হাওড়া: বন্যার পর স্বস্তিতে ভাগ চাষী! কৃষি প্রধান হাওড়ার উদয়নারায়নপুর। এখানকার অধিকাংশ মানুষ কৃষি কাজের সঙ্গে যুক্ত। এখানে নদী তীরবর্তী উর্বর চাষের জমিতে সারা বছর নানা ফসল ফলে থাকে। চাষের উপর নির্ভর করেই রুটি রুজি মানুষের। জমির ফসলের উপর নির্ভর করেই মানুষ সামিল হয়ে আনন্দ উৎসবে। তবে বর্ষা এলেই আতঙ্ক থাকে মানুষ। বর্ষায় নদীর জলে প্লাবিত হয় এলাকা। বন্যার দুর্ভোগ মানুষের রক্তে মিশে থাকার মত। শৈশব থেকে বন্যার অভিজ্ঞতা প্রায় সকলের। বন্যায় মানুষ লড়াই করে জীবন রক্ষা করতে পারলেও রক্ষা হয় না চাষের ফসল। ফলে কয়েকদিনের বন্যা সারা বছরের সুখ শান্তিকে ভাসিয়ে দেয়। এবারও ডিভিসির ছাড়া জলে প্লাবিত হয় এলাকা। দারুণভাবে ক্ষতি কৃষি জমি, একই সঙ্গে মাছ চাষ।
আরও পড়ুন: টাটকা ইলিশ খেতে চান? হাতে সময় নেই, বাজার থেকে আজই কিনুন, স্বাদ-গন্ধে মন ভরে যাবে, দাম জানেন?
মানুষের সমস্যা দূর করতে সরকারি সহযোগিতার আশ্বাস। তবে স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে দানা বেঁধেছে দুশ্চিন্তা। বন্যায় ক্ষতি হলেও অধিকাংশ কৃষক ভাগ চাষি হওয়ার ফলে সরকারি সহযোগিতা থেকে বঞ্চিত থাকে। এবার সেই সমস্যা দূর করতে প্রশাসনের অভিনব উদ্যোগ। পঞ্চায়েতের মাধ্যমে ভাগ চাষিদের চিহ্নিত করে সরকারি ক্ষতিপূরণ পাইয়ে দেওয়াই লক্ষ্য তাঁদের। একই সঙ্গে সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার আবেদনের সময় সেপ্টেম্বর থেকে বাড়িয়ে অক্টোবর ৩০ তারিখ পর্যন্ত করা হয়েছে।
কোথাও সপ্তাহ খানেক আবার কোথাও দিন পনেরো জল চাষের জমিতে। ফলে বেশির ভাগ চাষের জমি উজাড় হয়েছে বন্যার জলে। জমির মালিক চাষ না করেই, জমির মালিকানা থাকার ফলে তিনিই ক্ষতিপূরণের আবেদন করেন। এর ফলে প্রকৃত জমি চাষী বঞ্চিত হয় ক্ষতিপূরণ থেকে। এমন অভিযোগ বহু। বহু ক্ষেত্রেই ঋণ নিয়ে চাষ করে থাকেন কৃষক। তাই বন্যার পরে অস্বস্তিতে পড়ে ভাগ চাষী।
আরও পড়ুন: বাংলার পাহাড়ে দুর্লভ জিনিসের খোঁজ, নড়েচড়ে বসলেন ঐতিহাসিকরা! দেখলে চমকে যাবেন
এবার প্রশাসনের নির্দেশ মত উদয়নারায়নপুর ব্লকের সমস্ত এলাকায় ভাগ চাষীদের প্রকৃত ক্ষতিপূরণ পৌঁছে দিতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। এ প্রসঙ্গে উদয়নারায়নপুর পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি লক্ষীকান্ত দাস জানান, এবার প্রকৃত ক্ষতি হওয়া মানুষকে সরকারি ক্ষতিপূরণ পৌঁছে দিতে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
রাকেশ মাইতি