১ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি গতিতে গিয়ে লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাতে পারে এটি।
ইরানের মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের তালিকায় রয়েছে ‘এমাদ’। এটি ১৭০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে সক্ষম। এই ক্ষেপণাস্ত্রের বিশেষত্ব হল ‘ম্যানুভারেবল রিএন্ট্রি ভেহিকল’ প্রযুক্তি। অর্থাৎ যার মাধ্যমে প্রয়োজনে ক্ষেপণাস্ত্রের দিশাও বদলানো যায়। ২০১৬ থেকে এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করছে ইরান।
ইরানের মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের তালিকায় রয়েছে ‘এমাদ’। এটি ১৭০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে সক্ষম। এই ক্ষেপণাস্ত্রের বিশেষত্ব হল ‘ম্যানুভারেবল রিএন্ট্রি ভেহিকল’ প্রযুক্তি। অর্থাৎ যার মাধ্যমে প্রয়োজনে ক্ষেপণাস্ত্রের দিশাও বদলানো যায়। ২০১৬ থেকে এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করছে ইরান।
আরও একটি ক্ষেপণাস্ত্র হল ‘খোররমশহর’। ২০ টনের এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ২০০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। ঘণ্টায় ৯,৮৭৮ থেকে ১৭,২৮৭ কিলোমিটার বেগে লক্ষ্যবস্তুকে ধ্বংস করতে পারে। অর্থাৎ পাকিস্তানের যে কোনও জায়গাকে কয়েক সেকেন্ডে গুঁড়িয়ে দিতে পারে।
আরও একটি ক্ষেপণাস্ত্র হল ‘খোররমশহর’। ২০ টনের এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ২০০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। ঘণ্টায় ৯,৮৭৮ থেকে ১৭,২৮৭ কিলোমিটার বেগে লক্ষ্যবস্তুকে ধ্বংস করতে পারে। অর্থাৎ পাকিস্তানের যে কোনও জায়গাকে কয়েক সেকেন্ডে গুঁড়িয়ে দিতে পারে।

World War 3: ‘বিশ্বযুদ্ধের দিকে নিয়ে গেলেন’! আসরে ট্রাম্প, ইরান-ইজরায়েল ঘিরে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ লাগল বলে?

ইজরায়েল: ইরানের হামলার মুখে ইজরায়েল। ইতিমধ্যেই ইজরায়েলকে লক্ষ্য করে একের পর এক হামলা চালিয়েছে ইরান। পাল্টা ইজরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছে আমেরিকাও। ইরানকে পাল্টা প্রত্যাঘাতের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। যদিও বাইডেনের সমালোচনা করে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ‘তিনি (বাইডেন) জানেন না তিনি কী করছেন। তিনি দেশকে বিশ্বযুদ্ধের দিকে নিয়ে যেতে পারেন। তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ ডেকে আনতে পারেন।’

ট্রাম্প বাইডেনকে ‘বেশ করুণ’ বলে খোঁচাও দেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের এমন একজন প্রেসিডেন্ট আছেন যিনি দুটি বাক্য একসঙ্গে বলতে পারেন না! যিনি মঞ্চ থেকে সিঁড়ি খুঁজে পান না, যিনি জানেন না তিনি কী করছেন!’ ট্রাম্প আরও বলেন, ‘আমি প্রেসিডেন্ট হলে তারা (ইরান) ইজরায়েলকে আক্রমণ করত না। আমি থাকতে তারা কখনই তা করেনি। কারণ ইরান আক্রমণ করার মতো অবস্থানে ছিল না। তাদের কাছে কোনও টাকা ছিল না। তারা ভেঙে পড়েছিল।’ ট্রাম্পের সংযোজন, ‘ইজরায়েলের সঙ্গে যা চলছে, তা শেষ পর্যন্ত বিশ্বযুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারে।’

আরও পড়ুন: ইরানের একের পর এক আঘাত, ইজরায়েলের বাজি আয়রন ডোম! কী এই তুরুপের তাস? কী হয় এতে?

প্রসঙ্গত, একদিকে জটিল রূপ নিয়েছে ইজরায়েল-হামাসের যুদ্ধ। হামাসকে শেষ করতে ইজরায়েল যেভাবে গাজা ও প্যালেস্তাইনের উপরে হামলা চালিয়েছে, তার রেশ পড়শি ইরানের উপরেও পড়েছে। সম্প্রতিই সিরিয়ায় ইরানের দামাস্কাসের দূতাবাসে হামলার পরই চরম বার্তা দিয়েছিল ইরান। যে কোনও সময়েই তারা ইজরায়েলের উপরে হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল। এই “যুদ্ধ লাগবে” পরিস্থিতির মাঝেই আবার গাজায় হামলা ইজরায়েলের। শুক্রবার রাতে ফের গাজা স্ট্রিপে লাগাতার গোলাবর্ষণ করে ইজরায়েল। নেতানিয়াহুর এই পদক্ষেপ যুদ্ধ পরিস্থিতিতে আরও জটিল করে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা করাই হচ্ছিল। সেই অপেক্ষা শেষ করে এবার আসরে নামল ইরান।

