লাইফস্টাইল No Weight Gain Tips: পুজোয়ে জমিয়ে খাবেন অথচ ‘ওয়েট গেন’ হবে না! স্লিম ফিগার ধরে রাখার ৫ ব্রহ্মাস্ত্র Gallery October 2, 2024 Bangla Digital Desk পুজোর আগে বহু কষ্ট করে মেদ জড়িয়েছেন ? কিন্তু পুজোতে মুখ মানছে না । পুজোতে রোজ বাইরের খাবার খেলে ওজন তো বাড়বেই সঙ্গে বাড়বে স্বাস্থ্যের গোলমাল। তাই এই সময় কোন খাবারগুলো খেয়েও শরীর স্বাস্থ্য চাঙ্গা রাখবেন কী বলছেন বিশেষজ্ঞ? (পিয়া গুপ্তা ) পুজো মানেই পেট পুজো। বাড়ির খাবার এই সময় তেমন একটা খাওয়া হয় না ।বাইরে বেরোলেই মোমো,চাওমিন, এগ রোল কিংবা বিরিয়ানি ছাড়া ভাবা যায় না। তবে রোজ রোজ বাইরের খাবার খেলে একদিকে যেমন বাড়বে ওজন তেমনি পেটের ও গোলমাল দেখা যাবে। পুষ্টিবিদ সাধনা চক্রবর্তী বললেন, ‘‘পুজোর আগে অনেকেই অনেক রকম কসরত করে ৩-৪ কেজি ওজন ঝরান। তবে পুজোর পরেই দেখা যায়, ওজন আবার আগের অবস্থায় ফিরে গিয়েছে। পুরোটাই পুজোর ক’দিন ভুল খাদ্যাভ্যাসের জন্য হয়।’’ পুজোর সময় ভাল-মন্দ খাওয়াদাওয়া করেও কী ভাবে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে সে বিষয়ে সাধনা চক্রবর্তী জানান। ১) পুজোর সময় চার বেলা নয় বরং দিনের যে কোনও একবেলা বাইরের খাবার খেতে হবে।২)বাড়িতে পুজোর সময় ভালমন্দ রান্না হয়। সে ক্ষেত্রে ভাত-রুটি, অর্থাৎ খুব বেশি কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার না খেয়ে সব্জি, মাছ, মাংস, দই বেশি করে রাখতে হবে ডায়েটে। পুজোর সময় ভাত-রুটি একেবারে এড়িয়ে চলতে পারলে ভাল। ৩) রেস্তরাঁর খাবার খেতে হবে সচেতন ভাবে। রেস্তরাঁয় গিয়ে স্যুপ খেতে পারেন। তার পর চিকেন, মটন, ফিশের স্টার্টার। বিরিয়ানি খেতে হলে একা পুরো প্লেট খেয়ে ফেলবেন না অন্যের সঙ্গে ভাগ করে খান। তাতে ক্যালরির মাত্রাও ভাগ হয়ে যাবে। ৪) পুজোর সময় স্ট্রিটফুডগুলির মধ্যে মোমো, পেপার দোসা, কবাব-তন্দুরি, ফুচকা বেছে নিতেই পারেন। পুজোর সময় নরম পানীয় একেবারেই এড়িয়ে চলুন। ৫) পুজো মানেই মিষ্টিমুখ করতে হবে। সে ক্ষেত্রে ছানার মিষ্টি খেতে পারেন। মিষ্টির মধ্যে রসগোল্লা খেতে পারেন। অন্যান্য মিষ্টির তুলনায় এই মিষ্টি তুলনায় স্বাস্থ্যকর। এছাড়াও পুজোর সময় হজমের সমস্যা এড়িয়ে চলতে হলে সকালে উঠে কিংবা রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে জিরে ভেজানো জল খান ।৭-৮ ঘণ্টা আগে এক গ্লাস জলে জিরে ভিজিয়ে রেখে খেলে তবেই সুফল পাবেন। এছাড়া পুজোর কটা দিন শরীর-স্বাস্থ্য চাঙ্গা রাখতে বেশি করে জল পান করুন।