কলকাতা RG Kar Case-CBI: কেন খুন হলেন আরজি করের তরুণী চিকিৎসক? চার্জশিটে চাঞ্চল্যকর তথ্য, শুনে শিউরে উঠবেন Gallery October 8, 2024 Bangla Digital Desk আরজি কর কাণ্ডে আদালতে চার্জশিট পেশ করেছে সিবিআই। ৫৮ দিনের মাথায় চার্জশিট পেশ করল তারা। চার্জশিটে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় ধৃত সঞ্জয় রায়ই মত্ত অবস্থায় ধর্ষণ ও খুন করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। চার্জশিটে নাম রয়েছে শুধুমাত্র সঞ্জয় রায়েরই। চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে, মত্ত অবস্থায় ধর্ষণ-খুনের ঘটনা ঘটিয়েছে সঞ্জয়। বিকৃত মানসিকতার জন্য খুন করে সঞ্জয়। চার্জশিটে স্পষ্ট উল্লেখ, সঞ্জয় বিকৃত মানসিকতার শিকার। মত্ত অবস্থায় এসে ধর্ষণ ও খুন করে সে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৪ ধারায় ধর্ষণ, ৬৬ ধারায় সংজ্ঞাহীন অবস্থায় আঘাতে মৃত্যু, ১০৩ (১) ধারায় খুন- এই তিন ধারা উল্লেখ রয়েছে সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে। পুজোর মুখে আরজি কর কাণ্ডে প্রাথমিক চার্জশিট পেশ করল সিবিআই। ২০০ জন সাক্ষীর বয়ানের ভিত্তিতে এই চার্জশিট দিয়েছে সিবিআই। চার্জশিটে সঞ্জয় রায়ই খুন ও ধর্ষণ করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সে একাই এই কাজ করেছে বলে উল্লেখ রয়েছে চার্জশিটে। শিয়ালদহ আদালতে চার্জশিট পেশ করেন সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিক। পরে সাপ্লিমেন্টরি চার্জশিটে এই ঘটনায় সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডলের ভূমিকা আরও স্পষ্ট করা হবে বলে সূত্রের খবর। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে আরজি কর মেডিক্যালে তরুণী চিকিৎসকের খুন ও ধর্ষণের মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। গত ৯ অগাস্ট সকালে আরজি কর মেডিক্যালের এমারজেন্সি বিল্ডিংয়ের সেমিনার রুমে উদ্ধার হয় স্নাতকোত্তর পড়ুয়া ৩১ বছর বয়সী তরুণী চিকিৎসকের দেহ। এর পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবিতে আদালতে জনস্বার্থ মামলা হয়। ১৩ অগাস্ট, ঘটনার ৫ দিন পর সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। তদন্তভার হাতে নিয়ে সঞ্জয় রায়কে হেফাজতে নিয়ে জেরা করে সিবিআই। আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে এখনও পর্যন্ত মূল অভিযুক্ত এক জনই। সিবিআই তদন্তভার নেওয়ার আগেই কলকাতা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি। পরে আরজি করের ধর্ষণ ও খুনের মামলার তদন্ত প্রক্রিয়া আরও দু’জনকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই— আরজি করের তৎকালীন অধ্যক্ষ এবং টালা থানার তৎকালীন ওসি। যদিও সিবিআই আগেই শিয়ালদহ আদালতে জানিয়েছে, ধর্ষণ ও খুনের মামলায় প্রত্যক্ষ যোগের অভিযোগ নেই তাঁদের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর তথ্যপ্রমাণ লোপাটের চেষ্টার অভিযোগে তাঁদের গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।