প্রতীকী ছবি৷

RG Kar case in Supreme court: সিভিক ভলেন্টিয়ারদের নিয়োগ কীভাবে, কত বেতন? রাজ্যের থেকে হলফনামা তলব সুপ্রিম কোর্টের

নয়াদিল্লি: কীভাবে রাজ্যের সিভিক ভলেন্টিয়ারদের নিয়োগ করা হয়? কতজন সিভিক ভলেন্টিয়ার এই মুহূর্তে রাজ্যে কাজ করছেন, তাঁদের বেতনই বা কত? এবার সিভিক ভলেন্টিয়ারদের নিয়োগ নিয়ে রাজ্য সরকারের থেকে এই সমস্ত তথ্য সম্বলিত হলফনামা তলব করল সুপ্রিম কোর্ট৷ মঙ্গলবার আরজি কর কাণ্ডের শুনানি চলাকালীন এই নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়৷

দিপাবলির পর ফের সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানি হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়৷ সেদিনই রাজ্যকে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের নিয়ে এই হলফনামা জমা দিতে হবে৷

আরও পড়ুন: ২০ নভেম্বর মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচন! এক দফাতেই ২৮৮ আসনে ভোট করাবে কমিশন

এ দিন সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানি চলাকালীন সরকারি হাসপাতালগুলির পরিকাঠামো উন্নয়নে এবং চিকিৎসকদের নিরাপত্তা বাড়ানোর কাজ কতদূর এগিয়েছে, তা জানতে চান প্রধান বিচারপতি৷ জবাবে রাজ্য সরকারের আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদী জানান, আরজি কর হাসপাতাল বাদে সব হাসপাতালের কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে৷ আরজি কর হাসপাতালের কাজও আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে শেষ হবে৷ কারণ কাজ শুরুর জন্য আরজি করে কাজ শুরু করতেই দেরি হয়েছে৷

আরজি কর কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায় কলকাতা পুলিশের অধীনে সিভিক ভলেন্টিয়ার হিসেবে নিযুক্ত ছিল৷ সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানিতে বার বারই রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালের নিরাপত্তায় সিভিক ভলেন্টিয়ার এবং বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষীদের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে৷ এ দিনও শুনানি চলাকালীন জুনিয়র চিকিৎসকদের আইনজীবী করুণা নন্দী অভিযোগ করেন, রাত্তিরের সাথী প্রকল্পে হাইকোর্টের নির্দেশকে অমান্য করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে সিভিক ভলেন্টিয়ার এবং সাধারণ মানুষকে নিয়োগ করা হচ্ছে৷

এই অভিযোগের জবাবে রাজ্যের আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদী বলেন, ‘প্রাইভেট সিকিউরিটি রেগুলেশন অ্যাক্ট মেনে গোটা দেশের সব হাসপাতালে বেসরকারি নিরাপত্তা এজেন্সিকে দিয়ে নিয়োগ করা হয়। এটা কেন্দ্রীয় আইন। আমাদের আইন নয়। রাজ্যের তরফে এই আইন মেনে নিয়োগ করা হচ্ছে৷ তিনি আরও বলেন, অভিযুক্ত এই আইন মেনে নিয়োগ করা হয়নি। অভিযুক্ত হাসপাতালে পোস্টেড ছিল না। এরকম নয় যে হাসপাতালে নিযুক্ত কর্মীরা অভিযুক্ত৷’

রাজ্যের আইজীবীর এই জবাব শুনেই প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘এই সিভিক ভলান্টিয়ার কারা? এদের যোগ্যতা কী? কীভাবে এদের নিয়োগ করা হয়?’ সিভিক ভলেন্টিয়ারদের সম্পর্কে নিয়োগের আগে কোনও খোঁজখবর নেওয়া হয় কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন নির্যাতিতার আইনজীবী বৃন্দা গ্রোভার৷ তিনি মনে করিয়ে দেন, আরজি কর কাণ্ডে ধৃত সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধেই অতীতে গার্হস্থ হিংসার মামলা ছিল৷