বিমানের সব স্ক্রিনে চলছে অ্যাডাল্ট মুভি! যাত্রীরা হতভম্ব। এদিকে প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে বন্ধও করা যাচ্ছে না। একেবারে কেলেঙ্কারি কাণ্ড। সিডনি থেকে টোকিওগামী কোয়ান্টাস ফ্লাইটের এই ঘটনায় মাথা হেঁট এয়ারলাইন সংস্থার।
বিমানে ছোটরাও ছিলেন। তাঁদের সামনে কীভাবে এমন ভুল হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন যাত্রীরা। রেডডিটে এক যাত্রী লিখেছেন, “অ্যাডাল্ট মুভি চলছে। বন্ধও করতে পারছেন না বিমানসেবিকারা। বিশ্রী অবস্থা।“ এমন ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছে কোয়ান্টাস কর্তৃপক্ষ। ভুলের কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বলুন তো কোন প্রাণীর দুধ থেকে ‘দই’তৈরি করা যায় না? খুব চেনা সকলের, তাও ৯৯% লোকজনই ভুল উত্তর দিয়েছেন
কোয়ান্টাস বিমানের এক যাত্রী নিজের অভিজ্ঞতার কথা লিখেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তিনি বলছেন, “সিডনি থেকে হানেদাগামী QF59 বিমানে ছিলাম। ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা হল। বিনোদনের কোনও ব্যবস্থা ছিল না। শুরুতেই এক ঘণ্টা লেট। তারপর টেক অফ করলেন পাইলট। কোনওরকমে বিমানের প্রত্যেক স্ক্রিনে একটাই সিনেমা চালু করা গেল। কিন্তু যেটা হল তা আর কহতব্য নয়।“
এয়ারলাইন সংস্থার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে তিনি লিখেছেন, “স্ক্রিনে রগরগে নগ্ন দৃশ্য। যৌনতার ছড়াছড়ি।“ প্রায় এক ঘণ্টা এভাবেই কাটে। ছোটদের সামনেই চলতে থাকে অ্যাডাল্ট মুভি। বিমানসেবিকারা অনেক চেষ্টা করেও বন্ধ করতে পারেননি। রেডডিটে ফিল্মের কিছু ছবিও শেয়ার করেছেন তিনি। সঙ্গে লিখেছেন, “পাবলিক এয়ারলাইন্সে কীভাবে এই ধরণের কনটেন্টের অনুমোদন দেওয়া হল বুঝতে পারছি না।“
আরও পড়ুন: ‘আমার কিছু বলার আছে’, আদালতে দাঁড়িয়েই বিস্ফোরক মন্তব্য সঞ্জয়ের! যা বললেন, ওলটপালট হল সব
ঘটনার কথা স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছেন কোয়ান্টাস এয়ারলাইনের মুখপাত্র। news.com.au-কে তিনি বলেছেন, “এমন ছবি চালানো মোটেই উচিত হয়নি। আমরা যাত্রীদের কাছে ক্ষমা চাইছি। এয়ারলাইনসের অন্যান্য বিমানে পারিবারিক ছবিই চালানো হয়েছিল। কিন্তু ওই বিমানে কীভাবে এমন কাণ্ড ঘটল খতিয়ে দেখা হচ্ছে।“
আরও পড়ুন: ষষ্ঠী থেকে দশমী, বৃষ্টির তাণ্ডব কোন কোন জেলায়? ঠাকুর দেখতে বেরোনের আগে অবশ্যই জেনে নিন
জানা গিয়েছে, কোয়ান্টাসের QF59 বিমানে ‘ড্যাডিও’ চালানো হয়েছিল। এই ছবিতে অভিনয় করেছেন ডাকোটা জনসন এবং শন পেন। নিউইয়র্ক বিমানবন্দর থেকে ট্যাক্সিতে উঠেছেন এক যুবতী। যেতে যেতে ট্যাক্সি চালককে বলছেন এক বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ও অতীত জীবনের গল্প। ধীরে ধীরে চালকও নিজের জীবনের গল্প বলতে শুরু করেন। এভাবেই এগোতে থাকে ছবি।