মাশরুমের নেশায় ভাসছিলেন, কুঠারের কোপে ভয়ঙ্কর কান্ড ঘটলানে ব্যক্তি, চমকে যাবেন আপনিও

Man cuts own genitals: মাশরুমের নেশায় ভাসছিলেন, কুঠারের কোপে ভয়ঙ্কর কান্ড ঘটলানে ব্যক্তি, চমকে যাবেন আপনিও

নয়াদিল্লি : একজন ৩৭ বছর বয়সী অস্ট্রিয়ান ব্যক্তি সাইলোসাইবিন মাশরুম খাওয়ার পরে একটি কুড়াল দিয়ে তার যৌনাঙ্গ কেটে ফেলেন৷

সাইলোসাইবিন মাশরুম যা সাধারণত ম্যাজিক মাশরুম নামে পরিচিত। অ্যাকাডেমিক জার্নাল মেগা জার্নাল অফ সার্জারিতে রিপোর্ট করা এই অস্বাভাবিক কেসটি প্রথমবারের জন্য রেকর্ড করা হল৷ সাইলোসাইবিন-মাশরুম খাওয়া কতটা ঝুঁকির বিষয়ে, সেই প্রসঙ্গে বলা হয়েছে রিপোর্টে৷ বিশেষত সাইকোপ্যাথলজিকাল ইতিহাসের রোগীদের জন্য। বা মানসিক রোগে আক্রান্ত রোগীদের জন্য৷

আরও পড়ুন : অপেক্ষা করে ক্লান্ত, কানাডায় ভারতীয়কে বাড়ি থেকে সরাতে চরম সিদ্ধান্ত মালিকের! দেখুন ভিডিও

নিউইয়র্ক পোস্টের তরফে জানানো হয়েছে, যে ব্যক্তিটি কান্ডটি ঘটিয়েছেন, কয়েক দিন ধরেই তিনি বিষন্ন ছিলেন৷ তাঁর অ্যালকোহল নির্ভরতাও ধরা পড়েছিল৷ ছুটির সময় সে যখন বাড়িতে একা ছিল তখনই চার থেকে পাঁচটি শুকনো সাইলোসাইবিন মাশরুম খেয়ে ফেলেছিল। আর তারপরেই সমস্যা শুরু৷ ওই ব্যক্তি গুরুতর হ্যালুসিনেশনের শিকার হন এবং তাঁর মনে বিভ্রান্তি তৈরি হতে শুরু করে। এরপর তিনি চরম সিদ্ধান্তটি নেন৷ একটি কুড়াল নিয়ে সেই ব্যক্তি তাঁর লিঙ্গ কয়েক টুকরো করে ফেলেছিলেন। আরও তাজ্জব করার মতো বিষয় এটাই, সেই ব্যক্তি এখন মনেই করতে পারছেন না যে ঠিক কোন কারণে এমন কান্ডটি তিনি ঘটিয়েছিলেন৷

ঘটনার পর সেই ব্যক্তি তার যৌনাঙ্গের চারপাশে একটি কাপড় বেঁধে রক্ত ​​​​প্রবাহ বন্ধ করার চেষ্টা করেছিলেন৷ এরপর নিজের যৌনাঙ্গটি বরফ দিয়ে মুড়ে একটি জারের মধ্যে রেখেছিলেন৷ এরপর রক্তে ভেজা অবস্থায় বাড়ি থেকে দ্রুত বেরিয়ে যান তিনি। একজন পথচারী তাকে দিশেহারা হয়ে ঘুরে বেড়াতে দেখে একটি অ্যাম্বুলেন্স ডাকেন। দুর্ঘটনার প্রায় পাঁচ ঘণ্টা পর তাকে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

আরও পড়ুন : প্রবল স্নো ফল, ঢাকল রাস্তাঘাট, ঠান্ডার ছোঁয়া পেতেই অবাক সিংহরা, দেখুন ভিডিয়ো

37-বছর-বয়সী লোকটিকে হাসপাতালে আনার সময় গুরুতর অবস্থায় ছিল, তিনি যে আঘাতের শিকার হয়েছিলেন তার ফলে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছিল। মাটি এবং ধুলো লেগে দূষণের কারণে, সার্জনরা কিছু চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হন।  অস্ত্রোপচারের পরে, সেই ব্যক্তি কিছুটা ঠির আছেন বলে জানান গিয়েছে৷

তাকে একটি মেন্টাল ওয়ার্ডে রাখা হয়েছিল৷ দেওয়া হয়েছিল অ্যান্টিসাইকোটিক ওষুধ,  যা তাকে হ্যালুসিনেশন কমাতে সাহায্য করে। ধীরে ধীরে, তিনি তার মানসিক স্বাস্থ্য ফিরে পেয়েছিলেন এবং ইউরোলজি ওয়ার্ডে পুনরুদ্ধারে ফিরে আসতে পারেন। কয়েক সপ্তাহ পরে, তার ফের কিছু সমস্যা ধরা পরে৷ তবে তিনি এখন ঠিক আছেন৷

বিষন্নতা এবং উদ্বেগের মতো রোগের চিকিৎসা করতে সাইলোসাইবিনের ব্যবহার বাড়ছে। কিন্তু এই ঘটনা প্রমাণ করে,  ইচ্ছে মতো এই মাশরুম খেলে তার পরিণতি কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে৷  বিশেষ করে যাদের  মানসিক সমস্যা রয়েছে।