Tag Archives: Maoist

Telangana: তেলঙ্গানায় ভয়ঙ্কর ঘটনা, পুলিশের বিরাট অভিযান! শীর্ষ নেতা-সহ মৃত্যু ৬ মাওবাদীর

হায়দরাবাদ: আবার মাওবাদী-পুলিশ সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল তেলঙ্গনা। বৃহস্পতিবারের, এই ঘটনায় দুই মহিলা-সহ ছয় মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে তেলঙ্গনা পুলিশ। তেলঙ্গনার ভাদ্রাদ্রি কোঠাগুডেম জেলায় এই ঘটনা ঘটে।

পুলিশের সঙ্গে গুলি বিনিময়ে দুই জন পুলিশের গ্রে হাউন্ড সদস্যও নিহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের নিকটবর্তী হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ‘মন ভাল নেই’- অভিযোগ জানাতে গিয়ে মহকুমাশাসকের দুর্ব্যবহারে বিস্মিত সাংবাদিক!
সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, তেলেঙ্গানার কোঠাগুডেম জেলার গভীর অরণ্যে এই গুলির লড়াই শুরু হয়।

এই প্রসঙ্গে পুলিশের এক আধিকারিক জানান, বিশ্বস্ত সূত্রে খবর পাওয়ার পরেই ওই এলাকা ঘিরে ফেলা হয়। মাওবাদীর ওই দলটি সম্ভবত ছত্তিশগড় থেকে তেলঙ্গানা ঢুকছিল সেই সময়েই তেলঙ্গানার পুলিশ ওই এলাকায় চিরুনি তল্লাশি চালাতে শুরু করে। এবং তারপরেই সন্ধান পাওয়া মাত্রই দুপক্ষের মধ্যে গুলির লড়াই শুরু হয়।

 

মাওবাদীদের সঙ্গে গুলি যুদ্ধ শেষে ঘটনাস্থল থেকে মৃত ছয় মাওবাদীর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ইতিমধ্যেই তাঁদের শনাক্তকরণও শেষ হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: শোওয়ার ঘরে ঢুকতেই ভয়ঙ্কর দৃশ্য! ওখানে ওটা কী? ভাইরাল ভিডিও দেখে গা শিউরে উঠবে
পুলিশ সূত্রে খবর, প্রাথমিক তদন্তের পর জানা গিয়েছে মৃতদের মধ্যে একজন মাওবাদীর শীর্ষনেতাও রয়েছেন। এছাড়াও মৃতদের থেকে ২টি স্বয়ংক্রিয় একে৪৭, এসএলআর বন্দুক, এবং অন্যান্য আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে তদন্ত এখনও চলছে।

জঙ্গলে কয়েক ঘণ্টার গুলির লড়াই, খতম ৯ জন মাওবাদী

দান্তেওয়াড়া: দান্তেওয়াড়ার জঙ্গলে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে খতম ৯ জন নকশাল ৷ মঙ্গলবার দান্তেওয়াড়া-বিজাপুর সীমানা এলাকায় সকাল ১০টা থেকে শুরু হয় এনকাউন্টার ৷

বেশ কয়েক ঘণ্টা গুলি লড়াইয়ের পর নিরাপত্তাবাহিনীর এনকাউন্টারে ৬ জন মহিলা মাওবাদী ক্যাডার-সহ মোট ৯ জন ইউনিফর্ম পরা এবং সশস্ত্র মাওবাদীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে।

আরও পড়ুন- পরিসংখ্যানে দেশে প্রতি ২০ মিনিটে একটি ধর্ষণ, কোন ৫ শহর মহিলাদের জন্য সুরক্ষিত

এনকাউন্টারে নিহত মাওবাদী ক্যাডার পশ্চিম বস্তার এবং দরভা বিভাগ কমিটির সদস্য। দান্তেওয়াড়া ও বিজাপুর জেলার সীমান্ত এলাকায় লোহাগাঁও পুরঞ্জেল আন্দ্রির বন পাহাড়ে এনকাউন্টার হয়।

