পুজোতে কর্পূর লাগবেই। নাহলে আরতি হবে কী করে! আগুনের ছোঁয়া পেলেই দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে কর্পূর। সারা ঘরে ছড়িয়ে পড়ে মনোরম সুবাস। কিন্তু কর্পূর এত দাহ্য কেন? কী থেকে তৈরি হয়? এটা কী কোনও উদ্ভিদ? বাজারে দু’ধরণের কর্পূর পাওয়া যায়। একটা প্রাকৃতিক কর্পূর। আরেকটা কারখানায় কৃত্রিমভাবে প্রস্তুত করা হয়। প্রাকৃতিক কর্পূর কর্পূর গাছ থেকে প্রস্তুত করা হয়। এর বৈজ্ঞানিক নাম Cinnamomum Camphora।

Explainer: কী থেকে তৈরি হয় কর্পূর? এত দাহ্য কেন? এর ইতিহাস জানলে চমকে যাবেন আপনিও

পুজোতে কর্পূর লাগবেই। নাহলে আরতি হবে কী করে! আগুনের ছোঁয়া পেলেই দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে কর্পূর। সারা ঘরে ছড়িয়ে পড়ে মনোরম সুবাস। কিন্তু কর্পূর এত দাহ্য কেন? কী থেকে তৈরি হয়? এটা কী কোনও উদ্ভিদ? বাজারে দু’ধরণের কর্পূর পাওয়া যায়। একটা প্রাকৃতিক কর্পূর। আরেকটা কারখানায় কৃত্রিমভাবে প্রস্তুত করা হয়। প্রাকৃতিক কর্পূর কর্পূর গাছ থেকে প্রস্তুত করা হয়। এর বৈজ্ঞানিক নাম Cinnamomum Camphora।
পুজোতে কর্পূর লাগবেই। নাহলে আরতি হবে কী করে! আগুনের ছোঁয়া পেলেই দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে কর্পূর। সারা ঘরে ছড়িয়ে পড়ে মনোরম সুবাস। কিন্তু কর্পূর এত দাহ্য কেন? কী থেকে তৈরি হয়? এটা কী কোনও উদ্ভিদ? বাজারে দু’ধরণের কর্পূর পাওয়া যায়। একটা প্রাকৃতিক কর্পূর। আরেকটা কারখানায় কৃত্রিমভাবে প্রস্তুত করা হয়। প্রাকৃতিক কর্পূর কর্পূর গাছ থেকে প্রস্তুত করা হয়। এর বৈজ্ঞানিক নাম Cinnamomum Camphora।
গাছের উচ্চতা ৫০ থেকে ৬০ ফুট। আকৃতি গোলাকার। পাতা ৪ ইঞ্চি পর্যন্ত চওড়া হয়। এই গাছের বাকল থেকে কর্পূর তৈরি করা হয়। ছাল শুকিয়ে ধূসর বর্ণ ধারণ করলে গাছ থেকে আলাদা হয়ে যায়। এরপর সেগুলো করে প্রথমে গরম করা হয়। তারপর পরিশোধন। সব শেষে মিহি করে গুঁড়ো করা হয়। তারপর প্রয়োজন মতো আকার দেন কারিগররা। কর্পূর গাছের উৎপত্তি পূর্ব এশিয়ায়। আরও স্পষ্ট করে বললে চিনে।
গাছের উচ্চতা ৫০ থেকে ৬০ ফুট। আকৃতি গোলাকার। পাতা ৪ ইঞ্চি পর্যন্ত চওড়া হয়। এই গাছের বাকল থেকে কর্পূর তৈরি করা হয়। ছাল শুকিয়ে ধূসর বর্ণ ধারণ করলে গাছ থেকে আলাদা হয়ে যায়। এরপর সেগুলো করে প্রথমে গরম করা হয়। তারপর পরিশোধন। সব শেষে মিহি করে গুঁড়ো করা হয়। তারপর প্রয়োজন মতো আকার দেন কারিগররা। কর্পূর গাছের উৎপত্তি পূর্ব এশিয়ায়। আরও স্পষ্ট করে বললে চিনে।
তবে কিছু উদ্ভিদবিদ কর্পূর গাছকে জাপানের স্থানীয় গাছ বলে মনে করেন। চিনে তাং রাজবংশের আমলে কর্পূর গাছ থেকে আইসক্রিম তৈরি করা হয়েছিল। রাজারাজড়ারা খুব পছন্দ করতেন এই আইসক্রিম। চিনে কর্পূরকে ওষুধ হিসাবেও ব্যবহার করা হত। নবম শতাব্দীতে পাতন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কর্পূর গাছ থেকে কর্পূর উৎপাদন শুরু হয়। তারপর ধীরে ধীরে তা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে।
তবে কিছু উদ্ভিদবিদ কর্পূর গাছকে জাপানের স্থানীয় গাছ বলে মনে করেন। চিনে তাং রাজবংশের আমলে কর্পূর গাছ থেকে আইসক্রিম তৈরি করা হয়েছিল। রাজারাজড়ারা খুব পছন্দ করতেন এই আইসক্রিম। চিনে কর্পূরকে ওষুধ হিসাবেও ব্যবহার করা হত। নবম শতাব্দীতে পাতন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কর্পূর গাছ থেকে কর্পূর উৎপাদন শুরু হয়। তারপর ধীরে ধীরে তা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে।
