ট্রেনে লুণ্ঠিতা রাশিয়ান পর্যটক (Representative Image)

ট্রেনে লুণ্ঠিতা রাশিয়ান পর্যটক ! ভারত সফরের তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরেছেন দেশে, হৃত সম্পদ পুনরুদ্ধারে সক্রিয় জিআরপি থেকে রেল মন্ত্রক

নয়াদিল্লি: দেশের পর্যটন বিভাগের ট্যাগলাইন ইনক্রেডিবল ইন্ডিয়া! অথচ, এই দেশ ভ্রমণে এসে যে নিদারুণ অভিজ্ঞতা নিয়ে দেশে ফিরলেন রাশিয়ান এক পর্যটক, তা কোনও মতেই সুখদায়ক নয়।

আমাদের এই ভারতভূমি তার সুপ্রাচীন স্থাপত্য এবং বিবিধ প্রাকৃতিক শোভার জন্য বিশ্বে সুপরিচিত। এই দেশের পর্যটন আধ্যাত্মিক, শৈল্পিক, প্রাকৃতিক সব দিক থেকেই মন মুগ্ধ করে, চেতনাকে করে পরিপুষ্ট। তারই টানে ভারত ভ্রমণে সম্প্রতি উপস্থিত হয়েছিলেন রাশিয়ার নিনা নিকোনোনোভা। ভারত ভ্রমণ প্রথম পর্যায়ে তাঁর সম্ভবত সুখকরই ছিল। এই দেশের রূপে মুগ্ধ হন তিনি। আমাদের সবার মতোই যেখানে যেখানে যাচ্ছিলেন, তার শোভা বন্দি করছিলেন ফোনের ক্যামেরায়, যাতে সেই স্মৃতি সারাজীবনের জন্য অক্ষয় করে রাখা যায়।

আরও পড়ুন– রতন টাটার ভাই জিমিকে চেনেন? দুই কামরার ফ্ল্যাটে মধ্যবিত্ত জীবনযাপন করেন,রাখেন না মোবাইলও

জানা গিয়েছে যে, ১৭ অগাস্ট ২০২৪ তারিখে গয়া কামাখ্যা এক্সপ্রেসে ছিলেন রাশিয়ান এই পর্যটক। ট্রেন যখন ফল্গু নদীর উপর দিয়ে যাচ্ছে, নিনা নদীর প্রাকৃতিক শোভা ক্যামেরাবন্দি করতে শুরু করেন। এই সময়েই ঘটে যায় এক মর্মান্তিক ঘটনা। একমনে যখন নিজের আইফোনে ফল্গু নদীর ভিডিও তুলছিলেন নিনা, তখন সেই ফোন ছিনতাই করা হয়। বিহারের সীমায় ছিনতাই হওয়া সেই ফোনের খোঁজ এখন পাওয়া গিয়েছে মহারাষ্ট্রে।

রেল মন্ত্রক নিনার দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে এই প্রসঙ্গে জানিয়েছে যে পর্যটক যখন ফল্গু নদীর ভিডিও তুলছিলেন, সেই সময়ে দুষ্কৃতীদের এক দল তাঁর হাতে লাঠি দিয়ে আঘাত করে। ফোন পড়ে যেতেই তারা তা লুফে নিয়ে পালিয়ে যায়। অন্য দিকে, নিনা নিজে এই প্রসঙ্গে বলেছেন যে ঘটনার পর তিনি গয়া, শেখপুরা এবং কামাখ্যা রেলওয়ে স্টেশনের জিআরপি থানায় এই বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন, আইন মেনে যা যা কর্তব্য, তার কোনওটাই তিনি বাদ রাখেননি।

আরও পড়ুন– অন্ন নয়, শোভাবাজার রাজবাড়িতে থাকে এই বিশেষ ভোগ

নিনা অবশ্য বর্তমানে এ দেশে নেই, তিনি ফিরে গিয়েছেন স্বদেশে। এর পর অক্টোবরে তাঁর আইক্লাউডে ফোনটি সক্রিয় হওয়ার অ্যালার্ট আসে। সঙ্গে সঙ্গে নিনা সেই বিষয়টি জানান ভারতীয় রেল মন্ত্রকে। মন্ত্রকের দাবি, বিদেশিনির ভারত ভ্রমণের অভিজ্ঞতা যাতে তিক্তই না থেকে যায়, সেই কারণে হৃত আইফোন পুনরুদ্ধারে সক্রিয় তারা। জিআরপি এবং আরপিএফ এক বিশেষ অভিযান চালিয়ে ঘটনার কয়েকদিনের মধ্যেই পিন্টু কমার এবং সজন কুমার নামের দুই দুষ্কৃতীকে হেফাজতে নিয়েছে, তাদের কাছ থেকে তিনটি চোরাই মোবাইল ফোনও পাওয়া গিয়েছে।

যদিও নিনার আইফোন পাওয়া যায়নি। পিন্টু এবং সজনের দাবি, সেই ফোন রয়েছে মানপুর, বিহারের বাসিন্দা আরেক দুষ্কৃতী সাহিল পাসোয়ানের কাছে- সে-ই না কি লাঠি দিয়ে নিনার হাতে আঘাত করে। আইক্লাউডের তথ্য বলছে, আইফোন সক্রিয় হয়েছে মহারাষ্ট্রের নাগপুরে। এখন জিআরপি এবং আরপিএফ এর দল সাহিলকে গ্রেফতার এবং নিনার ফোন উদ্ধারের জন্য অভিযান চালাচ্ছে।