এই সমস্যা এড়াতে কী কী করবেন? বেশি করে জল খান। শরীরে জলের ঘাটতি হতে দেবেন না। অ্যালকোহল অর্থাৎ মদ্যপান এড়িয়ে চলুন। সোডিয়াম যুক্ত খাবান খান। টোম্যাটোর রস খেতে পারেন রোজ। বিছানা থেকে ওঠার আগে পা মাটিতে দিন। একটু অপেক্ষা করে তারপর উঠুন।

Ratan Tata Work: তিনি ছিলেন সর্বময় কর্তা, কিন্তু টাটা গোষ্ঠীতে ঢুকে প্রথম কী করেছিলেন রতন টাটা জানেন? চমকে উঠবেন জানলে

দুর্গাপুজোর আবহেই চলে গেলেন রতন টাটা। তিনি তো নেহাত শিল্পপতি বা টাটা গ্রুপের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ছিলেন না, তিনি ছিলেন এক আদর্শের নাম। যিনি কোটি-কোটি মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছেন। কর্পোরেট চাকচিক্য নয়, তাঁকে একেবারে নিজেদের একজন ভেবে এসেছেন আমজনতা। নিজের চোখে না দেখার পরও আদর্শ হয়ে থেকেছেন তিনি। রাস্তার গরীব-গুর্বো থেকে পথকুকুর, রতন টাটা ‘বন্ধু’ ছিলেন সকলের।
দুর্গাপুজোর আবহেই চলে গেলেন রতন টাটা। তিনি তো নেহাত শিল্পপতি বা টাটা গ্রুপের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ছিলেন না, তিনি ছিলেন এক আদর্শের নাম। যিনি কোটি-কোটি মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছেন। কর্পোরেট চাকচিক্য নয়, তাঁকে একেবারে নিজেদের একজন ভেবে এসেছেন আমজনতা। নিজের চোখে না দেখার পরও আদর্শ হয়ে থেকেছেন তিনি। রাস্তার গরীব-গুর্বো থেকে পথকুকুর, রতন টাটা ‘বন্ধু’ ছিলেন সকলের।
শতাধিক বছর আগে টাটা গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠা করেন রতনের প্রপিতামহ। ১৯৯১ সালে সেই গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান হন তিনি। তখন মূলত অটোমোবাইল এবং ইস্পাতশিল্প ক্ষেত্রে ছড়িয়ে ছিল টাটা গোষ্ঠীর ব্যবসা। ১৯৯৬ সালে টাটা টেলিসার্ভিস শুরু করেন রতন টাটা। ২০০২ সালে শুরু করেন তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা ‘টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিস’। ২০১২ সালে টাটা গোষ্ঠীর বিভিন্ন সংস্থার সরাসরি দায়িত্ব থেকে সরে সাম্মানিক পদে বসেন রতন। কিন্তু ততদিনে টাটা মানেই রতন টাটা।
শতাধিক বছর আগে টাটা গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠা করেন রতনের প্রপিতামহ। ১৯৯১ সালে সেই গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান হন তিনি। তখন মূলত অটোমোবাইল এবং ইস্পাতশিল্প ক্ষেত্রে ছড়িয়ে ছিল টাটা গোষ্ঠীর ব্যবসা। ১৯৯৬ সালে টাটা টেলিসার্ভিস শুরু করেন রতন টাটা। ২০০২ সালে শুরু করেন তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা ‘টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিস’। ২০১২ সালে টাটা গোষ্ঠীর বিভিন্ন সংস্থার সরাসরি দায়িত্ব থেকে সরে সাম্মানিক পদে বসেন রতন। কিন্তু ততদিনে টাটা মানেই রতন টাটা।
