কলকাতা Sandip Ghosh-RG Kar Case: ঘটনার পরেই কাকে-কাকে ফোন সন্দীপ ঘোষের! চমকে ওঠা তথ্য সিবিআই সূত্রে! আরজি কর কাণ্ডে বড় মোড়? Gallery October 6, 2024 Bangla Digital Desk আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকদের দেহ উদ্ধারের দিন একাধিকজনকে ফোন করেছিলেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল! সিবিআই সূত্র এমনই খবর। ইতিমধ্যেই সন্দীপ ঘোষের কল লিস্ট হাতে পেয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। হাতে এসেছে টালা থানার ওসি-র নম্বরও। সিবিআই আগেই দাবি করেছে, টালা থানাতেই মূল ঘটনার তথ্য লোপাটের চেষ্টা হয়েছে। আর তাতে জড়িত সন্দীপ ঘোষ এবং অভিজিৎ মণ্ডল। সিবিআই সূত্রে খবর, খুন ও ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে ৯ অগাস্ট সকাল থেকেই একাধিক ফোন করেছিলেন এই দুজন। কাদের কাদের ফোন করা হয়েছিল, তার প্রেক্ষিতেই এবার এগোবে তদন্তের গতিপ্রকৃতি। এদিকে, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের আর্থিক দুর্নীতির মামলায় আদালতের নির্দেশে শনিবার ফের প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে গিয়ে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করল সিবিআই। তবে শনিবারও জেরায় তদন্তকারীদের সঙ্গে সন্দীপ কোনও সহযোগিতা করেননি বলে সিবিআই সূত্রে খবর। গত বৃহস্পতিবার আর্থিক দুর্নীতির মামলায় সন্দীপ ঘনিষ্ঠ জুনিয়র চিকিৎসক তথা হাসপাতালের টিএমসিপি সংগঠনের নেতা আশিস পাণ্ডেকে গ্রেফতার করে সিবিআই। শুক্রবার তাঁকে আলিপুর সিবিআই বিশেষ আদালতে পেশ করা হয়েছিল। তদন্তকারীদের দাবি, আরজি কর হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতির ক্ষেত্রে আশিস ও সন্দীপের বেআইনি আর্থিক লেনদেনের হদিস পাওয়া গিয়েছে। প্রাথমিক ভাবে সন্দীপের বাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত একাধিক নথি ও ল্যাপটপের তথ্যের ভিত্তিতে আশিসের সঙ্গে সন্দীপের আর্থিক লেনদেনের হদিস পাওয়া গিয়েছিল। এর পরই দু’দফায় আশিসকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তদন্তে অসহযোগিতা করায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। সর্বপ্রথম আরজি করের আর্থিক দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হন সন্দীপ ঘোষ। তারপর তাঁকে মূল ধর্ষণ-খুন মামলাতেও গ্রেফতার করা হয়। মূল মামলাতে গ্রেফতার করা হয় টালা থানার ওসি-কেও। পাশাপাশি একাধিক চিকিৎসকের ভূমিকা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। এছাড়া ঘটনার দিন হাসপাতালে বেশ কিছু বহিরাগতদের প্রবেশ ঘটেছিল বলেও জানা গিয়েছে। তাদের মধ্যে কাউকে সন্দীপ বা অভিজিৎ ফোন করেছিলেন কিনা তা জানার চেষ্টা করছে সিবিআই।