মানবতার দেওয়াল

Bankura News: “মানবতার দেওয়াল” এবং “সততা স্টোর” বাঁকুড়ায় শিক্ষা দিচ্ছে শিশুদের

বাঁকুড়া: প্রান্তিক বাঁকুড়ার একটি নিম্ন বুনিয়াদী স্কুল। কিন্তু তা সত্ত্বেও ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা দেওয়ার জন্য দু দুটি উদ্ভাবনী আইডিয়া নেওয়া হয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে। নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয় বাচ্চাদের শিক্ষাজীবনের ভিতটা গড়ে ওঠে। সেই কারণেই বাঁকুড়ার কেন্দুয়াডিহি নিম্ন বুনিয়াদী বিদ্যালয়ে তৈরি হল মানবতার দেওয়াল এবং সততা স্টোর। কি এই মানবতার দেওয়াল?

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চন্দন দত্ত, ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে নিয়ে বুঝিয়ে দিলেন মানবতার দেওয়ালের কার্যকারিতা। এটি এমন একটি দেওয়াল যেখানে টাঙানো থাকবে জামা কাপড়। টাঙ্গাতে পারেন যে কেউ। যে জামা কাপড় ব্যবহার করছেন না বা প্রয়োজন নেই, সেই বস্ত্রগুলি মানবতার দেওয়ালে টাঙিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। এক ব্যক্তির অপ্রয়োজনীয় বস্ত্র অপর এক ব্যক্তির মহা প্রয়োজনীয় হতেই পারে, যারা প্রয়োজন অনুভব করবেন তারা মানবতার দেওয়াল থেকে বিনামূল্যে নিয়ে যেতে পারেন বস্ত্র। শুধুমাত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা কিংবা ছাত্রছাত্রীদের জন্য নয়, প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন এই দেওয়াল তৈরি করা হয়েছে সকলের জন্য।

আরও পড়ুন : হাজার টাকাও ছিল না পকেটে! সেখান থেকেই চমকে দিলেন বাঁকুড়ার তিন বোন! আজ বিরাট ব্যবসা

মানবতার দেওয়ালের পাশে রয়েছে সততার স্টোর। সততার স্টোর অর্থাৎ এই দোকানে ছাত্রছাত্রীরা নিজেদের সততার পরীক্ষা দেবে। সততার দেওয়ালের সামনে রাখা থাকবে ছাত্র ছাত্রীদের প্রয়োজনীয় পেন,পেন্সিল, খাতা এবং অন্যান্য সামগ্রী। যে সকল ছাত্র-ছাত্রী পেন পেন্সিল নিয়ে আসতে ভুলে গেলে এই সততার দেয়ালের সামনে থেকে তারা তুলে নিতে পারবেন তাদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী। তবে দিতে হবে মূল্য। বাজারের থেকে বহুগুণ কম দামে মাত্র দু’তিন টাকা চার টাকা মূল্যে তারা নিয়ে নেবে তাদের পেন পেন্সিল। কিন্তু থাকবে না কোনও দোকানদার, পুরো লেনদেন ঘটবে সততার উপরে ভিত্তি করে।

আরও পড়ুন : বিদ্যালয়ে আস্ত একটা রেলগাড়ি, রয়েছে স্টেশনও! স্কুলের কর্মকান্ডে অবাক হবেন

ছোট বয়স থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের চরিত্র দৃঢ় করে গড়ে তুলতে এমন উদ্যোগ নিয়েছেন কেন্দুয়াডিহি নিম্ন বুনিয়াদী বিদ্যালয়।প্রি প্রাইমারি থেকে ক্লাস ফোর। শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যা নয়জন এবং ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ১৯৭। ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষার প্রতি আগ্রহ ধরে রাখতে এই উদ্যোগ বিদ্যালয়ের। ছোট ছোট শিশুরাও বেশ উৎসাহের সঙ্গে গ্রহণ করছে এই দুই দেওয়ালের শিক্ষা।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী