সুকান্ত মজুমদার ও শুভেন্দু অধিকারী

Bengali Language: বাংলা ভাষাকে স্বীকৃতি কেন্দ্রের, ‘পুজোর সেরা উপহার…’ বললেন শুভেন্দু, কী বললেন সুকান্ত?

ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী, কলকাতা: বাংলা ভাষাকে কেন্দ্রের স্বীকৃতি দেওয়া নিয়ে উচ্ছ্বসিত বঙ্গ পদ্ম ব্রিগেড। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বাংলা ভাষাকে ক্লাসিক্যাল ল্যাঙ্গুয়েজ বা ধ্রুপদী ভাষা হিসেবে স্বীকৃতির ঘোষণা করার পরপরই মোদি সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রতিক্রিয়া দিচ্ছেন বিজেপি নেতারা।‌ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কথায়, ‘‘কেন্দ্রের এই স্বীকৃতি যারা বাংলায় কথা বলেন তাঁদের কাছে পুজোর সেরা উপহার। এই স্বীকৃতির ফলে বাংলা ভাষা নিয়ে গবেষণা এবং সাহিত্য চর্চার জন্য বিশেষ অনুদান দেবে কেন্দ্রীয় সরকার, এর ফলে প্রাচীন পাণ্ডুলিপি, শিলালিপি ও দুষ্প্রাপ্য গ্রন্থসমূহ সংরক্ষণের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া সম্ভব হবে।’’

আরও পড়ুন– রোজ দাড়ি কাটা কি ভাল? সপ্তাহে কতদিন শেভ করা ঠিকঠাক? জেনে নিন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ

পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আলাদা বিভাগ গঠন করে বাংলা ভাষাকে পাঠ্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত করানোর সুযোগ বাড়বে। এছাড়া ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা পাওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বাংলা ভাষার মর্যাদা বৃদ্ধি হওয়ার সাথে দেশে ও বিদেশে সাহিত্যিক, গবেষক ও ভাষাবিদদের জন্য বিশেষ পুরস্কারের আয়োজন করা হবে। নানা রকম উদ্যোগের ফলে বাংলা ভাষার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি পাবে বলেও মন্তব্য করেন শুভেন্দু অধিকারী।

অন্যদিকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার বললেন, ‘‘সমগ্র রাষ্ট্রের দরবারে বাংলা ভাষাকে অন্যতম ধ্রুপদী ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। সুদীর্ঘকাল ধরে প্রতিটি বাঙালির মাতৃভাষাকে ঘিরে যে স্বপ্ন, তা আজ পূরণ হল প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে।’’

আরও পড়ুন– নিম্নচাপ তৈরি হবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে, পুজোয় কি তাহলে দুর্যোগ? জেনে নিন আবহাওয়ার আপডেট

সমাজমাধ্যমে সুকান্ত মজুমদার এও লিখেছেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ থেকে নির্বাচিত একজন সাংসদ হিসেবে এবং সর্বোপরি একজন বাঙালি হিসেবে গর্বিত বোধ করছি। আমরা আপ্লুত, গর্বিত। পশ্চিমবঙ্গের সর্বাঙ্গীন বিকাশ এবং প্রগতির লক্ষ্যে সর্বদা সংকল্পবদ্ধ হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিরন্তর কাজ করে চলেছেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় গৃহীত এই সিদ্ধান্তে আরও একবার প্রমাণ হলো বাংলা ভাষা এবং বাঙালির প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঠিক কতটা সমর্পিত এবং নিষ্ঠাশীল হয়ে কাজ করে চলেছেন।’’