ব্যবসা-বাণিজ্য SIP-র এই ৭ ফিচার অন্য কোনও স্কিমে পাবেন না, বিনিয়োগের আগে বুঝে নিন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি Gallery October 8, 2024 Bangla Digital Desk এসআইপি সরাসরি বাজারের সঙ্গে যুক্ত। ফলে ঝুঁকি রয়েছে। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে গড়ে ১২ শতাংশ হারে রিটার্ন পাওয়া যায়। যে কোনও ক্ষুদ্র সঞ্চয় সেভিংস স্কিমের তুলনায় অনেক বেশি। ফলে মিউচুয়াল ফান্ডের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা ক্রমশ বাড়ছে। তাছাড়া এসআইপির এমন ৭টি ফিচার রয়েছে যা অন্য কোনও স্কিমে মিলবে না। যাঁরা একসঙ্গে মোটা টাকা বিনিয়োগ করতে পারেন না, তাঁদের জন্য এসআইপি আদর্শ। এতে প্রতি মাসে অল্প টাকা বিনিয়োগ করা যায়। মাত্র ৫০০ টাকা দিয়ে এসআইপি শুরু করতে পারেন যে কেউ। আয় বাড়লে বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়ানোতেও কোনও বাধা নেই। এটাই এসআইপির সবচেয়ে বড় সুবিধা। এসআইপির কিস্তিতেও সাপ্তাহিক, মাসিক বা ত্রৈমাসিকের মতো বিকল্প পাওয়া যায়। বিনিয়োগকারী নিজের সুবিধা মতো বেছে নিতে পারেন। তাছাড়া রুপি অ্যাভারেজ কস্টের সুবিধাও পাওয়া যায়। ফলে বাজারের অঠানামা গায়ে লাগে না। দীর্ঘমেয়াদে সুবিধা পান বিনিয়োগকারীরা। মোটা কর্পাস জমা হয় অনায়াসে। যখন কেউ এসআইপি শুরু করেন, তখন নির্দিষ্ট পরিমাণ বিনিয়োগ করেন। কিন্তু বিনিয়োগকারী যদি চান টপ আপ এসআইপিও করতে পারেন। এতে প্রতি বছর ৫ শতাংশ বা ১০ শতাংশ হারে বিনিয়োগ বাড়ানো যায়। এ থেকে ভবিষ্যতে বড় লাভ মেলে। এসআইপিতে প্রতি মাসে কিস্তি দিতেই হবে, এমন কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। হাতে টাকা না থাকলে বিনিয়োগকারী কিছু সময়ের জন্য বিনিয়োগ বন্ধ রাখতে পারেন। এর জন্য কোনও জরিমানা দিতে হয় না। আর্থিক সংকটের সময় এই বিকল্প বিনিয়োগকারীদের কাছে আশীর্বাদের মতো। নির্দিষ্ট সময় পর বিনিয়োগ আবার স্বয়ংক্রিয়ভাবে শুরু হয়ে যায়। বিনিয়োগের সময় যে কোনও সময় পরিবর্তন করতে পারেন বিনিয়োগকারী। ধরা যাক কেউ প্রতি সপ্তাহে এসআইপিতে বিনিয়োগ করেন। এক বছর পর তাঁর মনে হল, মাসিক এসআইপি হলে ভাল হয়। অনলাইনে ফান্ড হাউজের কাছে আবেদন করে তিনি সাপ্তাহিক এসআইপির বদলে মাসিক এসআইপি চালু করতে পারেন। এসআইপিতে বিনিয়োগ শুরু করতে গেলে ন্যূনতম ৫০০ টাকা প্রয়োজন। তবে সর্বোচ্চ বিনিয়োগের কোনও সীমা নেই। অর্থাৎ বিনিয়োগকারী যত টাকা খুশি বিনিয়োগ করতে পারেন। প্রত্যেক স্কিমেরই লক ইন পিরিয়ড থাকে। একমাত্র এসআইপিতেই নেই। বিনিয়োগকারী যে কোনও সময় এসআইপি বন্ধ করে টাকা তুলে নিতে পারেন।