রেল প্রকল্প নিয়ে মিলবে সমাধান সূত্র?

Railways in West Bengal: বাংলার ৬১ রেল প্রকল্প, রেলমন্ত্রীর মন্তব্যের পরই তীব্র জল্পনা! রাজ্যের ‘সাহায্যে’ এবার কাটবে জট?

কলকাতা: আটকে থাকা রেল প্রকল্পগুলির জন্য জমির ব্যবস্থা করতে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী। বুধবার কলকাতায় এসে ফের রাজ্যে আটকে থাকা ৬১ রেল প্রকল্পের কথা মনে করিয়ে দেন রেলমন্ত্রী। এই কাজ শেষ করতে সাহায্য চান রাজ্যের৷ প্রসঙ্গত জমি জটের কারণে এই সব প্রকল্পের কাজ আটকে। এই ব্যাপারে ২০২৩ সালে সেপ্টেম্বর মাসে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব৷

রেলমন্ত্রীর চিঠি অনুযায়ী, অনুমোদন পাওয়ার পরেও জমির ব্যবস্থা না হওয়ায় ছোট-বড় যে ৪১টি প্রকল্পের কাজ শুরুই করা যায়নি, তার মধ্যে রয়েছে নামখানা-চন্দ্রনগর, চন্দ্রনগর-বকখালি, তারকেশ্বর-ধনেখালি, আরামবাগ-চাঁপাডাঙ্গা, কাটোয়া-মন্তেশ্বর, বজবজ-পূজালি, হাসনাবাদ-হিঙ্গলগঞ্জ, পূজালি-বাখরহাট, মন্তেশ্বর-মেমারি, ডানকুনি-ফুরফুরা রেল প্রকল্প ইত্যাদি। শুরুর পরেও মাঝপথে বন্ধ রয়েছে কাকদ্বীপ-বকখালি, তারকেশ্বর-ফুরফুরা, নন্দীগ্রাম-কান্দিয়ামারি, নন্দকুমার-বলাইপান্ডার মতো ২০টি প্রকল্পের কাজ।

এর আগেও রাজ্যে এসে জমি না পাওয়ার কারণে একাধিক প্রকল্পের কাজ আটকে থাকার অভিযোগ জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী।চিঠিতে রেলমন্ত্রীর দাবি ছিল যা তিনি গত বুধবার রাজ্যে এসেও বলেছেন, এ রাজ্যে প্রকল্পে গতি আনতে রেল তৎপর। ‘প্রমাণ হিসেবে’ সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে যে, রাজ্যে এই মুহূর্তে বিভিন্ন রেল প্রকল্পে মোট প্রায় ৫১ হাজার কোটি টাকার কাজ চলছে। তার মধ্যে চলতি বাজেটেই বরাদ্দ হয়েছে ১১ হাজার ৯৭০ কোটি টাকা। প্রাথমিক পরিকল্পনা এবং সমীক্ষা সারা। তবু কাজই শুরু হয়নি ৪১টি রেল প্রকল্পের।

আরও পড়ুন: বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা অপ্রয়োজনীয়! সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্রের হলফনামা

আর ২০টি প্রকল্পের কাজ থমকে গিয়েছে শুরু হওয়ার পরেও। রাজ্যে মোট এই ৬১টি রেল প্রকল্প শুরু না হওয়া কিংবা থমকে থাকার কারণ জমি।যদিও রেলমন্ত্রীর যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হামিক। তাঁর দাবি, রাজ্য সরকার সমস্ত রেল প্রকল্পে ভারতীয় রেলকে সার্বিক সহযোগিতা করে। তবে জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে আমরা গরিব-খেটে খাওয়া মানুষের স্বার্থ দেখে কাজ করি। তবে ক্ষতিপূরণ না মিললেও, উন্নয়নের স্বার্থে বহু রেল প্রকল্পে রাজ্য সরকার নিজের খরচে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন দিয়েছে।

কলকাতার মেয়র আরও বলেন, আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধান সম্ভব। রেল নিজেদের অপদার্থতা ঢাকতে এই ধরনের কথা বলছে। উন্নয়নই একমাত্র লক্ষ্য থাকলে, রাজ্য প্রশাসনের দরজা খোলা আছে। রেলের সঙ্গে খোলা মনে আলোচনায় রাজি রাজ্য সরকার। তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, রেলমন্ত্রী থাকাকালীন মমতা বন্দোপাধ্যায় এই রাজ্যের জন্য যা প্রকল্প দিয়েছেন সেগুলোর কাজ আজ শেষ করুক রেল।