বাইক একটানা কত কিলোমিটার চালানো উচিত? না জানা থাকলে শরীরে সমস্যা বাড়ে

কলকাতা: একটা সময় প্রত্যেক বাড়িতে একটা করে সাইকেল থাকত। বাজার-হাট, স্কুল-কলেজ যাওয়ার বাহন। এখন দিন বদলেছে। সাইকেলের জায়গা নিয়েছে স্কুটি, বাইক। শহর তো বটেই, গ্রামে-গঞ্জেও এখন এটাই পরিবহণের সবচেয়ে সহজ মাধ্যম।

ভারতে বাইকের সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে। চালানো সহজ। দামও কম। বিশেষ করে যে সব শহরে ট্র্যাফিক জ্যাম বেশি হয়, সেখানে বাইকের মতো বাহন আর হয় না। তাছাড়া বাইকে হিল্লি দিল্লি ঘুরতে পছন্দ করেন অনেকেই। লম্বা ট্রিপে লাদাখ কিংবা উটি।

আরও পড়ুন- মিনি ডার্বিতে মহামেডানকে হারিয়ে দুরন্ত জয় মোহনবাগানের, এগোল লিগ টেবিলেও

কিন্তু বাইক যন্ত্র। তার যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ না মুখ থুবড়ে পড়বে। এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন ওঠে, একবারও না থেমে একটা বাইক কত কিলোমিটার পর্যন্ত চালানো যায়? বিশেষ করে ১০০ সিসি-এর বাইক।

টু হুইলার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটা বাইক এবং চালকের উপর নির্ভর করে। সাধারণ এয়ার কুলড ১০০ থেকে ১৫০ সিসি-এর বাইক টানা ৫০ কিমি বা ১ ঘণ্টা চালানোর পর কমপক্ষে ৫ মিনিটের বিরতি নেওয়া উচিত। ১৫০ সিসি-এর বাইক হলে টানা সর্বোচ্চ ১০০ কিমি পর্যন্ত চালানো যায়। তারপর ১০ মিনিট বিশ্রাম দিতে হবে।

আরও পড়ুন- প্রথম টি২০-তে কোন ১১ জনকে নামাচ্ছে ভারত! টাইগারদের জন্য অপেক্ষা করছে বড় চমক!

নির্দিষ্ট সময় অন্তর বিরতি নেওয়ার প্রধান কারণ হল ইঞ্জিনকে বিশ্রাম দেওয়া। তাছাড়া চালকেরও ধকল যায়। তিনিও কিছুটা বিশ্রাম পান। দীর্ঘক্ষণ একটানা বাইক চালালে ইঞ্জিন গরম হয়ে যায়। এর নেতিবচাক প্রভাব পড়ে বাইকের পারফরম্যান্সে। চালকেরও ঘাড়, পিঠ ব্যথা হয়ে যায়। তাই নিয়মিত বিরতি শুধু বাইকের জন্য নয়, চালকের জন্যও আরামদায়ক।

টু হুইলার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চালক এবং বাইক যদি পর্যাপ্ত বিশ্রাম পায় তাহলে একদিনে অনায়াসে ২০০ থেকে ২৫০ কিমি যাত্রা করা যায়। বাইকের গতি ৫০ থেকে ৬০ কিমি প্রতি ঘণ্টার মধ্যেই রাখা উচিত। এর বেশি নয়।

সাধারণত দীর্ঘ যাত্রাপথকে কয়েক ভাগে ভাগ করে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। যেমন যদি কেউ ৪০০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে চান, তাহলে ১০০ কিমি অন্তর বিশ্রাম নিতে হবে। নাহলে বাইক চললেও শরীর চলবে না।