১৯৩৭ সালে তদানীন্তন বম্বেতে রতনের জন্ম। তাঁর বাবা নাভাল হরমুসজি টাটাকে দত্তক নিয়েছিল টাটা পরিবার। রতন টাটার বয়স যখন প্রায় দশ, সেই সময়ই তাঁর বাবা-মায়ের মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। এরপরই ঠাকুরমা নাভাজিবাই টাটা তাঁর দেখাশোনার ভার নেন। আইনানুগ ভাবে দত্তক নেন রতনকে।
১৯৩৭ সালে তদানীন্তন বম্বেতে রতনের জন্ম। তাঁর বাবা নাভাল হরমুসজি টাটাকে দত্তক নিয়েছিল টাটা পরিবার। রতন টাটার বয়স যখন প্রায় দশ, সেই সময়ই তাঁর বাবা-মায়ের মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। এরপরই ঠাকুরমা নাভাজিবাই টাটা তাঁর দেখাশোনার ভার নেন। আইনানুগ ভাবে দত্তক নেন রতনকে।
মুম্বইয়ের ক্যাম্পিয়ন স্কুলে ভর্তি হন রতন। অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সেখানেই পড়াশোনা তাঁর। এরপর মুম্বইয়েরই ক্যাথিড্রাল অ্যান্ড জন কনন স্কুলে রতন টাটার পড়াশোনা। সিমলার বিশপ কটন স্কুল এবং আমেরিকার নিউ ইয়র্কের রিভারডেল কান্ট্রি স্কুলেও পড়াশোনা করেছেন তিনি। ১৯৫৫ সালে রতন গ্র্যাজুয়েট হন রিভারডেল কান্ট্রি স্কুল থেকে। ১৯৫৯-এ কর্নেল ইউনিভার্সিটি থেকে তিনি স্থাপত্যবিদ্যায় স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। আমেরিকার জোনস অ্যান্ড ইমনস নামে একটি ইঞ্জিনিয়ারিং ফার্মে কিছুদিন কাজও করেন তিনি।
মুম্বইয়ের ক্যাম্পিয়ন স্কুলে ভর্তি হন রতন। অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সেখানেই পড়াশোনা তাঁর। এরপর মুম্বইয়েরই ক্যাথিড্রাল অ্যান্ড জন কনন স্কুলে রতন টাটার পড়াশোনা। সিমলার বিশপ কটন স্কুল এবং আমেরিকার নিউ ইয়র্কের রিভারডেল কান্ট্রি স্কুলেও পড়াশোনা করেছেন তিনি। ১৯৫৫ সালে রতন গ্র্যাজুয়েট হন রিভারডেল কান্ট্রি স্কুল থেকে। ১৯৫৯-এ কর্নেল ইউনিভার্সিটি থেকে তিনি স্থাপত্যবিদ্যায় স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। আমেরিকার জোনস অ্যান্ড ইমনস নামে একটি ইঞ্জিনিয়ারিং ফার্মে কিছুদিন কাজও করেন তিনি।
১৯৬১ সালে তিনি টাটা গ্রুপে টাটা স্টিলের কর্মচারী হিসেবে রতন টাটার ‘আসল’ কর্মজীবনের শুরু। টাটা স্টিলের কারখানার উৎপাদন প্রক্রিয়ার দেখভাল করতেন। ফ্যাক্টরিতে দাঁড়িয়ে হাতেকলমে কাজের এই অভিজ্ঞতা তাঁকে ভবিষ্যতে টাটা গ্রুপের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য তৈরি করে দেয়।

১৯৬১ সালে তিনি টাটা গ্রুপে টাটা স্টিলের কর্মচারী হিসেবে রতন টাটার ‘আসল’ কর্মজীবনের শুরু। টাটা স্টিলের কারখানার উৎপাদন প্রক্রিয়ার দেখভাল করতেন। ফ্যাক্টরিতে দাঁড়িয়ে হাতেকলমে কাজের এই অভিজ্ঞতা তাঁকে ভবিষ্যতে টাটা গ্রুপের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য তৈরি করে দেয়।
