লাইফস্টাইল Durga Puja 2024: কাশী যেন এক টুকরো বাংলা, তৈরি হচ্ছে ইকো ফ্রেন্ডলি মা দুর্গা! দেখুন ছবি Gallery October 5, 2024 Bangla Digital Desk নবরাত্রিতে কাশী এখন ধীরে ধীরে একটুকরো বাংলায় রূপান্তরিত হচ্ছে। শহরের অনেক জায়গায় নবরাত্রির অষ্টমী ও নবমীর প্যান্ডেল তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে। বলা যায়, ফিনিশিং টাচ দেওয়া চলছে৷ শারদীয়া নবরাত্রির শুরুতে শিব কাশীর প্রতিটি কণা শক্তির আরাধনায় লীন হয়ে যায়। আদিযোগী শিবের নগরীতে এখন শক্তির আরাধনার উৎসবের রং বিবর্ণ হতে শুরু করেছে। দেবীর আগমন ও তাঁর আরাধনার প্রস্তুতি এখন তুঙ্গে৷ নবরাত্রির সময় কাশী এখন ধীরে ধীরে মিনি বাংলায় রূপান্তরিত হচ্ছে। নগরীতে স্থাপন করা প্যান্ডেলগুলোতে দেবী মাতৃমূর্তি আনার প্রস্তুতি চূড়ান্ত করা হচ্ছে। আলোয় ঝলমল করছে চারপাশে৷ নবরাত্রি শুরু হওয়ার সাথে সাথে অনেক স্থানে কলশ স্থাপনের মাধ্যমে নয় দিনের পূজা শুরু হয়। তাই বেশিরভাগ জায়গায় নবরাত্রির ষষ্ঠ দিনে মা দুর্গা প্যান্ডেলে বসেন। এমন পরিস্থিতিতে বৃষ্টির কারণে মাটির প্রতিমা শুকাতে অনেক অসুবিধা হচ্ছে। ভাস্কর রাজু দাদা জানান, “প্রতিমা যাতে সময় মতো প্যান্ডেলে পৌঁছাতে পারে সেজন্য আমরা নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি এবং দিনরাত পরিশ্রম করছি। আগের তুলনায় এখন কারিগরের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। আপনাদের জানিয়ে রাখা ভালো, ভাস্কররা চৈত্র নবরাত্রি থেকেই এগুলি তৈরির কাজ শুরু করে। কিন্তু রোদের অভাবে এখনও কাজগুলি সম্পূর্ণ করা হয়ে ওঠেনি৷” ভাস্কর রানা জানান, এবারও নগরীর পূজা প্যান্ডেলগুলো পরিবেশ রক্ষার বার্তা দেবে। কারণ প্যান্ডেলে বসানো হবে পরিবেশবান্ধব দেবীর প্রতিমা। খাঁটি মাটি, খড়, নারকেল কড়ি ও বাঁশের লাঠি দিয়ে এসব প্রতিমা তৈরি করা হচ্ছে। এছাড়া সাজানোর জন্য যে রংগুলো ব্যবহার করা হয় সেগুলোও সম্পূর্ণ রাসায়নিকমুক্ত। এসব প্রতিমা রং করতে চক ও গেরুয়ার সঙ্গে জল রং ব্যবহার করা হচ্ছে, এতে পুকুরের কোনও ক্ষতি হবে না।