Durga Puja 2024: অষ্টমী পুজোর পর কলসে স্থাপিত নারকেল নিয়ে কী করা উচিত? খাওয়া যায় কি? জানাচ্ছেন জ্যোতিষী

কলকাতা: দুর্গা অষ্টমী তিথি অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছে। যাঁরা গৃহে নবরাত্রির কলস স্থাপনা করেছেন দেবী দুর্গার উপাসনার জন্য, তাঁরা সেই কলসে একটি নারকেলও স্থাপন করেছেন। অষ্টমী পুজোর শেষে এবার সেই কলসে স্থাপিত নারকেল নিয়ে কী করা উচিত? খাওয়া যায় কি?

হরিদ্বারের জ্যোতিষী পণ্ডিত শ্রীধর শাস্ত্রী জানান, নবরাত্রির কলস স্থাপনায় তার উপরে একটি নারকেল রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নারকেল স্থাপন না করলে দেবী দুর্গার পূজা ও উপবাস পালন অসম্পূর্ণ বলে বিবেচিত হয়। নবরাত্রির ৯ দিনে দেবীর নয়টি রূপের পূজা করা হয় যা যথাক্রমে শৈলপুত্রী, ব্রহ্মচারিণী, চন্দ্রঘণ্টা, কুষ্মাণ্ডা, স্কন্দমাতা, কাত্যায়ণী, কালরাত্রি, মহাগৌরী এবং সিদ্ধিদাত্রী নামে পরিচিত। একই সঙ্গে এই সময়ে নারকেলও বিশেষভাবে পূজা করা হয়।

নবরাত্রির সময় কলসে নারকেল স্থাপন বিধি, অষ্টমী পুজোর পর কী করা উচিত?
পুজোর পরে নারকেল দিয়ে কী করবেন এমন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন হরিদ্বারের জ্যোতিষী পণ্ডিত শ্রীধর শাস্ত্রী। তিনি বলেন, নারকেল ছাড়া  নবরাত্রি পূজা অসম্পূর্ণ বলে মনে করা হয় এবং কোনও ফল পাওয়া যায় না। নবমী বা অষ্টমীর পূজায়, নয়টি মেয়েকে নারকেল দান করা সনাতন রীতি এবং তারপর পরিবারের সঙ্গে নারকেলের প্রসাদ সেবন করা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। ৯ দিন ধরে দেবীর পূজা করার ফলে এই নারকেলে দেবীর আশীর্বাদ বর্ষিত হয়, যা এই নারকেলটিকে বিশেষভাবে শুভ করে তোলে।

নারকেলের গুরুত্ব ও ব্যবহার:
নবরাত্রির সময় নারকেলের অপরিসীম গুরুত্ব রয়েছে, তাই কন্যা পূজার সময়, তা নয়টি মেয়েকে যেমন এক দিকে দান করতে হয়, তেমনই আবার অন্য দিকে পরিবারেও প্রসাদ হিসাবে নারকেল বিতরণ করা উচিত। জ্যোতিষশাস্ত্রের বিশ্বাস অনুসারে, বাড়ির দরজায় নারকেলের খোলা লাগালে নেতিবাচক শক্তির প্রবেশ রোধ হয়, ফলে বাড়ির নিরাপত্তা বজায় থাকে।

গঙ্গায় নারকেল ভাসানোর প্রথা:
জ্যোতিষী শ্রীধর শাস্ত্রী জানান, নবরাত্রি পূজা শেষে কিছু ভক্ত তাঁদের বাড়ির ঠাকুরঘরে এই কলসে স্থাপন করা নারকেল রেখে নিয়মিত পূজা করেন। পরবর্তী নবরাত্রির আগে অমাবস্যার দিনে সেই নারকেলটি গঙ্গায় ভাসিয়ে দেওয়া রীতি, তা শুভ বলে মনে করা হয়। এতে করে ভক্তদের উপর দেবীর আশীর্বাদ সবসময় বজায় থাকে এবং নেতিবাচক শক্তি ঘরে প্রবেশ করতে পারে না।