মাওবাদী যোগ বাংলায়?

NIA Investigation: কলকাতায় মাওবাদীর খোঁজে এনআইএ, ৭ ঘণ্টা তদন্তের পর বেরিয়ে গেলেন আধিকারিকরা

কলকাতা: পাঁচ ঘন্টার বেশি সময় ধরে তল্লাশির পর ১১:৩৫ মিনিট নাগাদ বেরিয়ে গেলেন NIA তদন্তকারী আধিকারিকরা। বেশকিছু নথি সহ মোট পাঁচটি মোবাইল বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে যায় NIA।

পরিবারের লোকজন জানায় ৬টা-সাড়ে ৬টা নাগাদ রাঁচি থেকে আসে এনআইএ। বাড়িতে এসে সার্চ করতে চায়। নকশাল পন্থী সংগঠনের শাখা সংগ্রামী শ্রমিক মঞ্চ করেন সোমনাথ বেরা। পরিবারের লোকজন আরও জানান তদন্তকারী আধিকারিকদের কথা শুনে মনে হয়েছে জঙ্গি সংগঠনের সাথে যুক্ত থাকার অভিযোগে তদন্ত করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: এখন ঘরে বসেই তৈরি করা যাবে আয়ুষ্মান কার্ড, মিলবে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসা

১৫ই অক্টোবর তাঁদের রাঁচিতে ডেকে পাঠানো হয় বলে জানা গিয়েছে। তবে তাঁরা তদন্তকারী অধিকারিকদের জানিয়েছিলেন, কলকাতায় অফিসে ডেকে পাঠালে যাবেন রাঁচি যাওয়া তাঁদের পক্ষে সম্ভব নয়। ছয় ঘন্টার বেশি সময় ধরে তল্লাশি করেন এনআইএ আধিকারিকরা। বেহালার ফিলিপস আবাসন বা পরমা আবাসনে ৮০ নম্বর বাড়ি প্রসেনজিৎ চক্রবর্তীর। পেশায় ফ্রিল্যান্স সাংবাদিকতা করেন প্রসেনজিৎ। ঘটনাস্থলে হরিদেবপুর থানার পুলিশ। সকাল ছয়টা নাগাদ এনআইএ আধিকারিকরা প্রসেনজিৎ চক্রবর্তীর বাড়িতে আসেন। প্রায় সাত ঘণ্টা তল্লাশি শেষে বেরিয়ে যান এনআইএ আধিকারিকরা, যাওয়ার সময়ে, কিছু কাগজপত্রও নিয়ে যান তাঁরা।

আরও পড়ুন: দিনে দিনে সস্তা হচ্ছে বাংলাদেশের টাকা, জানেন ভারতের ১০০ টাকা মানে বাংলাদেশের কত?

প্রসঙ্গত, মাওবাদী সন্দেহে কলকাতার একাধিক জায়গায় চলছে এনআইএ-র তল্লাশি। রাজ্যের ১০ থেকে ১২টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে এনআইএ। মাওবাদী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে এমন বেশ কিছু ব্যক্তিকে চিহ্নিতকরণ করেছে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি।

ইতিমধ্যে রাঁচিতে এন আই এর পক্ষ থেকে একটি মামলা রুজু করা হয়।। সেই মামলার তদন্তে নেমেই যোগ সূত্র পাওয়া যায় পশ্চিমবঙ্গে। রাঁচি ও কলকাতার এন আই এ একযোগে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে রাজ্যের ১০ থেকে ১২ টি জায়গায়।

আসামে মাওনেতা সব্যসাচী গোস্বামী গ্রেফতার হওয়ার পরে নির্মলা নামে এক মাও নেত্রী তিনি কলকাতায় এসেছিলেন, বৈঠক করে আবার অন্যত্র চলে যান বলে সূত্র মারফত খবর পায় এন আই এ গোয়েন্দারা। পানিহাটি, বীরভূম, যাদবপুর-সহ শহর কলকাতা জুড়ে সকাল থেকেই তল্লাশি অভিযানে নামে এনআইএ।