দক্ষিণ ২৪ পরগনা: উৎসবের মরশুম শুরু হয়ে গিয়েছে। দীর্ঘ অপেক্ষার পর মা বাপের বাড়ি আসছেন । জেলার অধিকাংশ পুজোর উদ্বোধনই অবশ্য হয়ে গিয়েছে। আনন্দের জোয়ারে গা ভাসিয়েছেন বঙ্গবাসী। তৈরি হচ্ছে অভিনব চোখ ধাঁধানো সব থিম। ইতিমধ্যেই নিজেদের থিম সাধারণ মানুষের মধ্যে তুলে ধরার চেষ্টা চলছে । তবে উদ্দেশ্য সবার একটাই, দর্শনার্থীদের মন জয় করা। এই বাংলা বরাবরই শিল্প সংস্কৃতির পীঠস্থান। বাংলার বুকেই জন্ম নিয়েছে বিবিধ শিল্পকলা।
আরও পড়ুন: ঠাকুর দেখার দফারফা! ঘূর্ণাবর্ত ঘনীভূত হচ্ছে পশ্চিমে! কী হবে বাংলায়?
তার মধ্যে কিছু আবার কালের নিয়মে ধীরে ধীরে হারিয়ে গিয়েছে। কিছু বা লুপ্তপ্রায়। তাই এবার বংলার তেমনই এক হারিয়ে যাওয়া শিল্পকে তুলে ধরতে বারুইপুর থানা এলাকা সরবেড়িয়া পল্লিসেবা সমিতির ৬৬ বছরের থিম ‘শিল্পকথা’। মাটি দিয়ে তৈরি হয়েছে মণ্ডপ। মাটির সরা, কুলো, হাতপাখা- সবই ফুটে উঠবে মণ্ডপে।
আরও পড়ুন: রাতে নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছিলেন সকলে! হঠাৎ বিকট শব্দে ঘুম ভাঙল, তারপর যা দেখলেন…
গোটা ভাবনার নেপথ্যে সুদূর নবদ্বীপ থেকে আগত শিল্পীর হাতে ফুটে উঠবে এই মণ্ডপ। হারিয়ে যাওয়া শিল্প ও সেই সংক্রান্ত আরও কিছু বিষয় তাঁদেরে মণ্ডপে এবার ফুটে উঠেছে। আর থিমের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তৈরি হচ্ছে প্রতিমাও। বিগত বছরগুলিতে দেখা যাচ্ছে কলকাতার পুজোকে পাল্লা দিচ্ছে জেলার পুজো গুলিও। তাক লাগিয়ে দেওয়া থিম, আর সেগুলি দেখতে উপচে পড়ছে দর্শনার্থীদের ভিড়ও। এই বছরও তার ব্যতিক্রম হবে না বলেই মনে করছেন পুজো কমিটির কর্তারা।
সুমন সাহা