এসএলআর রাইফেল, 303 রাইফেল, বিজিএল লঞ্চার, ১২ বোরের রাইফেল ৩১৫ বোরের বন্দুক-সহ বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও নকশাল সামগ্রী ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

পুলিশ সুপার, দান্তেওয়াড়া শ্রী গৌরব রাই জানিয়েছেন, দান্তেওয়াড়া জেলার কিরান্দুল থানার অধীন লোহাগাঁও, পুরঞ্জেল, আন্দ্রির জঙ্গল পাহাড়ি এবং বিজাপুর সীমান্ত এলাকায় পশ্চিম বস্তার এবং দরভা বিভাগের সাথে PLGA কোম্পানী নং 2-এর মাওবাদীদের উপস্থিতির তথ্য পাওয়া গেছে।

তল্লাশি চলাকালীন ৩ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে দশটা থেকে পুলিশ দল এবং মাওবাদীদের মধ্যে একটানা ৭-৮ বার গুলিবর্ষণ হয়েছে।

 ২০২৪ সালে এখনও পর্যন্ত ১৫৩টি নকশালের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ৬৬৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং ৬৫৬ জন নকশাল আত্মসমর্পণ করেছে।

Arnab Dam Phd: জেলে থেকেই পিএইচডি প্রবেশিকায় প্রথম, ইতিহাস নিয়ে নজির গড়লেন মাওবাদী নেতা অর্ণব!

বর্ধমান: নজির সৃষ্টি করলেন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বন্দি মাওবাদী নেতা অর্ণব দাম ওরফে বিক্রম। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে পিইচডি করার যোগ্যতা নির্ণায়ক পরীক্ষায় প্রথম হয়েছেন‌ একসময়ের এই মাওবাদী নেতা। অ্যাকাডেমিক স্কোর ও ইন্টারভিউয়ের প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছেন তিনি। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৭৬.৮৬৭০। দ্বিতীয় স্থানাধিকারী পূজারিনী রায় পেয়েছেন ৭২.৪১১০। অনেকটা বেশি নম্বর অর্ণবের।

বাম আমলে ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পশ্চিম মেদিনীপুরের শিলদায় ইএফআর ক্যাম্পে হামলা চালায় মাওবাদীরা৷ মৃত্যু হয় ২৪ জন জওয়ানের৷ পাল্টা গুলিতে মৃত্যু হয় পাঁচ জন মাওবাদীরও৷ এই হামলার ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত ছিলেন অর্ণব৷ ৷

আরও পড়ুন: টানা ৯ ঘণ্টা কাজ, অবসাদে ‘আত্মহত্যা’ করল রোবট! চাপের কাছে হার মানল যন্ত্রও?

এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ওই মামলায় সাজা ঘোষণা করে আদালত৷ যাবজ্জীবন জেলের সাজা হয় অর্ণবের৷ গত মার্চ মাসে তাঁকে মেদিনীপুর সংশোধনাগার থেকে নিয়ে আসা হয় চুঁচুড়া সংশোধনাগারে৷ সাজা ঘোষণার সময়ই বিচারককে পিএইচডি করার ইচ্ছের কথা জানিয়েছিলেন অর্ণব৷ চুঁচুড়া জেলে এসেও জেল কর্তৃপক্ষকে সেই ইচ্ছের কথা জানান তিনি৷ সংশোধনাগারের লাইব্রেরি থেকে বই নিয়ে পড়াশোনাও শুরু করেন তিনি৷

