কলকাতা Sandip Ghosh-RG Kar Case: চার্জশিটে নাম উল্লেখ সন্দীপ ঘোষেরও! আরজি কর কাণ্ডে ‘বৃহত্তর ষড়যন্ত্র’ তত্ত্ব সিবিআইয়ের! ভয়ঙ্কর অভিযোগ Gallery October 9, 2024 Bangla Digital Desk আরজি কর কাণ্ডের চার্জশিটে সঞ্জয় রায় ছাড়াও আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের নামও উল্লেখ রয়েছে। শিয়ালদহ আদালতে চার্জশিট পেশ করেছে সিবিআই। ৫৮ দিনের মাথায় চার্জশিট পেশ করে তারা। চার্জশিটে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় ধৃত সঞ্জয় রায়ই মত্ত অবস্থায় ধর্ষণ ও খুন করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে, মত্ত অবস্থায় ধর্ষণ-খুনের ঘটনা ঘটিয়েছে সঞ্জয়। বিকৃত মানসিকতার জন্য খুন করে সঞ্জয়। চার্জশিটে স্পষ্ট উল্লেখ, সঞ্জয় বিকৃত মানসিকতার শিকার। মত্ত অবস্থায় এসে ধর্ষণ ও খুন করে সে। কিন্তু আরজি করে খুন ও ধর্ষণের প্রথম চার্জশিটে সঞ্জয় ছাড়াও আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের নামও রয়েছে। প্রমাণ লোপাট এবং ঘটনাকে ধামা চাপা দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় সন্দীপ ও অভিজিৎকে। সিবিআইয়ের গভীর তদন্তে উঠে এসেছে, সন্দীপ-অভিজিৎ, দুজনেই বৃহত্তর ষড়যন্ত্রতে সামিল ও অন্যান্যদের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন। এমনই উল্লেখ রয়েছে চার্জেশিটে। দুজনের ভূমিকা নিয়ে পরবর্তী সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে বিস্তারিত উল্লেখ থাকবে বলেই সিবিআই সূত্রে খবর। সিবিআইয়ের প্রথম চার্জাশিট ৪৫ পাতার। সেই চার্জশিটেই উল্লেখ সঞ্জয় রায় ছাড়া আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের নাম। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৪ ধারায় ধর্ষণ, ৬৬ ধারায় সংজ্ঞাহীন অবস্থায় আঘাতে মৃত্যু, ১০৩ (১) ধারায় খুন- এই তিন ধারা উল্লেখ রয়েছে সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে। গত ৯ অগাস্ট ভোর রাতে আরজি কর হাসপাতালে এই ঘটনা ঘটেছিল৷ সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে চার্জশিটে রীতিমতো সময় উল্লেখ করে সেদিন আরজি কর হাসপাতালে সঞ্জয় রায়ের গতিবিধি কী ছিল, তা জানিয়েছে সিবিআই৷ শুধু তাই নয়, নির্যাতন এবং খুনের আগে ওই মহিলা চিকিৎসকও কী করেছিলেন, চার্জশিটে তারও বর্ণনা দিয়েছে সিবিআই৷ চার্জশিটে সিবিআই জানিয়েছে, ৯ অগাস্ট ভোর ৩.৪২ মিনিটে সঞ্জয় রায়কে মোটরসাইকেলে চড়ে আরজি কর হাসপাতালের মূল গেট দিয়ে ঢুকতে দেখা যায়৷ এর পর গেটের কাছেই নিজের মোটরসাইকেলটি রাখে সে৷ ভোর ৩.৪৮ মিনিট- আরজি কর হাসপাতালের ইমার্জেন্সি ওয়ার্ডের র্যাম্প ধরে হাসপাতালের ভিতরে ঢুকতে দেখা যায় সঞ্জয় রায়কে৷ ভোর ৪.০৩ মিনিট- হাসপাতালের চারতলায় যে জায়গায় নিরাতিতাকে ধর্ষণ এবং খুন করা হয় বলে অভিযোগ, তার কাছেই দেখা যায় সঞ্জয়কে৷ ভোর ৪.৩২ মিনিট- চার তলার চেস্ট ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে আসতে দেখা যায় সঞ্জয় রায়কে৷ ভোর ৪.৩৭ মিনিটে মোটরসাইকেলে চড়েই হাসপাতাল ছেড়ে বেরিয়ে যায় সে৷ চার্জশিটে সিবিআই ঘটনার আগে নির্যাতিতার গতিবিধির কথাও উল্লেখ করেছে৷ সেখানে বলা হয়েছে, ওই সেমিনার রুমেই আরও চারজন চিকিৎসকের সঙ্গে খাওয়া দাওয়া সারেন নির্যাতিতা৷ চার্জশিটে আরও দাবি করা হয়েছে, শেষবার ভোর ৩টি নাগাদ নির্যাতিতাকে দেখেছিলেন তাঁরই এক সতীর্থ৷ ময়নাতদন্তের রিপোর্টেও দাবি করা হয়েছে, নির্যাতিতার মৃত্যু ভোর চারটের পরে হয়েছে৷ শিয়ালদহ আদালতে চার্জশিট পেশ করেন সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিক। পরে সাপ্লিমেন্টরি চার্জশিটে এই ঘটনায় সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডলের ভূমিকা আরও স্পষ্ট করা হবে বলে সূত্রের খবর।