বিনোদন ‘আমার কোনও অনুশোচনা নেই’, আচমকাই অভিনয় থেকে কেন সরে গিয়েছিলেন রোম্যান্টিক ছবির রাজা? আজ বি-টাউনে অবশ্য তাঁর পুত্রেরই রাজত্ব Gallery October 14, 2024 Bangla Digital Desk ভারতীয় সিনে দুনিয়ার অন্যতম প্রভাবশালী পরিবার হল কাপুর পরিবার। আর এই পরিবারের সদস্য তথা বলিউডের স্বনামধন্য অভিনেতা হলেন ঋষি কাপুর ওরফে চিন্টুজি। দুর্ধর্ষ কেরিয়ার গ্রাফ তাঁর। আর সেই যুগে রোম্যান্টিক ছবিতে অভিনয় করে ভক্তদের মনে বিশেষ জায়গা করে নিয়েছিলেন রাজ কাপুরের এই পুত্রটি। তবে বড় পর্দায় নিজেকে তরুণ অবস্থায় দেখে বেশ অস্বস্তিতে পড়েছিলেন তিনি। পরে খোদ এমনটাই জানিয়েছেন ঋষি কাপুর। ২০১১ সালে একবার ফার্স্টপোস্ট-এর সঙ্গে এক আলাপচারিতায় ঋষি নিজেই জানিয়েছিলেন যে, “জীবনে কোনও কিছু নিয়েই আমার অনুশোচনা নেই। যদিও শীর্ষ অভিনেতাদের তালিকায় আমার নাম নেই। আমাকে স্টারডমের জন্য অপেক্ষা করতে হয়নি। ১৯৭৩ সালে ‘ববি’ মুক্তির সঙ্গে সঙ্গেই হিট হয়ে গিয়েছিল ববি। এরপর সেই সাফল্যের সঙ্গে পাল্লা দিতে রীতিমতো লড়াই করতে হয়েছে আমায়।” বর্ষীয়ান অভিনেতা আরও বলেছিলেন যে, “১৯৭৩ সাল থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত প্রায় ২৫ বছর ধরে তারকা হিসেবে কাজ করে গিয়েছি আমি। কিন্তু এরপর আমার একঘেয়ে লাগতে শুরু করে। আমার ওজন বেড়ে যায়। মনে হয়েছিল যে, নতুন তারকাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে পারব না আমি।” এরপর কিছু সময়ের জন্য অভিনয় দুনিয়া থেকে দূরে চলে গিয়েছিলেন ঋষি কাপুর। পরিচালকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। সেই প্রসঙ্গে অভিনেতা বলেন, “যেসব পরিচালকের সঙ্গে কাজ করার কথা ছিল, তাঁদের টাকা ফিরিয়ে দিয়েছিলাম। তিন মাস প্রায় ঘরে বসেছিলাম। তারপরে আমি ঐশ্বর্য রাই বচ্চন এবং অক্ষয় খান্নার আ অব লওট চলে ছবি পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নিই।” স্মৃতিচারণ করে চিন্টুজি বলেন যে, “প্রায় ৩৯ বছর ধরে অভিনয় করেছি। মাত্র ষোলোয় কেরিয়ার শুরু করেছি। প্রথম ছবি ছিল ‘মেরা নাম জোকার’। কাকা শশী কাপুর দেখেছিলেন যে, আমি অভিনেতা হতে চাই। কারণ আমি পেনসিল নিয়ে নিজের মুখেই গোঁফ আঁকতাম। আর আরকে স্টুডিও-য় ঘুরে বেড়াতাম।” ‘চাঁদনি’ অভিনেতা আরও বলেন যে, “সিনিয়র কেমব্রিজে ইংরেজি পরীক্ষায় শূন্য পেয়েছিলাম। ১৪টি পাতায় ভুলভাল লিখেছিলাম। ফলে ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। আমাকে হতাশ দেখে বাবা বলেছিলেন যে, ‘সাহস হারিও না। কাল আজ অওর কাল ছবিতে অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করো’। এরপরে অভিনয়ের জগতে আসার পরে আমি রাতারাতি হিরো হয়ে গিয়েছিলাম।”যদিও ঋষি কাপুর টেলিভিশনে নিজের আগের ছবিগুলি দেখতে পছন্দ করতেন না। এমনকী, চ্যানেলও ঘুরিয়ে দিতেন তিনি। তাঁর কথায়, “আমি বিষয়টাকে তুচ্ছ করে দেখছি না। কিন্তু নিজেকে পর্দায় দেখে বেশ অস্বস্তিই হয়। নার্সিসিস্ট-এর বিপরীত শব্দ আছে কি না আমি জানি না। কিন্তু নিজের ছবি দেখে আমার এটাই মনে হত। অভিনেতা হিসেবে আমি আমার অ্যাপিয়ারেন্সের প্রশংসা করি, কিন্তু কাজের নয়।”