আরও পড়ুন: ভয়ঙ্কর এই দৃশ্য! ইজরায়েলকে নিশানা করে ইরানের ভয়াবহ হামলা, ভিডিও দেখে চমকে উঠছে বিশ্ব

গত কয়েকদিন ধরেই ইরান এবং ইজরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা চরম আকার ধারণ করেছে। এই উত্তেজনার মধ্যেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানকে হামলা না করার জন্য সতর্কবাণী দিয়েছিল। সারা বিশ্ব এটি নিয়ে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের এই ইস্যুতে কিছুদিন ধরেই গোটা বিশ্বে উত্তপ্ত অবস্থা ছিল। বিশেষ করে গাজায় ইজরায়েলের হামলার প্রেক্ষাপটে উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। তারও আগে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ পৃথিবীতে একটি যুদ্ধাবস্থা তৈরি করে ফেলেছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যে সমর্থন ইজরায়েলের প্রতি ছিল তা এখন আগের চেয়ে নমনীয় হয়ে উঠেছে। এবার ইরান এবং ইজরায়েল ইস্যুতেও পুরো বিশ্ব বিভক্ত হয়ে পড়েছে।

ইতোমধ্যে উত্তর কোরিয়া যুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণ করার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সিরিয়ার দামেস্কাসে অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেটে ইজরায়েলি হামলার প্রেক্ষাপটে সারা বিশ্বে একটি যুদ্ধাবস্থা তৈরি হয়েছে। আর এরকম প্রেক্ষাপটে সবচেয়ে বড় যে প্রশ্নটি সামনে এসেছে, তা হল একটি বিশ্বযুদ্ধ কি আসন্ন হয়ে উঠেছে?

Iran Israel War: ইরানের ভয়াবহ মিসাইল-ড্রোন হামলা, কী ঘটল ইজরায়েলে? শুনলে তাজ্জব হয়ে যাবেন

ইজরায়েল: ইরানের হামলায় কত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা জানাতে নতুন করে বিবৃতি দিল ইজরায়েলের সেনাবাহিনী। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ জানিয়েছে, ইরানের বিপুলসংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন তাঁরা প্রতিহত করেছে। একই সঙ্গে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও জানিয়েছেন, আমেরিকার সাহায্যে ইরানের ড্রোন হামলার মোকাবিলায় সফল হয়েছে ইজরায়েল। ইরান থেকে ছোড়া প্রায় সব ড্রোনই গুলি করে নামানো হয়েছে।

শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ব্যবহার করে ইরানের সংখ্যাগরিষ্ঠ হামলা প্রতিহত করেছে বলেছে আইডিএফ। ইজরায়েলি ভূখণ্ড অতিক্রম করার আগেই এই অঞ্চলের কৌশলগত মিত্রদের সঙ্গে অ্যারো (তীর) আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ব্যবহার করে এই হামলা প্রতিহত করেছে তারা। শুধু তা-ই নয়, আমেরিকা, ব্রিটেনের সেনা গুলি করে ইরানের একের পর এক ড্রোন ধ্বংস করছে বলেও জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট দেশের সামরিক বাহিনী। ইরানের হামলা ঠেকাতে ইজরায়েলের আসল তুরুপের তাস হয়ে উঠছে আয়রন ডোম।

আরও পড়ুন: ইরানের একের পর এক আঘাত, ইজরায়েলের বাজি আয়রন ডোম! কী এই তুরুপের তাস? কী হয় এতে?

আকাশের বুক চিরে ছুটে যাচ্ছে সাদা ধোঁয়া। তারপরই বিদ্যুৎ চমকের মতো ঝলকানি। শত্রুপক্ষের মিসাইল ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে আকাশেই। হ্যাঁ, এটাই আয়রন ডোম। হিব্রুতে বলে ‘কিপ্পাত বারজেল’। ইজরায়েলের অস্ত্রাগারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার। গত বছর গ্রীষ্মে ইজরায়েলে রকেট হামলা চালায় পিআইজে গোষ্ঠী। ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দাবি, হামলায় ৯৭ শতাংশ মিসাইলই সফলভাবে ধ্বংস করে আয়রন ডোম। হামাসের বিরুদ্ধে লড়াইতেও আয়রন ডোমের উপরেই ভরসা করছে ইজরায়েল। এবারও তাই।

আরও পড়ুন: ভয়ঙ্কর এই দৃশ্য! ইজরায়েলকে নিশানা করে ইরানের ভয়াবহ হামলা, ভিডিও দেখে চমকে উঠছে বিশ্ব

তবে ইজরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে একটি ঘাঁটিতে কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন আঘাত হেনেছে বলেছে আইডিএফ। এতে সামান্য ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে এই বাহিনী। এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, প্রায় সব ধরনের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করতে ইজরায়েলকে সহায়তা করার জন্য মার্কিন বাহিনী ওই অঞ্চলে রয়েছে। মিত্রদের সুরক্ষার জন্য ওয়াশিংটনের দৃঢ় অবস্থানে রয়েছে বলেও জানান বাইডেন।