মথুরাপুর: মথুরাপুরের সদিয়ালে লক্ষীপুজোতে থিম রাঁচির মাইথন ম্যারেজ হাউস। এই গ্রামে মা দুর্গা নয়, লক্ষ্মীর আরাধনাই এই গ্রামের প্রধান উৎসব। আট থেকে আশি সকলেই এখন মেতে ওঠেন এই কোজাগরী উৎসবে। জেলায় সর্বজনীন কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর জন্য বিখ্যাত এই সদিয়াল গ্রাম। প্রতিবারই বিভিন্ন থিমের মাধ্যমে তুলে ধরা হয় প্রতিমা ও মণ্ডপসজ্জা। এবার ১৮ তম বর্ষ এই পুজোর। এবছর মণ্ডপ সাজানো হয়েছে রাঁচির মাইথন ম্যারেজ হাউসের আদলে। মণ্ডপ সম্পূর্ণ প্লাইউড ও ফাইবারের তৈরি।
মাতৃমূর্তি কৃত্রিম মুক্ত ও ঝিনুকের তৈরি। তালপাতা ও পাটজাত দ্রব্য দিয়ে তুলে ধরা হয়েছে ভরতের খড়মপুজোর দৃশ্য। আটদিন ধরে চলবে এই কোজাগরী উৎসব। প্রতিদিন তুলে ধরা হবে বাংলার হারিয়ে যাওয়া প্রাচীন সংস্কৃতি যাত্রাপালা, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এই পুজো নিয়ে সাংসদ বাপী হালদার জানিয়েছেন, মা লক্ষ্মী কেবলমাত্র ঘরেই পূজিত হবেন কেন? শ্রমের বিনিময়ে উপার্জন তো সকলেই করেন। তাই ধনদেবীকে সর্বজনীন করতেই গ্রামের সব মানুষকে সঙ্গে নিয়েই এই বারোয়ারি পুজোর সূচনা। এই পুজো আজ গোটা সুন্দরবন পুলিশ জেলার মানুষের গর্বের বিষয়। ৩০ লক্ষ টাকারও বেশি বাজেটের এই পুজোয় গ্রামের সাধারণ মানুষের আন্তরিক ও সক্রিয় অংশগ্রহণই এই পুজোর মূল বিষয়বস্তু। এই পুজো দেখতে ইতিমধ্যে বিভিন্ন জায়গা থেকে সাধারণ মানুষজন আসছেন। যা এই উৎসবকে অন্য মাত্রা যোগ করেছে।
নবাব মল্লিক