খোয়াব গাঁ এর গ্রামের মাটির বাড়ি গুলি

Weekend Trip: পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রে ঝাড়গ্রামের খোয়াব গাঁ, কী রয়েছে এই গ্রামে? দেখুন ছবিতে

ঝাড়গ্রাম: পর্যটকদের কাছে এখন বেড়ানোর সেরা ঠিকানা হয়ে দাঁড়িয়েছে লোধা শবর গ্রাম। কিন্তু কি এমন রয়েছে এই গ্রামে? যার টানে শহরতলি থেকে শুরু করে ভিন রাজ্যের পর্যটকদের ভিড় জমছে। গ্রামের মধ্যে রয়েছে ছোট্ট ছোট্ট মাটির বাড়ি। মাটির বাড়ির দেওয়াল জুড়ে সিনেমা জগৎ থেকে শুরু করে পশুপাখি, গাছগাছালি দেব-দেবতার নানা ছবি আঁকা রয়েছে। যার ফলে স্বপ্নে দেখা কোনও এক গ্রামের রূপ ফুটে উঠছে লোধা শবর গ্রামটিতে। পর্যটকদের কাছে ‘খোয়াব গাঁ’ নামে পরিচিত।

ঝাড়গ্রাম জেলার ঝাড়গ্রাম ব্লকের রাধানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত লালবাজার গ্রাম। এই লালবাজার গ্রাম ২০১৮ সাল থেকে পর্যটকদের কাছে খোয়াব গাঁ নামে পরিচিত। চালচিত্র একাডেমির সহযোগিতায় লালবাজার গ্রামে লোধা শবর সম্প্রদায়ের মানুষদের সাহায্যে দেওয়ালে ছবি আঁকার মধ্য দিয়ে সুন্দরভাবে সাজিয়ে তোলা হয়। যার ফলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পর্যটকদের কাছেও আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে যায় লালবাজার গ্রামটি।

আরও পড়ুনঃ ইতিহাস ঠাসা উত্তরবঙ্গের এই গ্রাম, হাতছানি দেয় সবুজ প্রকৃতি, ঘুরে আসুন কালীপুজোর ছুটিতে

গ্রামের বাসিন্দা ষষ্ঠীচরণ আহীর বলেন, “একসময় এই গ্রামের নাম কেউ জানতো না বর্তমানে সবাই খোয়াব গাঁ নামে চেনে। আগে গ্রামের নাম লালবাজার ছিল। পর্যটকরা গ্রাম দেখতে আসলে খুঁজে পেত না লোকে সবাই বলতলাল বাজার বলে ঝাড়গ্রামে কোনও গ্রাম নেই। লালবাজার তো কলকাতায় রয়েছে। পরে অবশ্য এই গ্রামের নাম খোয়াব গাঁ হয়ে যায়। দেওয়াল জুড়ে নানা ধরনের চিত্র আঁকা, তা দেখার জন্য সারা বছর পর্যটকের ঢল নামে গ্রামে”।

আরও পড়ুনঃ সোরিয়াসিস কী জানেন? কীভাবে প্রতিরোধ করা সম্ভব এই অটোইমিউন রোগ? বিশেষজ্ঞের মত জানুন

ঝাড়গ্রাম শহর থেকে কদমকানন রেলগেট পেরিয়ে বিধানচন্দ্র কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রের ভেতরের রাস্তা ধরে সোজা চলে যাওয়া যায় লালবাজার বা খোয়াব গাঁ গ্রামে। অথবা সেবাইতনে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর পলিটেকনিক কলেজ ঢোকার আগে বাঁদিকের রাস্তা ধরে চলে যাওয়া যায় এই গ্রামে। লোধা-শবরদের গ্রাম পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হওয়ায় খুশি সকলে। পর্যটক আশায় গ্রামের মধ্যে থাকা শৈল্পিক কারুকার্যের স্টল থেকেও বেশ কিছু জিনিসপত্র বিক্রি হয়। ফলে গ্রামের সুপরিচিতির পাশাপাশি আর্থিক অবস্থাও সচ্ছল হচ্ছে গ্রামবাসীদের।

বুদ্ধদেব বেরা