শেষ পর্যন্ত আদালতের অনুমতি নিয়ে গত বুধবার পুলিশি নিরাপত্তায় বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে পিএইচডি-র জন্য ইন্টারভিউ দেন অর্ণব৷ অর্ণব ছাড়াও পিএইচডি করার জন্য আবেদন করেছিলেন ২২০ জন৷ পিএইচডি-র জন্য বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন সংখ্যা মাত্র ৯টি৷ বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বছর কারা পিএইচডি-তে সুযোগ পেলেন, সেই তালিকা গতকাল প্রকাশিত হয়৷ সেখানেই এক নম্বরে নাম ছিল অর্ণবের৷

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সৈয়দ তনভির নাসরিন বলেন, “খুবই মেধাবী অর্ণব। আমাদের বিভাগে গবেষণা করার সুযোগ পাচ্ছেন। পিইচডিতে ভর্তির ১০০ নম্বরের মধ্যে ৭০ শতাংশ অ্যাকাডেমিক স্কোর থেকে হয়। আর ইন্টারভিউতে থাকে ৩০ নম্বর। সব মিলিয়ে অর্ণব সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছেন। এটা একটা খুবই ভাল দিক। তবে উনি এখানে পিএইচডি করলে সেটা ইতিহাস হয়ে থাকবে।”

গড়িয়ার বাসিন্দা অর্ণব খড়্গপুর আইআইটিতে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র ছিলেন। কিন্তু মাঝপথেই পহাশোনা ছেড়ে নিরুদ্দেশ‌ হয়ে যান। বেশ কয়েকবছর পর মাওবাদী নেতা হিসেবে উত্থান ঘটে অর্ণবের। নাম হয় বিক্রম। মাও নেতা কিষেনজির ঘনিষ্ঠও ছিলেন। শিলদা ইএফআর ক্যাম্পে হামলা সহ একাধিক মাওবাদী হামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন অর্ণব। ২০১২ সালে আসানসোলে পুলিশের হাতে ধরা পড়েন তিনি। যাবজ্জীবন সাজাও হয় তাঁর। সংশোধনাগার থেকেই ফের পড়াশোনা শুরু করেন অর্ণব। মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেন তিনি। সবেতেই ফার্স্ট ক্লাস পেয়েছেন। প্রায় ৪০ বছর বয়সে সেট পরীক্ষা পাশ করেছেন।

অর্ণবের এই নজিরের পর মানবাধিকার সংগঠন এপিডিআর-এর সাধারণ সম্পাদক রঞ্জিৎ শূর অর্ণবের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছেন৷ বিবৃতি দিয়ে এপিডিআর-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘অর্ণব দাম এখন হুগলি জেলে আন্দোলনের মধ্যে আছে। বিভিন্ন দাবিতে ও প্রতিদিন একবেলার খাবার বয়কট করছে। ওর দাবি হল, কর্তৃপক্ষ ওকে জেলে যে কাজ দিয়েছে তার জন্য ওকে প্রথম তিন মাসের মজুরি দিতে অস্বীকার করছে। ওঁর দাবি সেই মজুরি ওকে দিতে হবে। জেলে চিকিৎসা ব্যবস্থা বলে কিছু নেই, বন্দিদের জন্য ২৪ ঘণ্টা ডাক্তারের ব্যবস্থা করতে হবে। জেলের ধারণক্ষমতার তুলনায় বন্দি সংখ্যা অনেক বেশি। বন্দি সংখ্যা কমাতে হবে। বন্দি সংখ্যা বেশি হওয়ায় জেলে খাবারের মান ও অন্যান্য প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধা ভয়ঙ্কর ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এই সমস্ত দাবি এবং সঙ্গে ওঁর পিএইচডি-র জন্য অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় যে আবেদন করেছে সেই আবেদন গুলি নিয়েও জেল কর্তৃপক্ষ যাতে তদ্বির করে তার ব্যবস্থা করতে হবে। এই দাবিগুলি নিয়ে গত শুক্রবার থেকে অর্ণব খাবার বয়কট আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা দাবি করছি জেল কর্তৃপক্ষ ওর এই দাবিগুলি মেনে নিক এবং ওকে নি:শর্তে মুক্তি দিক।’