কলকাতা: পুজোর বক্স অফিসে বাজিমাত দেবের ‘টেক্কা’র। চারদিনে প্রায় দুকোটি টাকার ব্যবসা করল সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ও দেব অভিনীত এই সাসপেন্স থ্রিলার। পুজোর মরশুমে প্রায় সব শো হাউসফুল। সপ্তমীর পর থেকে দেখা গিয়েছে, গোটা বাংলা জুড়ে প্রায় একশোটির উপর শো হাউসফুল। অ্যাডভান্স বুকিংয়েও এগিয়ে রয়েছে এই ছবি।
আরও পড়ুন- কলা ১ দিনেই পচে কালো আর নরম হয়ে যায়? বাজার থেকে এনে কী ভাবে রাখলে বহু দিন থাকবে? জানুন
উইকেন্ড- এ বেশ ভাল অগ্রিম বুকিং হয়েছে টেক্কার। ফলে উইকেন্ডে আরও বেশি ব্যবসা করবে এই ছবি এমনটাই ধারণা সিনেবোদ্ধাদের। প্রথম থেকেই ভালো পিক আপ নিয়েছে দেব-সৃজিতের এই রহস্যে রোমাঞ্চে ঘেরা গল্প। প্রথম হাফ থেকে দ্বিতীয় হাফ পুরোপুরি আলাদা। প্রথম ভাগ দেখে দর্শকরা কিছু অনুমান করলেও দ্বিতীয় ভাগে তা পুরোপুরি 180 ডিগ্রি বদলে যাচ্ছে। টেক্কা মুক্তির মাত্র একদিন আগেই দেব এন্টারটেইনমেন্ট ভেঞ্চার্স প্রাইভেট লিমিটেডের তরফে জানানো হয়েছিল ছবির কোনও স্পয়লার যেন না দেওয়া হয়। সিনেমা দেখে পরিষ্কার বোঝা গেল সেটা কেন বলেছিলেন।
আরও পড়ুন- কিছুতেই বাগে আনা যাচ্ছে না ‘ব্লাড সুগার’? সবজি নয়, এই ৫ ফুলই নিংড়ে নেবে রক্তের শর্করা!
দেব ওরফে ইকলাখের চণ্ডালের মতো রাগ। আর এই রাগ, মেজাজের জন্যই কাজ হারায় সে। অন্যদিকে তাঁর ছেলেকেও স্কুল থেকে মাইনে না দিতে পারার কারণে বহিষ্কার করা হয়। আর নিজের চাকরি ফিরে পেতে দেব একটি স্কুলের বাইরে থেকে অপহরণ করে স্বস্তিকা ওরফে ইরার মেয়েকে। পুলিশকে তিনি জানান তিনি যে অফিসে সাফাইকর্মীর কাজ করতেন, সেখানকার মালিককে এসেই তাঁকে চাকরি ফেরত দিতে হবে। সেখানেই পুলিশ হিসেবে কেসের দায়িত্ব নেয় রুক্মিণী মৈত্র ওরফে মায়া। ঘটনাক্রমে জড়িয়ে যান দেবদান আরিয়ান ভৌমিক এবং সৃজা দত্ত ওরফে বৃষ্টিও। বাকিটা তো সিনেমা হলে গিয়েই দেখতে হবে।
আরও পড়ুন- কতগুলো আখরোট খেতে পারেন দিনে? বেশি খেলেই যে ভয়ঙ্কর বিপদ! জানুন ‘সঠিক’ মাপ
এই ছবিতে দেব একেবারে নতুন মোড়কে হাজির।কী এক্সপ্রেশন! কী স্পষ্ট উচ্চারণ! এক কথায় অনবদ্য। আর এই বছরটা রুক্মিণী মৈত্রর। আলাদা আলাদা চরিত্রে তিনি সত্যিই অনবদ্য। স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় বরাবরের মতোই নজরকাড়া। সব মিলিয়ে পুজোর বক্স অফিসে ছক্কা হাকালো টেক্কা।