goya.in-এর একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৮ শতক পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি কর্পূর গাছ ছিল ফারমোসা প্রজাতন্ত্রের অধীনে। বর্তমানে যা তাইওয়ান নামে পরিচিত। ফারমোসা কিং অদ্ভুত আইন তৈরি করেছিলেন। বিনা অনুমতিতে কর্পূর গাছে হাত দিলে কঠোর শাস্তি। ১৭২০ সালে নিয়মভঙ্গ করার অভিযোগে ২০০ জনের শিরশ্ছেদ করা হয়। ১৮৬৮ সাল পর্যন্ত এই নিয়ম লাগু ছিল। ১৮৯৯ সালে জাপান এই দ্বীপ দখল করে নেয়। শেষ হয় ফারমোসাদের রাজত্ব। এই সময়ই প্রথম কৃত্রিম কর্পূর তৈরি হয়।
goya.in-এর একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৮ শতক পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি কর্পূর গাছ ছিল ফারমোসা প্রজাতন্ত্রের অধীনে। বর্তমানে যা তাইওয়ান নামে পরিচিত। ফারমোসা কিং অদ্ভুত আইন তৈরি করেছিলেন। বিনা অনুমতিতে কর্পূর গাছে হাত দিলে কঠোর শাস্তি। ১৭২০ সালে নিয়মভঙ্গ করার অভিযোগে ২০০ জনের শিরশ্ছেদ করা হয়। ১৮৬৮ সাল পর্যন্ত এই নিয়ম লাগু ছিল। ১৮৯৯ সালে জাপান এই দ্বীপ দখল করে নেয়। শেষ হয় ফারমোসাদের রাজত্ব। এই সময়ই প্রথম কৃত্রিম কর্পূর তৈরি হয়।
ভারতও সেই সময় পুরোদমে কর্পূর তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে। ১৯৩২ সালে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে কলকাতার স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনের আর এন চোপড়া এবং বি মুখার্জি লিখছেন, ১৮৮২-৮৩ সালে লখনউ হার্টিকালচার গার্ডেনে কর্পূর চাষে সাফল্য মিলেছে। তবে এই সাফল্য দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। তবে চেষ্টা জারি থাকে। আগামী বছরগুলিতে দেশের অনেক জায়গায় ব্যাপকভাবে কর্পূরগাছের চাষ শুরু হয়।
ভারতও সেই সময় পুরোদমে কর্পূর তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে। ১৯৩২ সালে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে কলকাতার স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনের আর এন চোপড়া এবং বি মুখার্জি লিখছেন, ১৮৮২-৮৩ সালে লখনউ হার্টিকালচার গার্ডেনে কর্পূর চাষে সাফল্য মিলেছে। তবে এই সাফল্য দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। তবে চেষ্টা জারি থাকে। আগামী বছরগুলিতে দেশের অনেক জায়গায় ব্যাপকভাবে কর্পূরগাছের চাষ শুরু হয়।
কর্পূর গাছকে বলা হয় কালো সোনা। মূল্যবান গাছগুলির মধ্যে কর্পূর অন্যতম। শুধু পুজোয় নয়, কর্পূর গাছ থেকে এসেনশিয়াল অয়েল, অনেক ধরণের ওষুধ, পারফিউম, সাবান ইত্যাদি তৈরি হয়। পাশাপাশি ৬ রকমের রাসয়নিক পদার্থও পাওয়া যায়, একে বলা হয় কেমোটাইপ। সেগুলি হল - কর্পূর, লিনালুল, -সিনোল, নেরোলিডল, স্যাফ্রোল এবং বোর্নোল। কর্পূরে প্রচুর পরিমাণে কার্বন এবং হাইড্রোজেন থাকে। তাই তাপের সংস্পর্শে এলেই জ্বলতে শুরু করে। (Disclaimer: প্রতিবেদনের লেখা তথ্য News18 বাংলার নিজস্ব মত নয় ৷ সঠিক ফল পাওয়ার জন্য বিশেষজ্ঞের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ৷ )
কর্পূর গাছকে বলা হয় কালো সোনা। মূল্যবান গাছগুলির মধ্যে কর্পূর অন্যতম। শুধু পুজোয় নয়, কর্পূর গাছ থেকে এসেনশিয়াল অয়েল, অনেক ধরণের ওষুধ, পারফিউম, সাবান ইত্যাদি তৈরি হয়। পাশাপাশি ৬ রকমের রাসয়নিক পদার্থও পাওয়া যায়, একে বলা হয় কেমোটাইপ। সেগুলি হল – কর্পূর, লিনালুল, -সিনোল, নেরোলিডল, স্যাফ্রোল এবং বোর্নোল। কর্পূরে প্রচুর পরিমাণে কার্বন এবং হাইড্রোজেন থাকে। তাই তাপের সংস্পর্শে এলেই জ্বলতে শুরু করে। (Disclaimer: প্রতিবেদনের লেখা তথ্য News18 বাংলার নিজস্ব মত নয় ৷ সঠিক ফল পাওয়ার জন্য বিশেষজ্ঞের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ৷ )