শেষমেশ ১৯৯১ সালে টাটা গ্রুপের চেয়ারম্যান হয়ে তিনি টাটা গ্রুপের জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি এনেছিলেন। ১৯৯১ সালে জেআরডি টাটা রতন টাটার মেধা পরিশ্রম ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির মূল্য দিতেই টাটা গ্রুপের চেয়ারম্যান পদে বসান তাঁকে।
শেষমেশ ১৯৯১ সালে টাটা গ্রুপের চেয়ারম্যান হয়ে তিনি টাটা গ্রুপের জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি এনেছিলেন। ১৯৯১ সালে জেআরডি টাটা রতন টাটার মেধা পরিশ্রম ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির মূল্য দিতেই টাটা গ্রুপের চেয়ারম্যান পদে বসান তাঁকে।
২০০৮ সালে মুম্বই তাজ হোটেলে জঙ্গি হামলায় বহু পরিবার তাঁদের স্বজন হারিয়ে যখন চোখের জল ফেলছিলেন, রতন টাটা পৌঁছে গিয়েছিলেন সেই মানুষগুলোর পাশে। এমনকি হোটেলের কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে নিজে উপস্থিত থেকে সাহায্য করেছিলেন তিনি। ২০০০ সালে পদ্মভূষণ এবং ২০০৮ সালে পদ্মবিভূষণ সম্মানে ভূষিত হন তিনি।
২০০৮ সালে মুম্বই তাজ হোটেলে জঙ্গি হামলায় বহু পরিবার তাঁদের স্বজন হারিয়ে যখন চোখের জল ফেলছিলেন, রতন টাটা পৌঁছে গিয়েছিলেন সেই মানুষগুলোর পাশে। এমনকি হোটেলের কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে নিজে উপস্থিত থেকে সাহায্য করেছিলেন তিনি। ২০০০ সালে পদ্মভূষণ এবং ২০০৮ সালে পদ্মবিভূষণ সম্মানে ভূষিত হন তিনি।
রতন টাটা শুধু শিল্পপতিই নন, তিনি একজন সমাজসেবী, একজন দূরদর্শী মানুষ। মানুষের পাশে যেমন তিনি ছিলেন, তেমনই নিজের পেশা, ব্যবসাকেও যেন এক নতুন উদ্যম দিয়েছিলেন, যা গোটা দেশের শিল্পপতি, এমনকী অতি সাধারণ মানুষকেও অনুপ্রেরণা জুগিয়ে গিয়েছে, যাবে বহুকাল। রতন টাটা আসলে একটা সংকল্পের নাম। জেদ আর মানুষের কল্যাণকামী মানসিকতা থাকলে বিশ্ব জয় করা সম্ভব, এমনটাই বোধহয় বুঝিয়েছিলেন ‘টাটা’। রতন টাটা যেন এক শিল্পী, যিনি বহু মানুষের জন্য ক্যানভাস ভরিয়েছিলেন রঙে।
রতন টাটা শুধু শিল্পপতিই নন, তিনি একজন সমাজসেবী, একজন দূরদর্শী মানুষ। মানুষের পাশে যেমন তিনি ছিলেন, তেমনই নিজের পেশা, ব্যবসাকেও যেন এক নতুন উদ্যম দিয়েছিলেন, যা গোটা দেশের শিল্পপতি, এমনকী অতি সাধারণ মানুষকেও অনুপ্রেরণা জুগিয়ে গিয়েছে, যাবে বহুকাল। রতন টাটা আসলে একটা সংকল্পের নাম। জেদ আর মানুষের কল্যাণকামী মানসিকতা থাকলে বিশ্ব জয় করা সম্ভব, এমনটাই বোধহয় বুঝিয়েছিলেন ‘টাটা’। রতন টাটা যেন এক শিল্পী, যিনি বহু মানুষের জন্য ক্যানভাস ভরিয়েছিলেন রঙে।