কলকাতা: ৩৭টি সংগঠন থেকে ১৭০০ পরামর্শ এনটিএফের (National Task Force) কাছে এসে পৌঁছেছে। টাস্ক ফোর্সের একটু সময় লাগছে, কারণ তাঁদের কাছে এত বিপুল পরিমাণে পরামর্শ এসে পৌঁছেছে, দাবি মেহতার। আদালতের নির্দেশ সত্বেও ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্স এবং সাব গ্রুপদের কেউই কোনও তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ করেনি এখনও পর্যন্ত, এমনই অভিযোগ।
কেন্দ্র সরকার প্রো অ্যাকটিভ মেজার (Pro active measure) নেওয়ার জন্য বলা হচ্ছে। যাতে পরবর্তী শুনানির আগে এনটিএফকে নিজেদের কাজ শেষ করতে বলা হচ্ছে। তিন সপ্তাহ সময় দেওয়া হল এনটিএফকে (NTF)। তাঁদের কাজ শেষ করার জন্য বললেন বিচারপতি।
আরও পড়ুন- অতিরিক্ত ঘাম হচ্ছে? কোন ভিটামিনের ঘাটতি শরীরে, জানলে চমকাবেন! বড় ক্ষতির আশঙ্কা আছে কি?
আরজি কর মামলার ষষ্ঠ ও গুরুত্বপূর্ণ শুনানি ছিল মঙ্গলবার। কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুন কাণ্ডে সিবিআই-এর চার্জশিট পেশের পরে শুনানি চলছে সুপ্রিম কোর্ট-এ। জুনিয়র চিকিৎসকদের অনশনের মাঝেই আজ ষষ্ঠবার প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি মনোজ মিশ্র ও বিচারপতি জে বি পার্দিওয়ালার ডিভিশন বেঞ্চে সুপ্রিম কোর্টে শুনানি শুরু হয়।
আরও পড়ুন- দাবির পিঠে পাল্টা দাবি! মুখ্য সচিবের সঙ্গে বৈঠকে কী রফা হল? জানালেন সিনিয়র ডাক্তাররা
রাজ্যের তরফে জানানো হল ৯০-৯৫% কাজ শেষ হয়েছে আরজিকরের। কারণ, সিবিআইয়ের থেকে পরিকাঠামো আপডেট করার ছাড়পত্র
৯/১০/২৪ এবং ১৪/১০/২৪ তারিখে মিলেছে। বাকি সব হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ শেষ হয়েছে। আরজিকরের কাজ ৩১ অক্টোবরের মধ্যে শেষ হবে বলেই জানালেন রাজ্যের আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদী।
দ্বিবেদী জানান, একাধিক পর্যায়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। এমারজেন্সি অ্যালার্ম চালু হচ্ছে। রেস্টরুম এবং ডিউটি রুমের জন্য বায়োমেট্রিকের কী করা হয়েছে? খুব শিগগিরই সেগুলি ইনস্টল করা হবে বলে জানান দ্বিবেদী। আপনারা রাজ্যের রিপোর্ট দেখেছেন? — ডাক্তারদের আইনজীবীদের প্রশ্ন করেন বিচারপতি।
আরও পড়ুন- বলুন তো, পৃথিবী মহাশূন্য থেকে নীচে পড়ে যায় না কেন? উত্তর জানলে মাথা ঘুরে যাবে!
সিনিয়র ডাক্তারদের আইনজীবী করুনা নন্দীর দাবি, “অধিকাংশ ডাক্তাররা সরকারি ডাক্তার। আমরা এই রিপোর্ট দেখার আগে এবং এই রিপোর্ট দেখার পরও আমরা ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলেছি, তাঁরা জানিয়েছেন বাস্তবে এরকম কিছুই হয়নি। কাজ শুরু হয়েছে কিন্তু এতটা অংশে কাজ শুরু হয়নি।”
দ্বিবেদী জানান, রাজ্য সরকার ছবি পেশ করেছে। সিনিয়র ডাক্তার, ডাক্তারদের সংগঠনের সঙ্গে নিয়মিত কথা বলা হচ্ছে, তাঁরা নিয়মিত ঘটনাস্থল ভিজিট করছেন।
করুনা নন্দী তখন বলেন, “এনআরএসে এএএফএসে দেখা যাচ্ছে ১টাকা।
স্বাস্থ্য সচিব— আমাদের রিঅ্যাপ্রোপ্রিয়েট করার ক্ষমতা আছে। সেই টাকাটা আমরা বরাদ্দ করে দিই। আমার সেই ক্ষমতা আছে…”
সিজেআই বলেন, “আমরা রাজ্যের তরফে সাবমিট করা এভিডেভিটকে ভুল বলে দিতে পারি না এভাবে। আমরা খুব বেশি হলে কাউকে পাঠাতে পারি বাস্তবে খতিয়ে দেখতে যে বাস্তবে এতটা কাজ হয়েছে কিনা।
করুণা নন্দী— আমাদের ২৫ হাজার ডাক্তাররা আমাদের জানিয়েছেন, কাজ হয়নি।”
রাজ্যের তরফে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে বাস্তবে সেটা জানালে ভালো হয়, বলেন করুনা নন্দী।